যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বহুল আলোচিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা চুক্তি বা টিকফা অবশেষে সই হলো। সোমবার রাত সোয়া ৯টায় যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির সম্মেলন কক্ষে দুই দেশের এ চুক্তিটি সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ ও যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি বাণিজ্য প্রতিনিধি উইন্ডি কাটলার স্ব স্ব দেশের পক্ষে এ চুক্তিতে সই করেন। টিকফা চুক্তি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে কয়েক বছর ধরে। আশা করা হচ্ছে, এ চুক্তির ফলে উভয় দেশ বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে একে অপরের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারকৃত জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে টিকফা চুক্তি অবদান রাখবে বলেও আশা করা হচ্ছে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি বাণিজ্য প্রতিনিধি বলেছেন, টিকফার ফলে জিএসপিসহ বাণিজ্য ও শ্রমের বিষয়গুলো নিয়ে দুই দেশ নিয়মিত আলোচনার সুযোগ পাবে। বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকার ও পরিস্থিতির উন্নতিতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারবে। স্মর্তব্য, চলতি বছরের ১৭ জুন মন্ত্রিসভা টিকফার অনুমোদন দেয়। যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত ৪১টি দেশ ও ছয়টি আঞ্চলিক জোটের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ চুক্তি সই করেছে। চুক্তির খসড়ায় উভয় পক্ষের সেবা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অশুল্ক বাধা দূরীকরণ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আওতায় মেধাস্বত্ব আইন বাস্তবায়ন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মূল নীতি মেনে উভয় দেশের শ্রম অধিকার বাস্তবায়ন এবং পরিবেশ সুরক্ষা ও সংরক্ষণে এ সংক্রান্ত আইন মেনে চলার বিষয়টি ছিল। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে টিকফার বিষয়ে সরকারকে তাগিদ দেওয়া হচ্ছিল। এ ব্যাপারে সময় ক্ষেপণ দুই দেশের সম্পর্কের ওপরও প্রভাব বিস্তার করছিল। আশা করা হচ্ছে, টিকফার বদৌলতে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বোঝাপড়া তৈরিতে তা অবদান রাখবে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থন ধরে রাখতে তা অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির সামঞ্জস্য সৃষ্টিতে দুই পক্ষকেই উদ্যোগী হতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের কাছে টিকফা কতটা গ্রহণীয় হবে তা অনেকাংশে ওয়াশিংটনের সদিচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। এ বিষয়ে তারা এগিয়ে আসবে আমরা তেমনটিই দেখতে চাই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।