রাজনীতিতে না আসতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে এক হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে ও দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গত ১৬ নভেম্বর সেন্ট্রাল লন্ডনের হিল্টন ইন পার্ক লেন হোটেলে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে তারেক রহমান টাকা দেয়ার প্রস্তাব দেন বলে তার ঘনিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, গত ১৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর আইটি উপদেষ্ঠা সজীব ওয়াজেদ জয় অনেকটা গোপনে হিল্টন ইন পার্ক লেন হোটেলে ওঠেন। তার হোটেলে ওঠার বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও জানতেন না। পরে ওই হোটেলে যান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জেষ্ঠ্য পুত্র তারেক রহমান।
সেখানে জয় ও তারেকের মধ্যে প্রায় একঘন্টা বৈঠক হয়।
সূত্র জানায়, বৈঠককালে দুই তরুণ নেতা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় তারেক রহমান ওয়ান ইলেভেনের সময় তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে মামলা প্রত্যাহারের ব্যাপারে জয়ের সহযোগিতা চান।
এসময় জয় ২১ আগস্ট তার মা শেখ হাসিনার উপর গ্রেণেড হামলার প্রসঙ্গ টেনে আনলে তারেক রহমান তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে এ ঘটনার সাথে তৎকালীন চারদলীয় জোটের কোন মন্ত্রী বা নেতার হাত থেকে থাকলে তা তার জানা ছিল না বলে দাবি করেন তিনি।
যুক্তরাজ্যে তারেক রহমানের খুব কাছাকাছি থাকেন বিএনপির এমন এক নেতার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই নেতা জানান, তারেক রহমান বৈঠকে যাওয়ার সময় তার গাড়িতে চালক ও তিনি একা ছিলেন। অপর এক গাড়িতে তারেক রহমানের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত যুক্তরাজ্য বিএনপির তিন নেতা ছিলেন। তবে তারেক রহমান তাদেরকে হোটেলের ভেতর নিয়ে যাননি।
সূত্র জানায়, বৈঠককালে তারেক রহমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রসঙ্গ তুললে জয় সংবিধানের বিধি নিষেধের কথা মনে করিয়ে দেন। তখন তারেক সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী যাতে বিরোধী দলীয় নেত্রীকে আরেকবার ফোন দেন সেজন্য অনুরোধ করেন জয়কে।
তবে জয় বলেন- এখন আর দুইনেত্রীর মধ্যে সংলাপের সময় ও পরিবেশ নেই। সংলাপ হলে দলের সেক্রেটারি পর্যায়ে হতে পারে।
ধারণা করা হচ্ছে জয় ও তারেকের এই বৈঠকের পরই শনিবার দুই দলের সেক্রেটারি পর্যায়ে গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তারেক রহমান বৈঠকে জয়কে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাজনীতিতে না নামার অনুরোধ জানান। এজন্য তিনি জয়কে একহাজার কোটি টাকার প্রস্তাব দেন।
বৈঠকে তারেক বলেন- আপাতত তিনি দেশে ফিরছেন না। আগামী বছর তিনি দেশে ফিরলে তখনই যেন জয় রাজনীতিতে নামেন। তারেক রহমানের এমন প্রস্তাব প্রত্যাখান করে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন- তিনি টাকার জন্য রাজনীতি করেন না। দেশ ও জাতির জন্য যেভাবে তার নানা প্রাণ উৎসর্গ করেছেন এবং মা কাজ করে যাচ্ছেন তিনি সে আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়েই রাজনীতিতে নেমেছেন।
সূত্র জানায়- তারেকের এমন প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ হন জয়।
তিনি তারেককে বলেন- দেশের শান্তি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে আমি আপনার কাছে এসেছিলাম। কিন্তু একজন তরুণ রাজনীতিবীদের কাছ থেকে এমন প্রস্তাব আশা করিনি। সূত্র জানায়, বৈঠক শেষে প্রথমে তারেক রহমান হোটেল থেকে বের হয়ে যান। এর প্রায় আধঘন্টা পর জয়ও হোটেল ত্যাগ করেন।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।