মৌসুমে সেরা দল গড়েই শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ঘোষণা দিয়েছিল এবার তারা কোনো শিরোপা হাতছাড়া করতে চায় না। অর্থাৎ সব ট্রফি জিতে দেশের ফুটবল ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়বে। সেই আশা পূরণ হবে কি না সে জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে। তবে ওয়ালটন ফেডারেশন কাপ কোয়ার্টার ফাইনালে জিতে মৌসুমে প্রথম ট্রফি ঘরে নেওয়ার আভাস দিয়েছে। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শেষ চারে ওঠার প্রথম লড়াইয়ে তারা ৩-১ গোলে মোহামেডানকে পরাজিত করে।
শক্তির তুলনা করলে ধানমন্ডিকে এবার অপ্রতিরোধ্যই বলা যায়। দেশের সেরা সেরা তারকা ছাড়াও বিদেশি কালেকশনও চোখে পড়ার মতো। এর পরও কেন জানি গ্রুপ পর্ব লড়াইয়ে মামুনুলদের যোগ্যতার প্রমাণ ভালোভাবে মিলছিল না। একেবারে তুলনামূলক দুর্বল দল উত্তর বারিধারাও ফেনী সকারের বিপক্ষে কোনোক্রমে জয় পেয়েছিল। সত্যি বলতে কী, দ্বিতীয় ম্যাচে যদি হেরেও যেত অবাক হওয়ার কিছু থাকত না।
অথচ খেলোয়াড় নিশ্চিত করে শেখ জামালের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় অনেক আগেই। তাদের প্রস্তুতিতে ভালোই হচ্ছে তার প্রমাণ মেলে দুই প্রীতি ম্যাচে মোহামেডানকে ১-০ ও আবাহনীকে ৫-১ গোলে হারানোয়।
প্রথম দুই ম্যাচে তেমনভাবে জ্বলে উঠতে না পারায় সংশয় ছিল তারা কোয়ার্টার ফাইনালে সুবিধা করতে পারবে কি না। না, শেখ জামালকে বিদায় নিতে হয়নি। টানা চতুর্থবার ফেডারেশন কাপে সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা পেয়েছে তারা।
সত্যি বলতে কী, শেখ জামাল কাল যে খেলা খেলেছে তাতে মোহামেডানের জালে হাফ ডজন গোল ঠাঁই পেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। মোহামেডানে রক্ষণভাগ এতটা দুর্বল ছিল যে বার বার শেখ জামাল বল নিয়ে তাদের দুর্গে ঢুকে পড়ছিল। ৩৪ মিনিটে ডার্লিংটনের পাস থেকে দলে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত খেলোয়াড় সনিনর্দে প্রথম গোলটি করেন। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলেও দ্বিতীয়ার্ধে আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠে জামাল। ৫৫ মিনিটে মামুনুলের ক্রস থেকে সনি পুনরায় গোল করেন।
এরপর ৮২ মিনিটে সোহেল রানার পাস থেকে তৃতীয় গোলটি করেন মামুনুল। এর পরের মিনিটে আইডুর পাস থেকে মোহামেডানের পক্ষে সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন মোস্তফা। শেখ জামাল যদি ফাইনালে ওঠে তাহলে মোহামেডানের রেকর্ডটি স্পর্শ করতে পারবে। ১৯৮০ থেকে '৮৩ সাল- টানা চারবার ফাইনাল খেলার কৃতিত্ব রয়েছে সাদা-কালোদের। আসলে যতই তারকানির্ভর হোক না কেন, প্রতিপক্ষ মোহামেডান ছিল বলেই ম্যাচটিকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন মামুনুলরা।
আগের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর কাছে হারায় স্বাভাবিকভাবেই এমিলি-জাহিদদের মাধ্যে জেদ কাজ করছিল। ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছিল। যে বিদেশিকে নিয়ে ক্লাব আশাবাদী ছিল মিসরের সেই ফুটবলার মোস্তফাকেও মাঠে নামানো হয়েছিল। কিন্তু কোনো কাজে আসেনি। হার মেনে আরও একবার সেমিফাইনালের আশা ত্যাগ করতে হয়েছে মোহামেডানকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।