হরতাল বা অবরোধের মতো কর্মসূচিতে মানুষের প্রাণ হারানোর দায় কি রাজনীতিকেরা এড়াতে পারেন? এমন প্রশ্নের জবাবে দুটি প্রধান দলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা বরাবরের মতো একে অন্যের দিকে আঙুল তুললেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের কথা, এর দায় দুই প্রধান দলকেই নিতে হবে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে সাধারণ মানুষের মতেরই প্রাধান্য দেখা গেল। এটি ছিল বিবিসির ৪৯তম বাংলাদেশ সংলাপ।
সংলাপে প্রশ্ন ছিল, শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালে বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না।
জবাবে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন বললেন, শুধু পদত্যাগে সমাধান নয়। সংবিধান সংশোধন করে প্রধানমন্ত্রীকে চলে যেতে হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বললেন, একটি ন্যায্য সমাধানের পথ বাতলানোর জন্য সংসদে আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপি এতে কর্ণপাত করেনি। বিএনপি আসলে কী চায়, তা আজও অস্পষ্ট।
এই প্রেক্ষাপটে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি কি দেশকে একটি দীর্ঘমেয়াদি সহিংসতার পথে ঠেলে দিচ্ছে—এ প্রশ্নের নেতিবাচক জবাব দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না হলে কী হতে পারে, এর সম্ভাব্য কয়েকটি পথের কথা বলেন তিনি। একটি হলো, এমনটা চলতে থাকলে জরুরি অবস্থা জারি হতে পারে। এতে সহিংসতা কমবে। সেই পরিস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
‘হালকা বা বড় আকারের’ সেনা-অভ্যুত্থান হতে পারে। একপর্যায়ে আবার সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তবে এমনটি হলে দুটি দলের ‘গণতান্ত্রিক অপমৃত্যু’ হবে বলে মনে করেন এই অধ্যাপক।
একতরফা নির্বাচন হলে সেনাবাহিনী মোতায়েন কি প্রশ্নবিদ্ধ হবে—এমন প্রশ্নে আলোচক সাংবাদিক কাজী জেসিনের উত্তর, একতরফা নির্বাচনটাই প্রশ্নবিদ্ধ, সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রশ্ন অবান্তর। আর বিএনপিরর নেতা জয়নুল আবেদীন মনে করেন, সেই নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে জোর করে ভোটারদের কেন্দ্রে আনার জন্য।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে দ্রুতই সেনাবাহিনী নামানো দরকার—অনেক দর্শকের এমন অভিমতের সঙ্গে একমত হননি আওয়ামী লীগের নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক। সংলাপে সঞ্চালনা করেন আকবর হোসেন।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।