'পা নেই তো রাস্তায় বের হইছিস কেন?' শারীরিক প্রতিবন্ধী একজন সাংবাদিককে নিয়ে এমন মন্তব্য একজন পুলিশ সার্জেন্টের। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাজধানীর আসাদগেট এলাকায়। তখন দুপুর পৌনে ১টা। চারদিকে চৈত্রের খাঁ খাঁ রৌদ্দুর। সংসদের প্রেসব্রিফিং কভার করার জন্য রিকশায় চড়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন সাংবাদিক নিখিল ভদ্র। এমন সময় হুঙ্কার দিয়ে রিকশার দিকে ছুটে আসলেন একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট। রিকশাওয়ালাকে উদ্দেশ করে বললেন, এই কোথায় যাস? এই রাস্তা দিয়ে কেন যাস? রিকশাওয়ালা বলল, সংসদ ভবনে স্যার। অসুস্থ লোক তো তাই নিয়ে যাচ্ছি। এরপর ট্রাফিক সার্জেন্ট বললেন, দে ১০ টাকা দে। রিকশাওয়ালা কেন স্যার বলতেই সার্জেন্ট কোনো উত্তর না দিয়ে রিকশার ডান চাকার হওয়া ছেড়ে দিলেন। ট্রাফিক সার্জেন্ট মহিদুল যখন এই ঘটনাটা ঘটাচ্ছিলেন তখন রিকশা যাত্রী ও রিকশাওয়ালা দুজনেই বারবার অনুরোধ করেও তাকে নিবৃত্ত করতে পারেননি। অগত্যা ক্র্যাচে ভর দিয়ে কৃত্রিম পায়ে খোড়াতে খোড়াতে গিয়ে দাঁড়ালেন ট্রাফিক সার্জেন্টের সামনে। নিজের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জানতে চাইলেন, ভাই কাজটা একটু অমানবিক হয়ে গেল না? সার্জেন্ট উত্তর দিল, আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। এই রাস্তায় রিকশা চলে না। এতে অমানবিকতার কী? যাত্রী বলল, আমি তো দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পর থেকে গত দুই বছর একই ভাবে মোহাম্মদপুর থেকে সংসদ ভবনে যাওয়া-আসা করছি। সার্জেন্ট ক্ষেপে গিয়ে বললেন, সেটা আমার দেখার বিষয় না। এরপর অসহায়ভাবে কিছুক্ষণ তার মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে আশপাশের লোকদের সহযোগিতা নিয়ে রাস্তা পেরুতে শুরু করলেন নিখিল ভদ্র।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।