রংপুরে সার ও জ্বালানি তেলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। নন-ইউরিয়া সার নেই, ইউরিয়ার মজুদ শূন্যের কোঠায়। পাম্পগুলোতে ডিজেল নেই, পেট্রলের মজুদও ফুরিয়ে যাওয়ার উপক্রম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিরোধী দলের অবরোধের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে সার ও জ্বালানি তেল সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা। বিশেষ করে বোরো ও আলু আবাদ বন্ধের উপক্রম হয়েছে। এ অবস্থায় টানা অবরোধ কর্মসূচি না দেওয়ার জন্য বিরোধী দলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সার ও জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী এবং ভোক্তারা। পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের নবদীগঞ্জ গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, তিন দিন ঘুরেও ডিজেল সংগ্রহ করতে পারিনি। ফলে সেচ দিতে না পারায় ক্ষেতে বোরো চারা রোপণ করতে পারিনি। রংপুর বাফার স্টকের (আপদকালীন মজুদ) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, ৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার বাফার গুদামে বর্তমানে ইউরিয়া সার রয়েছে মাত্র ১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। ঘন ঘন অবরোধের কারণে সার আনা সম্ভব হচ্ছে না। বিএডিসি (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন) রংপুর অঞ্চলের যুগ্ম পরিচালক আসাদুর রহমান জানান, চারটি গুদামে ৬ হাজার ২০০ মেট্রিক টন নন-ইউরিয়া এমওপি, টিএসপি ও ডিএপি সার মজুদ থাকলেও অবরোধের কারণে তা ডিলারদের সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। রংপুর ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন মণ্ডল জানান, গুদামে নন-ইউরিয়া সার মজুদ থাকলেও বিরোধী দলের অবরোধের কারণে তা বের করা যাচ্ছে না। জেলা সার ও জ্বালানি তেল মনিটরিং কমিটির সভাপতি ফরিদ আহাম্মদ বলেন, জ্বালানি তেল সংকট উত্তরণে গতকাল একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাব ও বিজিবি প্রহরায় ডিজেল আনার জন্য রংপুর থেকে ১৪টি ট্যাংকলরি দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলহেড ডিপোতে পাঠানো হয়েছে। অবরোধ অব্যাহত থাকলে একই পদ্ধতিতে সারও আনা হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।