শনিবার দুপুর ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রী রওশনের গুলশানের বাড়িতে এই বৈঠকে ছিলেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সালমা ইসলাম ও মুজিবুল হক চুন্নু।
কী নিয়ে আলোচনা করেছেন- জানতে চাইলে কেউ মুখ খোলেননি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সালমা ইসলাম শুধু বলেন, এটা ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ।
রওশনের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বেলা আড়াইটায় দিকে বেরিয়ে দলীয় মহাসচিব ও নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের বাড়িতে যান চুন্নু।
ওই বাড়িতে তার এক ঘন্টা আগেই ছিলেন জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও দলীয় চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের ভাই জি এম কাদের।
এরপর সোয়া ৩টার পর জিএম কাদের, হাওলাদার ও চুন্নু তিনজনই যান বারিধারায় চেয়ারম্যান এরশাদের বাড়িতে।
ওই বাড়িতে দুই ঘণ্টা আগে এরশাদ সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় পার্টির মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র দিতে গেছেন।
তবে এরশাদের বাড়িতে ঢোকার পথে জিএম কাদের সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “আমরা আজ পদত্যাগপত্র দিইনি। ”
এর আঘা ঘণ্টা আগে হাওলাদারের বাড়ির সামনে চুন্নু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নে বলেন, তিনি এখনো পদত্যাগপত্র দেননি।
“আজ তো বন্ধ (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) হয়ে গেছে।
দেখি কাল দেবো। ”
অন্যরা জমা দিচ্ছেন কি না- জানতে চাইলে চুন্নু বলেন, “আমি শুধু আমার খবর জানি। অন্যদের খবর আমার কাছে নেই। ”
রওশনের বাড়িতে বৈঠকে তার না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, দলের বিভিন্ন নেতার বিভিন্ন স্থানে আলোচনা হতেই পারে।
জাতীয় পার্টিতে অভ্যন্তরীণ কোনো সঙ্কট চলছে না বলেও দাবি করেন তিনি।
মহাসচিব রুহুল আমিন জাতীয় পার্টিকে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন বিষয়কে গুজব বলে উড়িয়ে দেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।