দীর্ঘ দিন খোঁজাখুজির পর অবশেষে সন্ধান মিলল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হারিয়ে যাওয়া এক জাপানি সাবমেরিনের। এই সাবমেরিনগুলো ঠিক কোথায় অবস্থান করছে তা দীর্ঘসময় ধরে কেউ বলতে পারেনি। এজন্য অনুসন্ধানীরা দীর্ঘ দিন ধরে আপ্রান চেষ্টা করেছে খুঁজে বের করার জন্য। অবশেষে সন্ধান মিলেছে ব্যাতিক্রমধর্মী এ সাবমেরিনটির।
‘আই-৪০০’ নামের এই সাবমেরিনগুলো জাপানি পরিভাষায় ‘সেন-কাকু’ ঘরাণার সাবমেরিন।
পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরি হওয়ার আগ পর্যন্ত সবথেকে বড় আকারের সাবমেরিনগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। আকারে ‘আই-৪০০’ ছিলো ৪০০ ফিট লম্বা। এই সাবমেরিনের সবচেয়ে অভিনব দিক হলো, মাত্র একবার জ্বালানী ভরেই এটি গোটা পৃথিবী দেড়বার পাক দিয়ে আসতে পারতো। এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে এই ধরনের মাত্র তিনটি সাবমেরিন তৈরি হয়েছে। আমেরিকার হাওয়াই উপকূলের কাছে সমুদ্রে ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াইয়ের অনুসন্ধানী দল এই সাবমেরিনের অস্তিত্ব খুঁজে পান।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে আমেরিকার সেনাবাহিনী ‘আই-৪০০’ এবং আরো চারটি জাপানি সাবমেরিন কব্জা করে ফেলে তাদের আমেরিকাধীন সমুন্দ্রবন্দর পার্ল হারবারে নিয়ে আসে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তিকালীন চুক্তি অনুযায়ী ১৯৪৬ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন আমেরিকার কাছ থেকে জাপানি সাবমেরিনগুলোয় প্রবেশাধিকার দাবি করে। কিন্তু উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি এই সাবমেরিনগুলোয় সোভিয়েত সেনাদের প্রবেশাধিকার দেয়া এড়াতে আমেরিকা সাবমেরিনগুলোর নিচে ছিদ্র করে তা সমুদ্রে ডুবিয়ে দেয় এবং সোভিয়েতকে জানায় যে, সাবমেরিনগুলো সম্পর্কে তারা কিছুই জানে না। এই পাঁচটি সাবমেরিনের বাকি চারটি উদ্ধার করা গেলেও ‘আই-৪০০’ এর কোনো খোঁজই পাওয়া যাচ্ছিলো না। ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াইয়ের এই আবিষ্কারের ফলে তাই দীর্ঘদিনের একটি রহস্যের সমাধান হলো।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।