আহত কোকিল উড়ে যায়। তার পালকে যে রক্ত লেগে আছে, তা একজন মুক্তিযোদ্ধার।
ডিসেম্বরের এক ভোরে তাঁর আহত দেহটি পড়েছিল আখাউড়া জংশনে। বুলেটের সীসা,
অতিক্রম করেছিল পাখি ও মানুষের শরীর।
সেই মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আলি আজও বেঁচে আছেন।
বেঁচে নেই কোকিল'টি আর। অনেক
আগেই বিগত হয়েছে পাখিটির ডানার ঝাপটা। এই মাটিতে মিশে গেছে পালকের ভগ্নাংশ।
সাদেক আলি বিষয়টি নিয়ে খুব ভাবেন। যে নদীগুলোতে একদিন বয়েছিল শহিদের রক্ত,
কিংবা যে বৃক্ষগুলোতে একদিন উড়েছিল স্বাধীন বাংলার পতাকা- সেই নদীগুলো আজ
কেমন আছে ? কেমন আছে বৃক্ষগুলো ? ওরা বেঁচে আছে কি ?
যুদ্ধাহত জীবনের গান গেয়ে সাদেক আলি একহাত দিয়ে একতারা বাজান।
কেউ তাঁকে
দু'টো টাকা দেয়। কেউ দেয় না। তারপরও এই আখাউড়া জংশনই তাঁর প্রিয় চারণভূমি।
ট্রেন আসে- ট্রেন যায়। তিনি যাত্রীদের মুখের দিকে তাকিয়ে তাদের
স্বাধীনতা উপভোগ করেন কয়েকবিন্দু অশ্রুর আলোতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।