আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নামতেই পারেনি বিএনপি মাঠ আওয়ামী লীগের

বহুদিন পর মাঠে দেখা গেল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ঢাকামুখী 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি' কর্মসূচি ও সমাবেশের দিন গতকাল রাজপথ ছিল তাদের দখলে। ভোর থেকেই জাতীয় পতাকা ও লাঠি হাতে মিছিল-সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রাজধানীর সড়কের নিয়ন্ত্রণ নেন। বিভাগীয় শহর ও জেলা-উপজেলায়ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন তারা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিরোধী নেতা-কর্মীদের কার্যত ঘর থেকেই বের হতে দেওয়া হয়নি। নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছিল তালাবদ্ধ।

খালেদা জিয়া জাতীয় পতাকা নিয়ে মাঠে নামার নির্দেশ দিলেও রাজধানীতে নেতা-কর্মীদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেক নেতা বাসায় বসে টিভির লাইভ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মসূচির খোঁজ নিয়েছেন। গণমাধ্যম কর্মীদের ফোন করেও চালচিত্র জানতে চেয়েছেন কেউ কেউ। সারা দেশে সড়ক-মহাসড়ক ছিল যানবাহনশূন্য। বিভাগীয় শহর চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও রংপুরসহ কোনো জেলা-উপজেলা থেকেই নেতা-কর্মীরা ঢাকা আসতে পারেননি। বাস, লঞ্চ আগেই বন্ধ করা হয়েছিল। ট্রেনও এ দিন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে অনেকে বের হলেও গ্রেফতার হয়েছেন। কিংবা যানবাহন বন্ধের কারণে এগোতে পারেননি। আবার হেঁটে রওনা হয়ে বাধা পেয়ে ফিরে গেছেন অনেকেই।

কর্মসূচিতে আসতে না পেরে ও খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখার প্রতিবাদে বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় পতাকা মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। কয়েকটি স্থানে তাদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। নরসিংদীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে ৩০ জন আহত ও ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে। নোয়াখালীতে মিছিল থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটিসহ ১০টি গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এ সময় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। রংপুরে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১৫ জন। দিনাজপুরে বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। চাঁদপুরে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। দুই পক্ষ আজও মাঠে থাকার ঘোষণা দেওয়ায় দেশজুড়েই আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের খবর-

নামতে পারেনি বিএনপি : বিকালে গুলশানের বাসায় অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া নেতা-কর্মীদের নয়াপল্টনে আসতে জোর নির্দেশনা দিলেও গুটি কয়েকজন ছাড়া বড় কোনো নেতাকে দেখা যায়নি। রাজধানীতে দু-একটি স্থানে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের হদিস ছিল না। জামায়াতসহ জোটের অন্য শরিক দলের নেতাদেরও দেখা মেলেনি। কয়েকদিন আগে সংবাদ সম্মেলনে জোটসহ দেশবাসীকে মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচিতে যোগ দিতে আহ্বান জানান বেগম জিয়া। প্রথমবারের মতো এক ভিডিও বার্তায় তিনি নেতা-কর্মীদের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু দিনভর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় নেতা-কর্মীদের দেখা যায়নি। পুরো দিনই কার্যালয় ছিল তালাবদ্ধ। ভোর থেকে কার্যালয়ের আশপাশে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যকে শক্ত অবস্থানে দেখা যায়। বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে আটক হন মহিলা দলের তিন নেতা-কর্মী। কার্যালয়ের সামনে একটি জলকামান, একটি প্রিজনভ্যান, একটি রায়ট কারসহ বেশ কয়েকটি সাদা মাইক্রোবাস রাখা ছিল। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসা ও কার্যালয়ও ছিল র্যাব-পুলিশের দখলে। অবরুদ্ধ থাকা বেগম জিয়ার বাসার আশপাশেও কোনো নেতা-কর্মীর দেখা মেলেনি। মধ্য সারির এক নেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'চেয়ারপারসন নয়াপল্টনে এলেই আমরা সেখানে যাব। অন্যথায় আমরা গ্রেফতার ও নির্যাতনের ঝুঁকি নিতে রাজি নই।' নয়াপল্টনের আশপাশের এলাকায় নিজের অবস্থানের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, 'খালেদা জিয়ার নির্দেশনা সত্ত্বেও দলের সিনিয়র নেতারা মাঠে না নামলে আমরা কেন এই ঝুঁকি নিতে যাব।' তবে কর্মসূচিতে যোগ দিতে গেলে দুপুরে পুরানা পল্টন এলাকা থেকে আটক হন ইনাম আহমেদ চৌধুরী। অবশ্য রাতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে দলের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে আটক হন ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া মেজর (অব.) হানিফসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়। দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট এলাকায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এম ওসমান ফারুক, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, অ্যাভভোকেট জয়নুল আবেদিন, মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম ও অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরীকে দেখা যায়। পৃথকভাবে তারা প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবন এলাকা দিয়ে নয়াপল্টনের দিকে যাওয়ার পথে পুলিশি বাধায় সুপ্রিমকোর্টে প্রবেশ করেন। পরে সেখানে আইনজীবীদের সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নেন। সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা নয়াপল্টনে সমাবেশ স্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সেখানে আটকে রাখে। পরে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালান।

আওয়ামী লীগের দখলে রাজপথ : ভোর থেকেই লাঠি-পতাকা, হকিস্টিক, ক্রিকেট স্ট্যাম্পসহ নানা সরঞ্জাম হাতে মাঠে নামেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। যৌথবাহিনীর সঙ্গে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে সাধারণ মানুষের শরীর তল্লাশি করতেও দেখা যায় তাদের। যে পতাকা নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া দলীয় নেতা-কর্মীদের রাজধানীর নয়াপল্টনে আসতে বলেছিলেন, সেই পতাকা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা নির্বাচনের সাত দিন আগে শক্তির মহড়া দেখালেন। রাজধানীর মোড়ে মোড়ে এবং প্রবেশপথগুলো কড়া নজরদারিতে রাখেন তারা। নগরীতে প্রবেশের আটটি পয়েন্টে (গাবতলী, আমিনবাজার, উত্তরা, খিলগাঁও, বাবুবাজার, সদরঘাট, যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা) পতাকা ও লাঠি হাতে অবস্থান নেন নেতা-কর্মীরা। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন যুবলীগ, স্বেছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ ও সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোটের নেতা-কর্মীরা। অধিকাংশ নেতা-কর্মীর হাতে বাঁশের লাঠি, ক্রিকেট স্ট্যাম্প দেখা যায়। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'যে কোনো মূল্যে ঢাকায় বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। আজকেও আমরা রাজপথে থাকব। রাতে প্রবেশমুখগুলোতে বিশেষ পাহারা বসানো হয়েছে। এ জন্য ভূরিভোজেরও আয়োজন করা হয়েছে।' দিনভর দলের সভানেত্রীর ধানমন্ডির কার্যালয়ে মনিটরিং সেলের মাধ্যমে রাজধানীর প্রতিটি এলাকায় নেতা-কর্মীদের কার্যক্রম, গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়। টিমের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি সার্বক্ষণিক ঢাকার বিভিন্ন স্থানে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও দলীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন। ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, 'জনগণের জানমাল রক্ষায় শহরের প্রতিটি পয়েন্টে আমাদের নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছেন। আমার জানা মতে, কোনো নেতা-কর্মী এখনো পর্যন্ত কোথাও কাউকে আঘাত করেননি। আইন ভঙ্গ করলে সেটি দেখবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু অরাজকতা করলে তার জবাব দেব আমরা।' সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন। সমাবেশ করেন মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, তাঁতী লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ ও সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোটের নেতা-কর্মীরা। দলীয় কার্যালয় থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদ গেট, জিরোপয়েন্টে, প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট এলাকায় মিছিল করা হয়। বেলা সোয়া ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপিপন্থি সাংবাদিকদের ওপর এবং বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীদের ওপর হামলা করেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। দলীয় কার্যালয়ে প্রতিরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সন্ত্রাসীদের মহড়া কঠোর হাতে দমন করেছে। বিরোধী দলের এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসীদের দিয়ে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করা। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে তা ভেস্তে গেছে।' ঢাকাবাসীর জানমাল হেফাজতের জন্য খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ রাখা সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, 'আমরা গোয়েন্দা তথ্যে জানতে পেরেছি, মার্চ ফর ডেমোক্রেসির নামে সারা দেশ থেকে সন্ত্রাসীদের এনে শহরের মানুষকে জিম্মি করে নাশকতার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সময়োচিত পদক্ষেপ নেওয়ায় তাদের এ কর্মসূচি ব্যর্থ হয়েছে। যদি এ পদক্ষেপ না নিত তাহলে শহরবাসীকে জিম্মি করে ম্যাসাকার করত।' মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সদস্য সুজিত রায় নন্দী, একেএম এনামুল হক শামীম, আমিনুল ইসলাম আমিন, যুবলীগের ওমর ফারুক চৌধুরী, হারুনুর রশিদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের মোল্লা মো. আবু কাওছার, কৃষক লীগের খন্দকার শামসুল হক রেজা, শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মহানগর যুবলীগের ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আজিমপুরে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে মিছিল-সমাবেশ করেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। গাবতলীতে মিছিল-সমাবেশ করে মহানগর যুবলীগ উত্তর। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আসলামুল হক এমপি। আবদুল্লাহপুরে আরেকটি সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহারা খাতুন। এ ছাড়া ধানমন্ডিতে আওয়ামী সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়, মিরপুর-১০, মিরপুর-১, শেওড়াপাড়া, রামপুরা, বাড্ডা, খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, শ্যামপুর, কদমতলী, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, মহাখালী, তেজগাঁও, বিশ্বরোড, বিমানবন্দর এলাকাসহ পাড়া-মহল্লায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা লাঠি-পতাকা হাতে মিছিল করেন। মিছিল থেকে স্লোগান দেওয়া হয়, 'বাঁশের লাঠি তৈরি কর, জামায়াত-শিবির ধোলাই কর, হইহইরইরই জামায়াত-শিবির গেল কই।' নরসিংদী : প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাধবদী থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকনের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন। পতাকাবাহী মিছিলটি কান্দাইলে পেঁৗছলে পুলিশের বাধায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এরপর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থকরা চড়াও হলে ত্রিমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশের সঙ্গে মিলে তারা বিএনপি নেতা-কর্মীদের পেটান। সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ৪৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছেন। নোয়াখালী : কর্মসূচিতে যোগ দিতে যেতে না পেরে ফায়ার সার্ভিসের একটিসহ ১০টি গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছেন ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে এ সময় তাদের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ সুপার (এসপি) আনিসুর রহমান পিপিএম জানান, দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহর মাইজদীতে মিছিল থেকে পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। তারা একপর্যায়ে যাত্রীবাহী একটি বাস ও একটি পিকআপে আগুন দেন। নেভাতে গেলে মিছিলকারীরা ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ ও গুলি চালান। জবাবে পুলিশও অর্ধশতাধিক রাউন্ড গুলি ও টিয়ার শেল ছোড়ে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, 'সংঘর্ষে ১০ থেকে ১২ জন কর্মী গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন। গ্রেফতার এড়াতে তাদের গোপন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।' রংপুর : কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে মিছিল বের করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। নগরীর কৈলাশরঞ্জন স্কুল মোড়ে বেলা ২টার দিকে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্যসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহত কনস্টেবল জিয়াউল হককে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশকে লক্ষ্য করে হাতবোমা নিক্ষেপের অভিযোগে আটক হয়েছেন জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি ভাস্কর। এর আগে শনিবার রাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির ১৪ কর্মীকে আটক করে যৌথবাহিনী। রাঙামাটি : কর্মসূচিতে বাধা ও খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধের প্রতিবাদে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা বিএনপির প্রধান কার্যালয় থেকে মিছিল বের করা হয়। জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন ও নগর ছাত্রদলের সভাপতি মো. সাবি্বর হোসেন ফারুক এতে নেতৃত্ব দেন। মিছিলটি শহরের বনরূপা এলাকায় পেঁৗছলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। রাজশাহী : বিএনপি নেতা-কর্মীদের দেখা যায়নি। রাজশাহী থেকে হাতেগোনা কয়েকজন নেতা ঢাকায় আসতে পেরেছেন। কর্মসূচি ঘিরে শনিবার রাত থেকে ২৬ জনকে আটক করেছে মহানগর পুলিশ। বিএনপির কয়েকজন কর্মী জানান, সম্প্রতি ১৮ দলের সমাবেশ শেষে বোমা হামলায় পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় মামলা হওয়ায় আত্দগোপনে গেছেন জোটের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে নেতাদের সঙ্গে অধিকাংশ কর্মী যোগাযোগ করতে পারেননি। গ্রেফতার এড়াতে অনেক নেতা শুক্রবার দুপুরের আগেই রাজশাহী ছেড়েছেন। মানিকগঞ্জ : জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নেতা-কর্মীরা। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও শহীদ রফিক সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাসস্ট্যান্ডে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভের পাদদেশে সমাবেশ করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভ&

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.