কাপাসিয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়েন সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি। এ সময় প্রার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ মিছিল ও তুমুল হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রিমি এমপিকে উদ্ধার করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন সড়কে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল করতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকালে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান নির্ধারণ করতে এক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। বর্ধিত সভা শুরুর দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহম্মদ শহীদুল্লাহ অন্য কাউকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দিয়ে সরাসরি এমপি রিমিকে বক্তব্য দিতে বলেন। এ সময় রিমি কাউকে মনোনয়ন না দিয়েই বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন মোল্লার মনোনয়নের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বক্তব্য শেষ করেন।
রিমির এমপি বক্তব্য শেষ হওয়ার পরক্ষণেই উপস্থিত নেতা-কর্মীদের একটি অংশ হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি এবং বিক্ষোভ-হট্টগোল শুরু করে। এ সময় নেতা-কর্মীরা সভাপতি শহীদুল্লাকে অবাঞ্ছিত বলে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহার মোল্লার সমর্থকরা এমপি রিমি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং খণ্ড খণ্ডভাবে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে এমপি রিমিকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে উপজেলা পরিষদের দিকে নিয়ে যায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।