আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

বৈরী রাজনীতি দেশের শিক্ষাব্যবস্থার যে ক্ষতি করেছে তা ক্ষমাহীন অপরাধের শামিল। হরতাল-অবরোধ আর রাজপথের সহিংসতায় ব্যাহত হয়েছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। পরীক্ষার ওপরও বিস্তৃত হয়েছে তার কালো ছায়া। সেশনজট লাখ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য নিয়তির লিখন হয়ে চেপে বসেছে। দশম সংসদ নির্বাচন ঠেকানোর নামে সারা দেশের বিপুলসংখ্যক ভোটকেন্দ্রে অগি্নসংযোগ করেছে দুষ্কৃতকারীরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র স্থাপিত হওয়ায় অগি্নসংযোগ করায় লাখ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বিড়ম্বনার মুখে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যাই শুধু ৪৭৫টি। সরকার এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিলেও শুরু হয়েছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোটের আগুনে পোড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সংস্কার নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে এখনো চিঠি চালাচালি চলছে। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার পর এক মাস শেষ হতে চললেও সংস্কার কাজে কোনো অগ্রগতি নেই। অনেক স্কুলে শীতের সকালে খোলা আকাশের নিচে মাটিতে বসে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে স্কুল সংস্কারের তৎপরতা না থাকায় বছরের অর্ধেকটা সময় সংস্কার কাজের জন্য লেগে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেছেন, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে টাকার বরাদ্দ এলে এক সপ্তাহের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মেরামত করা হবে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের দ্রুতগতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের তদারকি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্মর্তব্য, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শুধু রংপুর বিভাগেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিন শতাধিক। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) হিসাব অনুযায়ী, তাদের আওতাধীন ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১২৫টি। শিক্ষা জাতির ভবিষ্যৎ। দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকদের কথা মনে রেখে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। সংস্কার কাজে বরাদ্দকৃত অর্থ যাতে সঠিকভাবে ব্যয় হয় সেদিকেও নজর রাখা দরকার। শুধু সংস্কার কাজ নয়, কারা অগি্নসংযোগের সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির সম্মুখীন করাও সরকারের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.