উচ্চশিক্ষার মান বাড়াতে এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদের মূল্যায়ন ও ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। সনদবাণিজ্য, ক্যাম্পাস দখল, মালিকানার দ্বন্দ্বসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরোধ চলছে সেগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনে ওইসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। গতকাল শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন অনিয়ম, মামলা সংক্রান্ত জটিলতা এবং অনিষ্পন্ন বিষয় পর্যালোচনা সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। জানা গেছে, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, ইবাইস, দারুল ইহসান, নর্দান ইউনিভার্সিটি, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবদমান পক্ষগুলোর বিরোধ সালিশির মাধ্যমে নিষ্পত্তি সম্ভব না হলে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম আইনানুগভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে সরকার। তাছাড়া সম্ভাব্য ক্ষেত্রে সরকার প্রশাসক নিয়োগ করে বিরোধপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করবে। আরও জানা গেছে, দারুল ইহসান, প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি, কুইনস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিসহ যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ অথবা আউটার ক্যাম্পাস নিয়ে মামলা রয়েছে তা একটি কোর্টে এনে শুনানির মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা হবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৭ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও নিজস্ব ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত করা হয়নি তাদের ২০১৫ শিক্ষাবর্ষের ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অবশ্যই নিজস্ব ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করতে হবে। না করা হলে তাদের সাময়িক সনদ বাতিল করা হবে এবং উক্ত সময়ের পরে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না বলে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। সভায় মন্ত্রী এসব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় দেশের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে বছরের পর বছর শিক্ষার নামে ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।