আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মসজিদে আজান হোক মন্দিরে ঘণ্টা বাজুক

শত বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনী প্রহসনে ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এত বছর যারা একসঙ্গে বাস করেছে তারা এখন পরস্পর-পরস্পরের শত্রু। কত বছরের বন্ধুত্ব ক্ষমতাবান রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কারণে কীভাবে মুহূর্তে শত্রুতায় পরিণত হয় তার উজ্জ্বল প্রমাণ দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওয়ের নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা। সবাই নিরীহ হতদরিদ্র, পাশাপাশি বাস তাদের। একজন আরেকজনের খেতের আইলের এক মুঠো ঘাস তোলা নিয়ে কখনো কোনো বাকবিতণ্ডা করেছে বলে কেউ বলতে পারে না।

এলাকাবাসীর কাছে শোনলাম, গড়েয়া গোপালপুরে আগুন ধরেছে শুনে কিছু মানুষ আগুন নেভাতে ছুটে গেলে মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেনের পক্ষের লোকেরা তাদের দিকে তীর মারে, তীরের আঘাতে ২২-২৩ বছরের আবু হানিফ পড়ে গেলে তার বুকের ওপর জনৈক মেম্বারের ছেলে শাবল মেরে এফোঁড়-ওফোঁড় করে ফেলে। তাতে সে সেখানেই মারা যায়। হিন্দুর হাতে মুসলমান মরেছে এ রকম একটি গুজব ছড়িয়ে অসহায় হিন্দুদের ইসকনের আশ্রমে নিয়ে যায়। সেখানে তারা ঘরবাড়ি ফেলে একটানা তিন দিন থাকে। আশ্রম কর্তৃপক্ষ তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করে।

আশ্রম প্রধানের কাছে শুনেছি লোকজন শান্তই ছিল। এই তিন দিন এবং পরে আরও ২-১ দিন মেয়েরা আশ্রমে থাকে। কিন্তু হিন্দুদের বাড়ি লুটতরাজ হয়নি, কারও বাড়িতে আগুন জ্বলেনি, একটি হাঁস-মুরগিও খোয়া যায়নি। ঘটনার ১৮ দিন পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। দেওনিয়া বাজারে হিন্দু-মুসলমানের ভাঙা দোকান পড়ে আছে ঠিকই কিন্তু কোথাও হিন্দুদের তেমন কোনো অভিযোগ পেলাম না।

অভিযোগ একটাই- একটা মুসলমান পুরুষ এলাকায় নেই, পুরুষশূন্য সব গ্রাম। কর্নাইতে যেমন মুসলমানের দোকানের পাশে হিন্দুদের দোকান, দেওনিয়াতেও তার ব্যতিক্রম নয়, সব পাশাপাশি। ৩০-৩৫টি দোকানের মধ্যে মুসলমানদের বেশি, হিন্দুদের কম। আরেকটা ব্যাপার আমাদের কিছুটা আলোড়িতই করেছে, ভাঙচুর করা দোকানগুলোর মধ্যেই অক্ষত একটি ৭-৮ হাত দিগ-পাশের মন্দির ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। টিনের চালে কেউ হাত দেয়নি, বাঁশের বেড়া যেমন ছিল তেমনই আছে, মন্দিরের মূর্তিও অক্ষত।

আসলেই দরিদ্র মানুষ যে পাশাপাশি নির্বিবাদে বাস করতে পারে- গড়েয়া, গোপালপুর, দেওনিয়া, কর্নাই, মহাদেবপুর তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। রাজনৈতিক উসকানি না হলে আগামী ১০০ বছরেও ওই সব জায়গায় কোনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অভাব হতো না। একেবারে নির্বাচন কেন্দ্রের পাশে ৩০-৪০ গজের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হাজির থাকতে নির্বাচনের দিন আগুন জ্বলল, ভাঙচুর হলো কিন্তু এর আগে কত বছর কত নির্বাচন হয়েছে কোনো দিন কোনো ঘটনা ঘটেনি। ৫ তারিখ প্রকাশ্য দিবালোকে বেলা ১টায় কর্নাইয়ের ঘটনার পর ৬ তারিখ দিবাগত রাতে মুখঢাকা সন্ত্রাসীরা মহাদেবপুরে তাণ্ডব চালায়। যার চিত্র ১৮ দিন পরও আমরা দেখেছি।

খুব বেশি কারও কোনো ক্ষতি হয়নি। কি হবে, থাকলে তো হবে? সবাই গরিব, কারও কিছু নেই। কিন্তু ঘরের দরজা-জানালা, থালাবাসন, মাটির চুলা, মসজিদ কোনো কিছু বাদ পড়েনি। আমি যখন যাই তখন আসরের নামাজের সময়। মসজিদের বারান্দায় ভাঙা ইটপাটকেল সরিয়ে নামাজ আদায় করেছি।

শতকরা ৯০ জন মুসলমানের দেশে ১৮ দিন মসজিদে আজান হয়নি এ কথা কাকে কি বলি? রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। মসজিদে আজান হবে না, মন্দিরে কাঁসার ঘণ্টা বাজবে না, গির্জায় যিশুর নাম নেবে না, প্যাগোডায় ভগবান বৌদ্ধকে স্মরণ করা হবে না- এসবের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি। কিন্তু আজ তা-ই হচ্ছে। কর্নাইয়ে ভোটকেন্দ্রের একেবারে ২০-২৫ গজের মধ্যে কয়েকটি দোকান এবং দোকানের পেছনে সন্তোষ চন্দ্র সাহার ঘরের চাল পুড়েছে, মাটির দেয়াল পুড়েনি। মাটির দেয়াল পোড়ার কথা নয় কিন্তু ঘরের দরজা-জানালা কীভাবে অক্ষত আছে বুঝতে পারিনি।

দোচালা ছিল না ছাপরা ঠিক বলতে পারব না। কিন্তু ৪-৫ ইঞ্চি মোটা দেয়ালের পাশের ঘরও অক্ষত রয়েছে। তাই বুঝতে খুব কষ্ট হচ্ছিল আশপাশের সব কিছু রক্ষা করে কী করে আগুন জ্বলল। ঠাকুরগাঁও গড়েয়া, গোপালপুরের ঘটনাও প্রায় একই। কর্নাইয়ে আগুন একটু বেশি, গড়েয়ায় আগুন একটু কম।

কাঞ্চন নদীর তীরে মহাদেবপুর পুরুষশূন্য হওয়ায় একরের পর একর জমির আলু মাঠেই পড়ে আছে। ডিসিকে চিঠি দিয়েছি, হয় নির্বিবাদে পুরুষদের গ্রামে ফেরার ব্যবস্থা করুন অথবা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে মাঠের আলু তুলে বাজারে পেঁৗছে দিন। কয়েক দিনের মধ্যে আলু তোলা না হলে মাঠের আলু মাঠেই পচে-গলে নষ্ট হয়ে যাবে। এমনি ঘাটতির দেশে ফসল নষ্ট ভালো কথা নয়। মজার ব্যাপার! নির্বাচনে টহলরত মিলিটারি টিম, তারা একে ওকে তেমন চেনে না।

তাই ঘটনার সময় হাতেনাতে শামীম, পিতা লুৎফর রহমান, কামরুল ওরফে কামু, পিতা বাটু মিয়াকে ধরে থানায় সোপর্দ করেছিল। শোনা যায়, বর্তমান হুইপ ইকবালুর রহিম তার এই ক্যাডারদের রাত ১টায় থানা থেকে নিয়ে এসেছেন। যা নিয়ে এলাকায় ভীষণ বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। কর্নাই থেকে ফেরার পথে মাগরিবের নামাজের সময় হয়েছিল। আশপাশে মসজিদ না পেয়ে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে রাস্তায় জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ আদায় করেছি।

রাস্তার পাশে নামাজ পড়তে দেখে কিছু লোক ছুটে এসেছিল। একথা ওকথার ফাঁকে ড. ওয়াজেদ মিয়ার নামে হল দেখে যেইমাত্র বললাম, দুলাভাই ড. ওয়াজেদ বড় ভালো মানুষ ছিলেন। মুখের কথা মাটিতে পড়ার আগেই কলরব তুলে লোকজন বলে বসলেন, এই ড. ওয়াজেদ মিয়া হলের কাজও ছাত্রলীগ-যুবলীগের চাঁদাবাজের কারণে ৩-৪ মাস বন্ধ ছিল। পরে টাকা-পয়সা দিয়ে কাজ করেছে। কথা শুনে শিউরে উঠেছিলাম, বলে কি? মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বামী, তার নামে হল, তার নির্মাণকাজ তার দলীয় সন্ত্রাসীদের কারণে বন্ধ থাকে_ এটাও কি সম্ভব? খোঁজ নিয়ে জানলাম, না তাও সম্ভব।

দিনাজপুর রওনার আগে আমরা খুব ভয়ে ছিলাম, ওদিকে কেমন শীত হবে। কিন্তু আল্লাহর কি রহমত, যেদিন দিনাজপুরে গেলাম সেদিন কোনো শীতের প্রকোপ ছিল না। রাতে ঠাকুরগাঁও গিয়েছিলাম। পরদিন সারা দিন সেখানে ছিলাম। সেখানেও তাই।

সকাল ৮টায় টাঙ্গাইল থেকে দিনাজপুরের পথে রওনা হয়েছিলাম। রাস্তায় এমন কুয়াশা, কয়েক হাত সামনে দেখা যাচ্ছিল না। সিরাজগঞ্জের বগুড়ার মোড়ে পত্রিকা নিতে হাত বাড়িয়ে ছিলাম। অত সকালে কী করে সেখানে পত্রিকা পেঁৗছেছিল বুঝতে পারিনি। বগুড়া পেঁৗছতে পৌনে ১২টা বেজেছিল, দিনাজপুরে ৩.০৫ মিনিট।

সেখান থেকেই গিয়েছিলাম কর্নাই মহাদেবপুর। কোনো দিন এমন হয় না। সারা জীবন পথে চলা মানুষ। পথের হিসাব ঠিকই করতে পারি। কোথায় যাব, কোথায় শোব এগুলো নিয়ে কোথাও গরমিল বাধে না।

কিন্তু সেদিন বেধেছিল। হওয়ার কারণও ছিল। বিএনপির দিনাজপুরের সভাপতি জনাব লুৎফর রহমান মিন্টু নিয়ে গিয়েছিলেন প্রেস ক্লাবে। আমি দিনাজপুর প্রেস ক্লাবে আগে কখনো যাইনি। প্রথম গিয়েছিলাম '৭২-এর শেষে ছাত্রলীগের সম্মেলনে।

তখন দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিল মাহমুদুর রহমান সখা, সেক্রেটারি মাকসুদ। ওই প্রথম প্রেস ক্লাবে গিয়েছিলাম। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলায় এখন প্রেস ক্লাব ২-৩টা। দিনাজপুরেও দুইটাতে গেছি। একটা নিমতলী, আরেকটা যেন কি।

দুটোতেই টাঙ্গাইলের চমচম দিয়ে এসেছি। প্রেস ক্লাবে যাওয়াতে সব উল্টাপাল্টা হয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া যাওয়ার পথে জেনারেল মাহবুবুর রহমানকে ফোন করেছিলাম। দিনাজপুরে প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল মাহবুবুর রহমানের বাড়ি। তাই সৌজন্যের খাতিরে ফোন করেছিলাম।

কেন যেন তিনি সঙ্গে সঙ্গে বলেছিলেন, রাস্তার পাশেই আমার বাড়ি। পারলে মা'কে দেখে আসবেন। পাগল মানুষ, সঙ্গে সঙ্গে বলেছিলাম, নিশ্চয়ই, আপনার মা'র কাছ থেকে দোয়া নিয়ে আসব। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সিলেট থেকে ফেরার পথে ইলিয়াস আলীর বাড়ি গিয়েছিলাম। তার মা আমার মাথায় হাত দিয়ে যে দোয়া করেছিলেন, আমি অমন বুকের ভেতর থেকে নিঃসারিত দোয়া কখনো শুনেছি বলে মনে হয়নি।

জেনারেল বলেছিলেন, দিনাজপুর শহর থেকে ৫-৭ মিনিটের পথ। নিজের বাড়ি যাওয়ার সময় কেউ হিসাব করে না, হয়তো জেনারেলও করেননি। মনে হয় শহর থেকে ৪০-৫০ মিনিট লেগেছে। দূরত্ব ২০ কিলোমিটারের কম হবে না। তবে জেনারেল মাহবুবুর রহমানের বাড়ি গিয়ে খুবই ভালো লেগেছে।

তিনি নিজেও যেমন আমুদে মানুষ, সামনে পেলে উদ্বেলিত হয়ে যান, তার ভাইবোনদেরও দেখলাম তেমনি। মসজিদের গা ঘেঁষে বাড়ি। ঘরে যেতেই মা জড়িয়ে ধরলেন। মাথায় হাত দিয়ে দোয়া করলেন। ৯৮ বছরের একজন মা কেমন হবেন ভাবতে ভাবতে গিয়েছিলাম।

গিয়ে দেখলাম সুস্বাস্থ্যে ৬০ বছর বয়সীর মতো উজ্জীবিত একজন মানুষ। তার বিছানায়ই বসেছিলাম। জেনারেল মাহবুবুর রহমানের চেয়েও বেশ উৎফুল্ল। যতক্ষণ ছিলাম পাশেই ছিলেন। আমাদের টাঙ্গাইলের চমচম আমাদেরই দিতে চাচ্ছিলেন।

কিন্তু লুচি, পিঠা অনেক কিছু বানিয়ে ছিলেন। বোকা সেজেছিলাম জেনারেলের বোন, ভাই-বউদের দেখে। বাড়িতে আরও ৩ মেয়ে। মায়ের জন্য কাপড় নিয়ে গিয়েছিলাম, তাদের জন্য নেওয়া হয়নি। যদিও সাদামাঠা সাদা রঙের আরও টাঙ্গাইলের শাড়ি আমার কাছে ছিল।

কিন্তু সেগুলো চলি্লশোধর্্ব মেয়েদের দিতে ইচ্ছা করেনি। মৃদুভাষী দিনাজপুর বিএনপি সভাপতি জনাব লুৎফর রহমান মিন্টু অনেক সময় আমাদের বহরে ছিলেন। তিনি বারবার তার বাড়ি নিয়ে যেতে চাচ্ছিলেন। তাই তার বাড়ি গিয়েছিলাম। তার স্ত্রী নানা ধরনের পিঠা বানিয়েছিলেন।

ভাপা পিঠা সঙ্গে করে ঢাকা পর্যন্ত নিয়ে এসেছিলাম। খাবারের ব্যবস্থা করেছিল আমাদের এক সহযাত্রী গাজীপুরের ইকবাল সিদ্দিকীর সহকর্মী নাজমুল। ওদের লালবাগের বাড়িতে খাবার খেয়ে রাত ১০টার পর রওনা হয়ে সাড়ে ১১টায় ঠাকুরগাঁও পেঁৗছেছিলাম। এক এনজিও-র প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাত কাটিয়ে গড়েয়ায় অতি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা দেখতে বেরিয়ে ছিলাম। সব দেশের সবখানের দরিদ্র মানুষের আচার-আচরণ, চলাফেরা এক।

যে যত রঙচঙই লাগাক মূলের কোনো বদল হয় না। যে হানিফকে প্রথমে তীর এবং পরে বুকের ওপর শাবল চালিয়ে এফোঁড়-ওফোঁড় করে হত্যা করা হয়েছিল সেও এক নিদারুণ অভাগা। তার জন্মের কয়েক ঘণ্টা পর মা মারা গিয়েছিল, বাবা মরেছিল কয়েক দিন পর। সে মারা গেছে বছরখানেক বয়সের এক বাচ্চা রেখে। ছেলে কোলে হানিফের স্ত্রীর কান্নায় বুক ভারী হয়ে এসেছিল।

ক্ষমতা নেই তাও গোপালপুর প্রাইমারি স্কুলের সামনে দেওনিয়া বাজার শহীদ মিনারের বেদিমূলে দাঁড়িয়ে বলে এসেছি, যেভাবেই হোক হানিফের স্ত্রীকে আমরা এক লাখ টাকা পেঁৗছে দেব। এসেই কয়েকজনের কাছে হাত বাড়িয়েছি। দেখা যাক হাত ফিরিয়ে দেয় কিনা। ৭ দিনের মধ্যে টাকাটা দিতে চেয়েছিলাম। ঢাকায় এসে দেখছি ৭ দিনে দেওয়ার সামর্থ্য হবে না।

এসপি, ডিসিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি, এক মাসের মধ্যে হানিফের স্ত্রীর কাছে ওই অর্থ পেঁৗছানোর ব্যবস্থা করব।

দুই জেলায় যা দেখলাম তাতে সাম্প্রদায়িক অপ্রীতির কোনো নিশানা খুঁজে পাইনি। সর্বত্রই একটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাতাবরণ দেখেছি। গরিব মানুষ, তাদের জাতপাতের কোনো পার্থক্য থাকে না। তাদের এক জাত, সেটা হলো তারা গরিব।

দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও জেলার ডিসি-এসপিকে চিঠি লিখেছি, অহেতুক সাধারণ মানুষকে যেন হয়রানি না করা হয়। নির্দোষ সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিবাদে থাকতে পারে তার ব্যবস্থা করতে। কতটা কি করবেন জানি না। শতকরা ৯০ জন মুসলমানের দেশ, মহাদেবপুরের ৩টি মসজিদ- সাহাপাড়া, বকরীপাড়া ও কাঞ্চন নদীর পাড় জামে মসজিদ। দেখে এসেছি ১৮ দিন আজান হয়নি, নামাজ হয়নি।

আমি যাওয়ার আগে সেখানে কেউ যায়নি। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ, দয়া করে মুসলমানের মসজিদে আজান কেন বন্ধ নজর দিন। তাদের নামাজ পড়তে দিন। হিন্দুর মন্দিরে কাঁসার ঘণ্টা বাজুক, গির্জায় যিশুর নাম উচ্চারিত হোক, প্যাগোডাতে ভগবান বৌদ্ধের আলোচনা হোক। তবেই তো অসাম্প্রদায়িকতার প্রতিফলন হবে।

রাজনৈতিক স্বার্থ উসকে দিয়ে একবার সাম্প্রদায়িক প্রীতি নষ্ট করা হলে তা সামাল দেওয়া খুব কঠিন হবে। তাই সময় থাকতে সাধু সাবধান।

লেখক : রাজনীতিক।

 

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.