ছোটবেলা থেকেই ঘুরে বেড়াতে খুব পছন্দ করি। একটু বড় হয়ে এর সাথে যুক্ত হ’লো পড়া ও লেখালেখি, তারপর ফোটগ্রাফি।
পরদিন সকালে যথারীতি ভোর সাড়ে পাঁচটাতেই ঘুম ভাঙলো। ভোরবেলার শ্রীনগর দেখার প্রবল ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিতেই প্রচন্ড শীতের মধ্যে একা একা বেরিয়ে এলাম হোটেল রুম থেকে জগিং এর পোশাক পরে, আমার সহযাত্রীরা তখনও গভীর ঘুমে।
এই ভোরেও হোটেলের মেইনগেইট খোলা।
রহস্যটা উম্মোচিত হলো একটু পরেই যখন আমি ডাল লেইকের পাশে পাশে দৌড়ুতে লাগলাম। শ'য়ে শ'য়ে কাশ্মিরী - বয়সের ভেদাভেদ ছাড়াই সবাই হাঁটছে, দৌঁড়াচ্ছে ডাল-লেইকের পাশ ধরে। কিছুক্ষণ দৌড়ানোর পর ঠান্ডা মোটামুটি সহনীয় হয়ে এলো। ডাল লেইকের ঘাটগুলো নাম্বারি করা। এই ভোরে সেইসব ঘাট স্বাস্থ্য -উদ্ধারকারী কাশ্মিরীদের দখলে।
উল্লেখ যোগ্য যেটা দেখলাম তা হলো, নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিন্দুমাত্রও শিথিল নয় অফুস্ঠ এই ভোরেও।
স্বচ্ছতোয়া ডাল লেইকের অভ্যন্তরে প্রচুর জলজ উদ্ভিদ, ছোট-ছোট রুপোলি মাছ খেলছে সেই গুল্মলতা ঘিরে ঘিরে । হঠাৎ দেখলাম তুলতুলে ছোট ছোট বালিহাঁসের কয়েকটি ছানা জলকেলিরত । জুম লেন্স সাথে ছিল না, তাই মোটামুটি কাছে গিয়ে ছবি তুলবার জন্যে যেই ক্যামেরা তাক করেছি, সাথে সাথে তাদের দীর্ঘ ডুব সাতাঁর শুরু হয়ে গেল, এইখানে ডুব দেয় তো দুরে ওখানে গিয়ে ওঠে। শেষে ব্যর্থ হয়ে হোটেল রুমে ফিরে সবাইকে জাগিয়ে দিলাম।
সবাই ফ্রেশ হয়ে দলবেঁধে মোড়ের ছোট্ট নাস্তার দোকানটিতে ছোলাবাটুয়া ও গরম গরম পুরি সহকারে ব্র্যাকফাস্ট সারলাম। রুম ফিরে আধঘন্টার মধ্যে সবাই তৈরী হয়ে নিলাম গুলমার্গ যাওয়ার জন্যে---ইতিমধ্যে আমাদের ড্রাইভার রিয়াজভাই আমাদের জন্যে বরাদ্দ টয়োটা-ইনোভা নিয়ে হাজির। শুরু হলো গুলমার্গ যাত্রা.....
চলবে.....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।