গতকাল শেষ হয়েছে জাতীয় কবিতা উৎসব। শেষ দিনে পাঁচ পর্বে দেশ-বিদেশের নবীন-প্রবীণ কবিরা স্বরচিত ও অন্যদের কবিতা আবৃত্তি করে শোনান। জাতীয় কবিতা পরিষদের এই আয়োজনের শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হয় দুটি সেমিনারও। বেলা ১১টায় সেমিনারের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। লেখক বোরহান উদ্দীন খান জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে সেমিনারে 'কবিতা সহে না দানব-যাতনা' শীর্ষক মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাংবাদিক আবেদ খান। আলোচনা করেন একাত্তরের ঘাতক-দালাল-নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা লেখক নূহ-উল-আলম লেনিন, লেখক রণজিৎ কুমার বিশ্বাস, কবি ও অধ্যাপক কাজল বন্দোপাধ্যায় ও ঢাবি অধ্যাপক রফিক উল্লাহ খান। মূল প্রবন্ধে আবেদ খান বলেন, বাংলা ও বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো যখনই সমাজ কিংবা রাষ্ট্রব্যবস্থায় সামান্য জটিল পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে, তখনই প্রতিবাদী হয়েছে সংস্কৃতি অঙ্গন ও কবিতার ভাষা। তা যেমন বাঙালির ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা আন্দোলনে ছিল, তা এখনো বলবৎ রয়েছে। এরপর অনুষ্ঠিত হয় 'কবিতা ও মানবতার মুক্তির সংগ্রাম' শীর্ষক সেমিনার। শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক সাংবাদিক আবুল মোমেন। আলোচনা করেন লেখক আবুল হাসনাত, প্রাবন্ধিক-গবেষক মফিদুল হক, লেখক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, শেখ হাফিজুর রহমান ও লেখক ইমদাদুল হক মিলন। এই সেমিনার শেষে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিকালে দিনের চতুর্থ কবিতাপাঠ পর্বে স্বরচিত কবিতা পড়ে শোনান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ছড়াকার ইয়াফেস ওসমান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।