ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর অস্ত্র হাতে ছাত্রলীগ নেতাদের চড়াও হওয়ার ছবি প্রকাশের পর সমালোচনার মধ্যে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই সন্দেহের কথা জানানো হয়।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডির কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন,“আমরা শুনেছি, সেখানে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যানারে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের সম্পৃক্ততা ছিল। ”
সান্ধ্য কোর্স বাতিল ও বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের দাবির এই আন্দোলনের সামনের সারিতে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাদের দেখা যাচ্ছে। আন্দোলনের সমন্বয়কের দায়িত্বও পালন করছেন ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আয়াতুল্লাহ খোমেনী।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্রলীগও ওই দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিল।
রোববার শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হওয়ার আগে তারা যে মিছিল করেছিল, তার ব্যানারেও সান্ধ্য কোর্স বাতিল ও বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের দাবির বিষয়টি লেখা ছিল।
রাবি ছাত্রলীগের মিছিল
আন্দোলনকারীদের সমাবেশ
আওয়ামী লীগ নেতারা আন্দোলনে শিবিরের সম্পৃক্ততার সন্দেহের কথা প্রকাশ করলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতারা শিবিরকে দায়ী করছেন আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার জন্য।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের মুখে থাকা ছাত্রলীগ রোববারের ঘটনার জন্য দুটি মামলা করেছে সোমবার, তাতে শিবির নেতাদের আসামি করেছে। তবে শিবির নেতারা হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর অস্ত্র হাতে চড়াও হওয়া ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না- সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, “ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের সহযোগী নয় ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন। তাই তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে হলে তা নেবে ছাত্রলীগ। ”
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ইতোমধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জানিয়েছে, আর কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।