আটক দেলোয়ার হোসেন ডিলস ছাত্রলীগের ব্শ্বিবিদ্যালয় কমিটির সহ-সভাপতি। নৃবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের এই শিক্ষার্থী মাদার বখশ হলে থাকেন।
মতিহার থানার ওসি শামসুর নূর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বুধবার বিকাল ৪টার দিকে নগরীর কোর্ট এলাকা থেকে দেলোয়ারকে আটক করা হয়।
রোববার সকাল থেকে ধর্মঘটী শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলার সময় আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের গুলি ছোড়ার ছবিতে পাশে তাকেও দেখা গেছে।
ওই দিন অস্ত্র হাতে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান ইমন, আল-গালিব ও ফয়সাল আহম্মেদ রুনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান পলাশ ও নাসিম আহম্মেদ সেতু, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাকিন বিল্লাহ ও আগের কমিটির নেতা সুদীপ্ত সালাম।
বাম হাত উঁচিয়ে গুলি করতে উদ্যত নাসিম আহম্মেদ সেতুর পাশে কালো চামড়ার জ্যাকেট পরা ও ফ্রেঞ্চকাট দাড়ির দেলোয়ারকেও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
অস্ত্র হাতে এই ছাত্রলীগ নেতাদের ছবি গণমাধ্যমে প্রচারিত কিংবা প্রকাশিত হয়েছে এবং যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
সেতু ও ইমনকে ইতোমধ্যে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্র সংগঠনটি একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে।
ওসি শামসুর নূর বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ডিলসকে রাজশাহীর কোর্ট এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
অজ্ঞাতনামা আসামিদের তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ”
ধর্মঘটী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের রোববারের হামলায় অন্তত ৩০ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
ঘটনার পর দিন মতিহার থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি এবং ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দুটি মামলা হয়।
এসব মামলায় ১০৫ জনের নাম উল্লেখসহ মোট ৪৭৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।