আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাবিতে অস্ত্রধারী সবাই ছাত্রলীগের নয়: হাসিনা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রোববারের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করে মঙ্গলবার সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দাবি তোলার পর একথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, “যত জনের হাতে অস্ত্র দেখা গেছে, তাদের সকলে তো ছাত্রলীগ না। যারা ছাত্রলীগের তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। ”

তিনি আরো বলেন, “হামলা হলে আত্মরক্ষারও অধিকার আছে। তবে সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই।

আমাদের ছাত্রলীগের ছেলেদের যাদের হাতের পায়ের রগ কেটে দিয়েছে, তাদের ছবি তো দেয়া হয়নি। তখন পত্রিকা আর মানবাধিকার কর্মীরা চুপ থাকেন কেন?”

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি। সেইসঙ্গে বলেন, সেদিন ছাত্রলীগের ওপরও হামলা হয়েছিল।

কারা হামলা চালিয়েছিল, সে বিষয়ে কিছু প্রধানমন্ত্রী না বললেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ যে মামলা করেছে, তাতে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দায়ী করা হয়েছে।  

বর্ধিত ফি ও সান্ধ্য কোর্স বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হাসিনা বলেন, “বাম দলগুলোরও দেখা উচিত, তাদের আন্দোলনের নামে করা ঢুকে যাচ্ছে।

এই আন্দোলনের নামে তো শিবিরকে ঢুকতে দেয়া যায় না। ”

সংসদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে অনির্ধারিত আলোচনার সূত্রপাত করে চিহ্নিত ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তোলেন বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

সেদিন অস্ত্র হাতে থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগের যেসব নেতার ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তারা হলেন-বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহম্মেদ সেতু, মাহবুবুর রহমান পলাশ,সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান ইমন, আল-গালিব ও ফয়সাল আহম্মেদ রুনু, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাকিন বিল্লাহ ও আগের কমিটির নেতা সুদীপ্ত সালাম।

এর মধ্যে ইমন ও সেতুকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। সেই সঙ্গে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বলেছে, আর কারো দোষ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তাজুল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে বলেন, “শুধু বহিষ্কার করে এর সমাধান হবে না। ”

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এতবড় ধর্মঘট আর কখনো হয়নি। তারা ন্যায্য দাবিতে সংগ্রাম করেছে। ”

শিক্ষার্থীদের দাবি মানতে সরকারের প্রতি আহ্ব্ন জানান বিরোধী দলের এই নেতা।

“যদি সেখানে শিবির থেকে থাকে, তবে তাদের চিহ্নিত করা হোক,” বলেন এই জাপা নেতা।

 

বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, “যারা হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনা উদঘাটনে সরকারের প্রচেষ্টা রয়েছে। শাস্তি বিচারের মাধ্যমে করতে হয়। ”


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.