দেশের মহাসড়কগুলো দিন দিন ভোগান্তির প্রতিবিম্ব হয়ে উঠছে। যানজট প্রতিটি মহাসড়কের সাধারণ বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে। এই নিয়তির লিখনের জন্য পাঁচ মিনিটের রাস্তা অতিক্রম করতে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত। সড়ক পরিবহন খাতের সংশ্লিষ্টদের বিবেচনায়, দেশের আন্তঃজেলা মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়ক ও জেলা কানেকটিং রোডগুলোয় ভয়াবহ যানজটের প্রধান কারণগুলো হলো- রাস্তার ধারণক্ষমতার তুলনায় যানবাহন বেড়ে যাওয়া, রাস্তার ওপর যানবাহন বিকল হওয়া বা দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি ও ধ্বংসাবশেষ দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা না থাকা, মহাসড়কের ওপর অবৈধ হাটবাজার বসানো, চালকদের এলোপাতাড়ি চালনা, যত্রতত্র গাড়ি থামানো, ভাঙাচোরা রাস্তার বিপজ্জনক খানাখন্দ ইত্যাদি। ট্রাফিক অব্যবস্থাপনার পাশাপাশি মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদাবাজদের দৌরাত্দ্যে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। মহাসড়কগুলোর যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো দরকার। যান চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থাও নিতে হবে। মহাসড়কে হাটবাজার বসানো বন্ধ করাও দরকার। মহাসড়কে ধীরগতির যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। অপ্রয়োজনীয় স্পিডব্রেকার দুর্ঘটনার আশঙ্কা যেমন বাড়ায়, তেমনি যানজটও সৃষ্টি করে। এদিকেও সংশ্লিষ্টদের নজর দিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মহাসড়কগুলোর যেসব পয়েন্টে যানজট দেখা দেয় সেগুলোর সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের সুচিহ্নিত পয়েন্ট হলো কাঁচপুর। এ পয়েন্টে গ্রেট সেপারেটর নির্মাণ করা হলে যানজটে লাগাম টানা সম্ভব হবে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাজারের পাশে রাস্তা ফোর লেন করা হয়েছে। অন্যান্য মহাসড়কে একই উদ্যোগ নিতে হবে। যেসব স্পটে বাঁক বেশি সেসব স্পটে দুর্ঘটনা বেশি হয়। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেশকিছু বাঁক সরলিকরণ করা হলেও অন্যগুলোতে এখনো ঝুঁকি রয়েই গেছে। দেশের মহাসড়কগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা জাতীয় অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যানজট অর্থনীতির জন্য বিসংবাদ সৃষ্টি করছে। এ সমস্যার সমাধানে ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নসহ অতি দ্রুত নানামুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা ট্রাফিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।