আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফরিদপুরে জামায়াতকে নিয়ে বিব্রত বিএনপি

ফরিদপুরে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছে বিএনপি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে পর থেকে আজ অবধি স্বস্তিতে নেই বিএনপি। সর্বশেষ গত ১৪ মার্চ ফরিদপুরে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ফের জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির টানাপড়েনের সৃষ্টি হয়। বিএনপি-জামায়াত আলাদা প্রার্থী দেওয়ায় দু'দলেরই ভরাডুবি ঘটে। জামায়াতের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। প্রকাশ্যেই বিএনপি নেতারা জামায়াতের সমালোচনা করে তাদের জোট থেকে বের করে দেওয়ার দাবিও তুলেছেন। ফরিদপুর জেলা বিএনপির একাধিক নেতা অভিযোগ করে বলেছেন, ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে অাঁতাত করে রাজনীতি করছে জামায়াত। সর্বশেষ সদর উপজেলা নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থী দেওয়ায় বিএনপির প্রার্থী হেরেছে। আর এ হারের কারণে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের উপস্থিতিতে দলের নেতা-কর্মীরা জামায়াতকে জোট থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানান। সর্বশেষ জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সাপে-নেউলে সম্পর্কের সৃষ্টি হয় উপজেলা নির্বাচন ঘিরে। ১৮ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে বিএনপি মাহাবুবুর হাসান পিংকুকে মনোনয়ন দিলে জামায়াত তাদের নেতা আবদুত তাওয়াবকে মনোনয়ন দেয়। ফলে দুদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয় চরম ক্ষোভের। নির্বাচনে দুদলের প্রার্থী মাঠে থাকায় সুযোগটি হাতছাড়া করেনি আওয়ামী লীগ। ফলে প্রায় ২১ হাজার ভোটে জিতে যায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী। বিএনপি প্রার্থী পান প্রায় ৭০ হাজার ভোট আর জামায়াত প্রার্থী পান ১৯ হাজার ভোট। বিএনপি-জামায়াত মিলে একক প্রার্থী দিলে তাদের প্রার্থীরই জয় হতো বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। এ ব্যাপারে ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মাহাবুবুল হাসান পিংকু জামায়াতের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, বিএনপির ঘাঁটিতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে জামায়াত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.