আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পারস্যে আরব আধিপত্য

পারস্য সম্রাট নওশেরওয়ান ইতিহাসে দাম্ভিক শাসক হিসেবে পরিচিত। ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পত্র দিয়ে তার কাছে এক দূত প্রেরণ করেন। তিনি পত্র ছিঁড়ে ফেলে দূতকে তার দরবার থেকে বের করে দেন। অতঃপর তৃতীয় ইয়াযদিজার্দের রাজত্বকালে পারস্য সাম্রাজ্য আরবদের পদানত হয়।

পারসিকরা জরোস্ট্রীয় ধর্মে বিশ্বাসী ছিল। এ ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন জরোস্টার। তার প্রবর্তিত ধর্মের বিষয়বস্তু হলো, বিশ্বজগৎ 'আহোরা মাজ্দা' ও 'আহরিমন' নামে দুটি পরস্পরবিরোধী শক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। প্রথমটি হলো মঙ্গলের দেবতা এবং এর প্রতীক হলো অগি্ন। তাই পারসিকদের অগি্ন-উপাসকও বলা হয়। দ্বিতীয়টি হলো অমঙ্গলের দেবতা। আহরিমন সব সময় অনাবৃষ্টি, মহামারী প্রভৃতি অমঙ্গলের দ্বারা সৃষ্টির ধ্বংস সাধনে সচেষ্ট। জরোস্টারের মতে, এ দুটি পরস্পরবিরোধী শক্তির সংঘর্ষের মধ্যেই মানুষের মুক্তি নিহিত। জরোস্টারের মৃত্যুর বহুকাল পর তার অনুসারীরা তার কথিত বাণীসমূহ একটি গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করে। এ গ্রন্থের নাম 'জেন্দাবেস্তা'। বিশ্ব-সংস্কৃতিতে যে কয়েকটি প্রাচীন ধর্মের অবদান স্মরণীয়, জরোস্ট্রীয় ধর্ম এদের অন্যতম। জরোস্ট্রীয় ধর্ম পারসিকদের ধর্ম হলেও এটা ইহুদি ও খ্রিস্টধর্মের ওপরও যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করতে সমর্থ হয়। নৈতিক চরিত্র গঠনে জরোস্ট্রীয় ধর্মের বিশেষ অবদান রয়েছে। সম্ভবত এ ধর্মমত থেকেই ইহুদি ও খ্রিস্টধর্মের ভালো-মন্দের ধারণা জন্ম লাভ করে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.