আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার দুর্গন্ধ!



আমাদের ইউনিভার্সিটিগুলো কিছু কথিত ছাত্র উতপাদন করেছে, এরা বিদেশে একটা স্কলারশীপ ম্যানেজ করে চলে যায়। দেশ থেকে চিঁড়ে নিয়ে যায় পয়সা বাঁচাতে, ঘুরে ফিরে বাঙ্গালী গিল্ডে কচলা কচলি করে। কোন ইউরোপীয়র খেয়ে দেয়ে কাজ নেই যে একটা বুক ওয়ার্ম গবেটের সঙ্গে তার সুন্দর সন্ধ্যা নষ্ট করবে। এদের চেহারার উপর বড় বড় করে লেখা থাকে, আমাকে দেখুন; আমি ইউরোপ জয় করেছি।

সবদেশের মানুষ হাসতে হাসতে ঘুরে বেড়ায়।

কিন্তু ঐ মি ছাগল নাইয়া বা বারিধারা চেহারা কন্সটিপেটেড করে ঘুরে। একটা ভং ধরে। এদের মধ্যে ছাগুগুলো খোয়াড় খুঁজে বের করে নানা দেশের ছাগু নিয়ে তেঁতুলাশ্রয়ী অশ্লীল জলসা করে বেড়ায়।

ঝামেলায় পড়ে যায় প্রগতিশীল সেজে ঘোরা বাঁদরগুলো। কত আর একা থাকা যায়।

এদিকে ধনুক ভাঙ্গা পণ; বাঙ্গালী শ্রমিকের সঙ্গে মেশা যাবে না। কেনরে বাপ, তুই কোন প্রিন্স অফ ডেনমার্ক উইঠা আসছোস? নিজের অতীতকে অসম্ভব ভয় পায় এসব হীনমন্য বাঁদর।

এদের যেহেতু সারাদিন মুখ শুকনা করে একা একা ঘোরা জীবন; ক্রমশঃ হতাশা থেকে হিংস্র হয়ে ওঠে এরা। তখন এদের কাজ, ঢাকায় কে কী করলো, কী খাইলো, কী পরলো, কী বললো এগুলি নিয়ে ফেসবুকে লেবু চটকানো। এখন শূয়োরে চেনে কচুবন।

চারপাঁচটা আরো বঞ্চিত অনাবাসী জুটে যায়; এরা নিজেরা জীবনে দেশের বা মানুষের জন্য কিছু করে নাই, করছেও না; বয়স চলে গেছে; ফলে আর সময়ও নাই কিছু করার, আখের গোছানোর ব্যস্ততায় হারিয়ে গেছে জীবনের প্রাইম টাইম। সুতরাং কয়েকটি মর্কট এক জায়গায় হয়ে; জীন সঞ্জাত গালিগালাজ করে। ঐ যে বাপ মার সামনে খিস্তি করতো, দাদা দাদীর সঙ্গে; সুতরাং সে ফেসবুকে চলে আসে অক্ষমতার ক্রোধ মৈথুনে।

একবার এক নব্য শিক্ষিত বঞ্চিত বালক আমাকে জিজ্ঞেস করলো, আপনি কন্সট্রাকশন ওয়ার্কারের সঙ্গে এতো মেশেন কেন? বঞ্চিত চায় সারাক্ষণ তার সঙ্গে বসে ইন্টেলেকচুয়াল ক্রোধ মৈথুন করতে হবে। বঞ্চিতের ওভারকোট থেকে শূয়োরের গন্ধ ছুটেছিল।



অথচ সেই নির্মাণ শ্রমিকের কাছ থেকে সব সময় বাংলাদেশের শ্যামল গন্ধ আর উষ্ণতার অপূর্ব মিশেল। তাহলে শিক্ষা, সভ্যতা বা সংস্কৃতির সংজ্ঞা কী?

যে শিক্ষা মানুষকে মানুষ হিসেবে সম্মান জানানোর প্রাথমিক জ্ঞান দিতে পারেনা; ঐ শিক্ষা দিয়ে কী হবে। এরচেয়ে জীবনের স্কুলে পড়া বাংলাদেশী শ্রমিক অনেক শিক্ষিত। এরাই আমাদের রেমিটেন্স মৃগয়ার লড়াকু অর্জুন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.