চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সাবেক জিওসি মেজর জেনারেল এম আবুল মঞ্জুর হত্যা মামলায় আবার যুক্তিতর্ক শুনবেন বিচারক। গতকাল রায় ঘোষণার দিন ছিল। তা প্রত্যাহার করে ২৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তিতর্ক ও শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ খন্দকার হাসান মোহাম্মদ ফিরোজ। এ প্রসঙ্গে মামলায় সরকার পক্ষের অতিরিক্ত কেঁৗসুলি আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, মামলায় নতুন বিচারক নিয়োগের কারণে বিচারক নতুন করে যুক্তিতর্ক শুনতে চেয়েছেন। তিনি মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে মামলা সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত হবেন। তাই নতুন করে যুক্তিতর্ক শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন। ২৯ জানুয়ারি বিচারক বদলিসংক্রান্ত আদেশ দেওয়া হলেও ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলার বিচারক পরিবর্তন হয়। আগের বিচারক হোসনে আরা আকতারকে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় গত বছর। ২৪ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হওয়ার পরও আদালত ২২ জানুয়ারি অধিকতর শুনানির দিন ধার্য করেন। ২২ জানুয়ারি শুনানি শেষে মামলায় রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করা হয়। এর আগে গতকাল বেলা সোয়া ১১টার দিকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে বিশেষ আদালতে হাজির হন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত, সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য, এরশাদের ভাই জি এম কাদের। এরশাদসহ এ মামলার পাঁচ আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। তবে গতকাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন এরশাদসহ তিনজন। অন্য দুজন মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফ ও লে. কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের বিরুদ্ধে ১৯ বছর ধরে চলমান এ মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ১৯৮১ সালের ১ জুন মধ্যরাতে তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদের পরিকল্পনা ও নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল এম এ মঞ্জুরকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে আটক অবস্থায় গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুরের ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ২৭ জুন এরশাদসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। অভিযোগপত্রভুক্ত বাকি আসামিরা হলেন মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফ, মেজর কাজী এমদাদুল হক, লে. কর্নেল শামসুর রহমান শামস ও লে. কর্নেল মোস্তফা কামাল উদ্দিন। ব্রিগেডিয়ার আজিজ ও নায়েক সুবেদার আবদুল মালেক মারা যাওয়ায় অভিযোগপত্রে তাদের আসামি করা হয়নি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।