দিনাজপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সিদ্দিক গজনবীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আরেক পক্ষের সাবেক জেলা কমান্ডার মোকাদ্দেস হোসেন বাবলু আহত হয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, সদ্য বিলুপ্ত জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন বাবলুর সঙ্গে সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সিদ্দিক গজনবীর মধ্যে প্রভাব বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ অবস্থায় গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দিনাজপুর এলজিইডি ভবন চত্বরে রংপুর বিভাগীয় জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের সঙ্গে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল নেতাদের মতবিনিময় সভা শুরু হয়। সভায় বক্তব্য দেওয়ার জন্য সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন বাবলু মঞ্চে উঠলে এর প্রতিবাদ জানান গজনবীর সমর্থকেরা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ চেয়ার ভাঙচুর ও মঞ্চে রাখা স্ট্যান্ডফ্যান, মাইকের স্ট্যান্ড একে অপরকে ছুড়ে মারা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সিদ্দিক গজনবী (৬৩), সহ-ডেপুটি কমান্ডার রেজাউল ইসলাম ঝনু (৬৭), সহদেব চন্দ্র রায় (৬৫), আলাউদ্দীন (৬৫), গাড়ি চালক মো. সোনা মিয়া (৪২) ও সিদ্দিক গজনবীর ভাতিজা মো. নাসিমকে (৩৫) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহ-কমান্ডার রেজাউল ইসলাম ঝনু জানান, মোকাদ্দেস হোসেন বাবলুর নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একদল বহিরাগত ক্যাডার পূর্বপরিকল্পিতভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের মতবিনিময় সভায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে। সাবেক জেলা কমান্ডার মোকাদ্দেস হোসেন বাবলু এ অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করেন, সিদ্দিক গজনবীর লোকজন আমার ওপর হামলা করেছে। এদিকে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা জানান, গতকালের মতবিনিময় সভা স্টেশন রোডের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও গত কদিন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার মণ্ডল শুক্রবার রাতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। এ অবস্থায় মতবিনিময় সভাটিকে এলজিইডি ভবন চত্বরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করার ব্যবস্থা করা হয়। এ ব্যাপারে অনুষ্ঠানে আগত কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমানের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল কাদের জিলানী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি বলে তিনি জানান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।