খুলনা বিভাগে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ শিল্পে কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকলেও সম্ভাবনা রয়েছে অফুরন্ত। একই সঙ্গে আঞ্চলিক বৈষম্যসহ প্রয়োজনীয় শিল্পবান্ধব সুযোগ- সুবিধা না থাকায় সার্বিক বিনিয়োগের পরিমাণ কমেছে। ভাটা পড়েছে ভারী শিল্পে। খুলনা বিভাগীয় বিনিয়োগ বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ১০ বছরে খুলনাঞ্চলে মোট ২৩২টি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে ২০১২ সালে গড়ে ওঠা ১৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ হয় ৬০৬৮ দশমিক ০১৮ মিলিয়ন টাকা। গেল ২০১৩ সালে গড়ে ওঠা ২৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ হয় ৪২০৪ দশমিক ৫৬০ মিলিয়ন টাকা। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়লেও বিনিয়োগ কমেছে প্রায় ১৮৬৪ মিলিয়ন টাকা। বিনিয়োগ বিশ্লেষকরা মনে করেন, ২০০৫ সালের পর থেকেই মূলত খুলনাঞ্চলে শিল্প প্রতিষ্ঠানের ধরন বদলাতে শুরু করে। এ সময় ভারী শিল্পের পরিবর্তে ক্ষুত্র ও মাঝারী শিল্পের প্রতি বিনিয়োগে আগ্রহ সৃষ্টি হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদি হাসান মো. হেফজুর রহমান বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ, সড়ক যোগাযোগ উন্নতসহ পদ্মা সেতু ও বিমান বন্দরের ব্যবস্থা করতে পারলে ভারী শিল্প গড়ে উঠবে। এর রসদ জোগান দিতে ছোট ও মাঝারি শিল্প গড়ে উঠতে বাধ্য। কারণ দক্ষিণাঞ্চলে বড় শিল্পের প্রয়োজনীয় জমি তুলনামূলক সস্তায় পাওয়া যায়। জনবলও সস্তা। কিন্তু প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা না থাকায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পই গড়ে উঠছে। বিনিয়োগ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোর জেলায় চিংড়ি উপখাতে শিল্প উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে বেশি আগ্রহী ছিল। এ সময়ে কৃষিজ ও মিল কারখানায় ব্যবহৃত খুচরা যন্ত্রাংশ পাম্প, লেদ মেশিন, ফুড অ্যান্ড অ্যালাউড, ওষুধ তৈরি শিল্প খাতেও বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে। তবে সম্প্রতি সার্ভিস খাত (ক্লিনিক হাসপাতাল হোটেল) বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।