এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে যা শুনলাম- এই কনসার্টে দেশীয় শিল্পীদের অবজ্ঞা করা হয়েছে। মাইলস কে স্টেজে উঠতে দেওয়া হয় নাই। বাংলাদেশী শিল্পীদের জন্যে আলাদা গ্রীন রুম রাখা হয়েছে নন এসি। সাউন্ড সিস্টেম আলাদা দেওয়া হয়েছে। স্টেজে উঠে রিহার্সেল করতে দেওয়া হয়নি।
সুত্র - Arif R Hossain
পারফর্ম করার সময় দর্শকদের তালি দিতে কষ্ট হচ্ছিলো...
দুঃখে আইয়ুব বাচ্চু ... বলে ফেললেনঃ
"আপনারা যারা কষ্ট করে বাংলা গান শুনছেন তাদের অনেক ধন্যবাদ ... আপনাদের হাত না চলুক, চোখ আর কান তো খোলা আছে ... এতেই চলবে, হাততালি এখন খরচ করে লাভ নেই ... হাততালি পরের জন্য রেখে দিন, চোখ কান খোলা আছে এটাই যথেষ্ট ... আপনারা ধৈর্য ধরে বাংলা গান শুনছেন, তার জন্য অনেক ধন্যবাদ ... Love You Guyz ... আর একটি গান গাইবো কেবল !!"
আমার কিছু কথা ছিল-
টি-২০ বিশ্বকাপের জন্যে কোন উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানের নিয়ম আইসিসি'র নেই। বিসিবি'র টাকা পয়সা মনে হয় বেড়ে গেছে তাই নিজ উদ্দ্যোগে একটা কনসার্টের আয়োজন করেছে। নাম দিছে বিসিবি সেলিব্রেশন কনসার্ট। আইচ্ছা যাউজ্ঞা...
বিসিবি'র উদ্দ্যোগে বাংলাদেশের মাটিতে কনসার্ট হচ্ছে। কিন্তু এই কনসার্টের কমিউনিকেশন দেখে বুঝা মুশকিল যে এইটাতে বাংলাদেশের কোন শিল্পীর অংশগ্রহণ আছে।
দেশের মাটিতে স্বাধীনতার মাসে যদি কোন পাকিস্থানী শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানানো হইত তাইলে আমাদের চেতনা দাঁড়িয়ে যেত। এবং সেইটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোটি টাকা খরচ করে ভারত থেকে আমদানী করা শিল্পীরা সেই কখন থেকে কি হিন্দিতে বলে যাচ্ছে কিছুই বুঝতেছিনা... আমাদের আম জনতার দেখি চেতনাও দাড়াইতেছেনা। । আইসিসি আয়োজিত কোন উদ্ভোধনী প্রোগ্রাম নয় তাও দেখলাম উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানের সময় শরীরে বাঘ নিয়ে ঘুরা বাংলাদেশের ওই ব্যাক্তিটির হাতে বাংলাদেশের পতাকার সাথে গায়ে ভারতের পতাকা অঙ্কিত ও হাতে ভারতের পতাকা নিয়ে ঘুরা এক ব্যাক্তিও পত পত করে উড়াচ্ছেন।
একবার চিন্তা করুন বাংলাদেশের পতাকার সাথে যদি পাকিস্থানী পতাকা উড়ত তাহলে আমাদের চেতনা তো তৎক্ষনাত দাঁড়িয়ে যেত এবং সেইটাই স্বাভাবিক।
অনেকে বলে ভারত যেইখানে আসে সেইখানে পাকিস্থানকে টানেন কেন। জি ভাই, ভারত যেইখানে আসবে অটোমেটিক সেইখানে পাকিস্থানের প্রসংগ আসবেই। কারন ছোট থেকে এই ধারাই শিখে আসছি... এবং যারা পাকিস্থানের বেলায় উচ্চকণ্ঠ থাকেন কিন্তু ভারতের বেলায় দাশসুলভ আচরণ করেন তারা দালাল। দুই পক্ষের বেলায়ই আমাদের উচ্চকন্ঠ থাকতে হবে।
।
দেখলাম অদিত নারায়ন গান গাইছে......
যদ্দুর জানি উনি আব্দুল হাদী, সুবীর নন্দীদের সাথের শিল্পী। তাইলে নারায়ন সাহেবের হিন্দিতে গাওয়া ওই গানটার চেয়ে আব্দুল জাব্বারের তুনি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়... গানটা কি ভাল হত না??? এখন দেখি জিয়া রে জিয়া...... জিয়া রে জিয়া চলতেছে। মনে হচ্ছে ইন্ডিয়ার কোন অংশে এই অনুষ্ঠান হচ্ছে। ।
আর এই প্রথম দেখলাম কোন গানের কনসার্টে কোন প্রধানমন্ত্রী ভাষন দিয়েছেন!!! গত বিদেশ মন্ত্রীর মত যেখানে সেখানে না গিয়ে দেশের যে আরো বহু কাজ পড়ে আছে তার দিকে নজর দেওয়া উচিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।