আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিসিবি আয়োজিত ওপেনিং সিরিমনি নিয়ে কিছু বলছি, শুনবেন?



আজকে বিসিবির আয়োজিত ওপেনিং সিরিমনিতে একের পর হিন্দি গান চলা, আইয়ুব বাচ্চুর বলা "আপনারা ধৈর্য ধরে বাংলা গান শুনছেন, তার জন্য অনেক ধন্যবাদ" বলা, মাইলসকে স্টেজে উঠতে না দেয়া, স্বল্প পোশাকে রমণীদের 'টুহ' দোলানি, আমাদের দেশীও শিল্পীদেরকে হাইলাইট না করা, এইসব দেখার পর মনে হইতেছে অনুষ্ঠানটা আসলে বাংলাদেশে হইতেছে না, হইতেছে ভারতে; ভারতকে উপস্থাপন করা হইতেছে।

কিছুদিন আগে টি২০-এর জন্য বানানো মিউজিক ভিডিও দেখে আমাদের দেশপ্রেম তো পুরা উথলায় পড়তেছিল। সেটা নিয়ে কত কথা, কত লাফানো ঝাঁপানো হইল। দেশপ্রেম নাই আমাদের, মিউজিক ভিডিওতে দেশকে রিপ্রেজেন্ট করা হয় নাই, হ্যান হয় নাই, ত্যান হয় নাই। আজকে ২০০০-৭৫০০০ টাকা দিয়া টিকেট কাইটা কোন বালের দেশপ্রেম দেখাইতে গেছে কে জানে! ওইটা তো বাংলাদেশের কোন অনুষ্ঠান ছিল না, ছিল ভারতের অনুষ্ঠান।

ভারতকে তো মনে হয় ভারতেও এত ভালভাবে উপস্থাপন করা হয় না।

বাইরের দেশের শিল্পীরা আমাদের শিল্পীদের যদি আন্ডার ইস্টিমেট করে তাহলে সেটা কোন রকমে হজম করা যায়, কিন্তু নিজের দেশের মানুষরাই/শিল্পীরাই যখন নিজের দেশের শিল্পীদের আন্ডার ইস্টিমেট করে তখন সেটা হজম করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। এ আর রহমান, একন এরা বাংলাদেশে আসছে ভাল কথা। যেহেতু এরা আন্তর্জাতিক লেভেলের শিল্পী তাই তদের প্রাপ্য সম্মান আমরা অবশ্যই দিব, কিন্তু অবশ্যই নিজেদের দেশের শিল্পীদেরকে হেয় না করে। তারা আন্তর্জাতিক লেভেলের শিল্পী হইতে পারে, তবে এর মানে এই না যে আমাদের শিল্পীরা তাদের চেয়ে কোন অংশে কম গুণী।

তাদের মত আমাদের দেশের জনসংখ্যা যদি ১০০ কোটি হইত তাহলে আমাদের শিল্পীদের ফ্যান সংখ্যাও কোটি ছাড়াইত। আমরা যদি তাদের মত নিজের ভালটা নিজে বুঝতাম তাহলে আমাদের শিল্পীরাও আজকে আন্তর্জাতিক মানের হইত। কিন্তু আমরা তো সেটা শিখি নাই, আমরা শিখছি আরেকজনের পা চাটতে। নিজের চার আনা ভালর জন্য দেশের আট আনা ক্ষতি করতেও আমাদের গায়ে লাগেনা। লাগবে ক্যামনে? আমাদের দেশপ্রেম আর চেতনা তো ওই কয়েকটা দিবস আর শাহবাগের গোল চত্তরেই সীমাবদ্ধ।

এর বাইরে আমরা সবাই ভারত পাকিস্তানের পা চাটা কুত্তা ব্যতিত কিছুই না।

বুঝতেছি না আমরা কি আসলেই দিনের পর দিন ভারতের পা চাটা কুত্তায় পরিণত হইতেছি নাকি?! মাঝে মধ্যে আমার মনে হয় বাংলাদেশের জন্মই হইছে ভারতের পা চাটার জন্য, আর কিছুই না। যুদ্ধের ওই নয়টা মাস সাপোর্ট দেয়ার পর যেন তারা আমাদেরকে কিনে ফেলছে, গত তেতাল্লিশটা বছর ধরে যে হাসিমুখে গোয়ামারা দিয়ে যাইতেছে ওইটা আমাদের মাথায়ই নাই। আমাদের সব কিছু নিজেদের করে নিতেছে, তারপরও আমরা তাদের পা চাটায় ব্যস্ত। আমাদের ভারত প্রীতি দেখে হয়ত ভারতীয়রা নিজেরাই লজ্জা বোধ করে কারন তাদের নিজেদের চেয়ে আমাদেরই বোধহয় ভারতপ্রীতি বেশি।

এতটাই বেশি যে এখন বাংলাদেশে বসেই আমরা ভারতে থাকার ফিল নিতে পারি, বাংলাদেশেই এখন ভারতকে রিপ্রেজেন্ট করা হয়।

স্যালুট বিসিবি, স্যালুট আমাদের দেশপ্রেম, স্যালুট চেতনা!!!

যাই, এখন বেবি ডল শুইনা মাইন্ডটা ফ্রেশ কইরা আসি :/

© লিসান

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।