আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিসিবি সেলিব্রেশন কন্সার্ট নিয়ে আলোচনা শেষ হবার আগে কিছু কথা লিখে যাই

হাজারটা স্বপ্ন একটি বাস্তবতাকে বদলাতে পারে না

বিসিবি'র এই কন্সার্টখানা আমাদের কি শিক্ষা দেয়?

আমি যদিও অনুষ্ঠানটা দেখিনি, দেখার ইচ্ছেও ছিল না, তবে লোকের মুখে শুনে শুনে যা জেনেছি তার ভিত্তিতেই লিখছি। টিকেটের মূল্য ছিল অনেক, দুই থেকে সাড়ে সাত হাজার বোধহয়, আমার ভুলও হতে পারে। তার উপর লাইভ টেলিকাস্টও হচ্ছিল, মানে লোকে ফ্রি'তেও দেখতে পেত। টিএসসি'র মোড়ে লাগানো হয়েছে বিশাল টিভি স্ক্রিন। অর্থাৎ ঢাবি'র ছেলেপিলেরাও টিকেট কেটে দেখতে যাবে বলে মনে হয় না।

তারপরও নাকি দর্শকের ঢল নেমেছে। সেই দর্শকেরা আবার আইয়ুব বাচ্চু'র গান শুনে হাত উঠায় না বা তালি দেয় না। মাইলস্‌কে গান না গেয়ে ফিরে যেতে হয়। এটা নিয়ে কোন খোড়া যুক্তি পরে দাড় করানো হয় তার অপেক্ষায় আছি।

ভারতবর্ষের সবচেয়ে ধনী কমিডিয়ান মতান্তরে সুপার হিরো শাহরুখ খান একবার ঢাকা এসেছিল শো করতে।

সেটার টিকেট মূল্য আরো বেশি ছিল, তবু বহু লোক তা দেখতে গেছে। সেদিন এক বাসের কন্ডাকটরের মুখে খুব আফসোস শুনলাম। কারণ তার টাকা নেই বলে সে শো দেখতে পারল না। বাসের পিছে বসে থাকা এক "দুষ্টুছেলে" তার আফসোস নিয়ে হাসাহাসি করে। তা দেখে কন্ডাকটর বেটা তাকে "দুষ্টুছেলে" বলে মুখ বাকায়।



বুঝতেই পারছেন, যদি টিকেট মূল্য সকলের আয়ত্বে থাকত, তবে অবস্থা কি দাড়াত একটু অনুমান করি। তাই ফেবু আর ব্লগের "দুষ্টুলোক"দের বলি, কি লাভ হল এত চিল্লাচিল্লি করে, এত এত কি-বোর্ডে ঝড় তুলে, রাত জেগে আয়ুব বাচ্চু আর মাইলসের জন্য কান্নাকাটি করে? তারচেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কথাই ঠিক, এদেশের মানুষ কাকে ভোট দিতে হবে তাও জানে না। মানে কার গান শুনতে হবে, কাকে কতটুকু সম্মান দেখাতে হবে তাও জানে না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।