পথে পথে আল্পনা অাঁকা। গাছে গাছে লাল-নীল বাতি রঙিন বাতি। নগরীর প্রতিটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বিশ্বকাপের লোগো, বিলবোর্ডে সাঁটানো পণ্যের বিজ্ঞাপনকে আড়াল করে ক্রিকেটারদের জন্য লেখা 'শুভ কামনা' বার্তা। নগরীর বিভিন্ন সড়কে পথনির্দেশক (ইনডিকেটর) সাইনবোর্ডে তীর চিহ্ন দিয়ে লেখা_ 'সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়াম এইদিকে।' চারিদিকে সাজ সাজ রব দেখে মনে হয়েছে নগরীর সব পথ যেন মিলেছে সিলেট স্টেডিয়ামে। সব পথিকের গন্তব্য একটাই, স্টেডিয়াম! এ সবকিছু টি-২০ বিশ্বকাপকে ঘিরে। কাল ছিল সিলেট স্টেডিয়ামের অভিষেক। অনুপম সৌন্দর্যের এই স্টেডিয়ামের অভিষেক হয়েছে স্মরণীয় এক ম্যাচ দিয়ে। এরচেয়ে বর্ণিল, স্বর্ণালি অভিষেক আর হতেই পারে না! স্টেডিয়ামের অভিষেক ম্যাচে আয়ারল্যান্ড শেষ বলে হারিয়েছে টেস্ট খেলুড়ে দেশ জিম্বাবুয়েকে। টি-২০ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের খেলায় ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতে চূড়ান্ত পর্বের পথটা অনেকটা মসৃণ করে নিয়েছে আইরিশরা।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য আয়ারল্যান্ডের দরকার মাত্র চার রান। হাতে ৫ উইকেট। এমন সমীকরণটাতেই কঠিন করে দেন জিম্বাবুয়ের পেসার পানিয়াঙ্গারা। প্রথম দুই বলে দুই রান নিয়ে কাজটা সহজ করে নেন দুই আইরিশ ব্যাটসম্যান। চার বলে দুই রান। জয়োৎসবে মেতে উঠতে সাজঘরের বাইরে চলে আসেন আইরিশ ক্রিকেটাররা। কিন্তু পানিয়াঙ্গারা তৃতীয় বলে এডি জয়েসকে বোল্ড করে জমিয়ে তুলেন খেলাকে। পরের বলে সোরেনসন রান আউট। দরকার দুই বলে দুই রান। থম্পসন পঞ্চম বলটিকে থার্ড ম্যানে খেলেই দ্রুত প্রান্ত বদল করে নেন। দুই দলের রান তখন সমান, ১৬৩। এক বলও বাকি তখন। যদি এই বলে কোনো রান না দেন পানিয়াঙ্গারা, তাহলে 'টাই' হবে ম্যাচ এবং ফলাফল নির্ধারিত হবে সুপার ওভারে! এমন সমীকরণের সময় জিম্বাবুয়ের উইকেটরক্ষক ব্রেন্ডন টেলর যদি সরাসরি বলটিকে উইকেটে লাগাতে পারতেন, তাহলেই ম্যাচ গড়াতো সুপার ওভারে। কিন্তু পারেননি। দ্রুত রান নিয়ে ম্যাচটি জিতে নেয় আয়ারল্যান্ড। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৩ রান করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন অধিনায়ক টেলর মাত্র ৪৬ বলে। যাতে ছিল ৬টি চার ও ২টি ছক্কা। শেষ বলে জিতলেও ওপেনার পল স্টার্লিং হয়েছেন ম্যাচ সেরা। ৬০ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেছেন মাত্র ৩৪ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায়। অবশ্য দলের জয়টা সহজ করে দেন স্টার্লিং ও উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড জুটি। দুই ওপেনার মাত্র ৮.২ ওভারে ৮০ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। পোর্টারফিল্ড করেন ৩১ রান। ম্যাচকে জমিয়ে তোলার পানিয়াঙ্গারা ৪ উইকেট নেন ৩৭ রনের খরচে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।