চলন্ত ট্রেনে হকার থেকে শুরু করে ভণ্ড ফকির-ওঝার উপদ্রব বেড়ে গেছে। এক সময় এদের বিচরণ নিম্ন ক্লাসে থাকলেও এখন তা প্রথম শ্রেণীর কমপার্টমেন্টেও অবাধে চলছে। এতে যাত্রীরা নানা সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ জন্য রেল পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হায়দার আলী নামের একজন যাত্রী বলেন, এক ভ্রাম্যমাণ হকারকে ট্রেন থেকে নেমে যাওয়ার অনুরোধ করলে তার প্রতি উত্তরে ওই হকার দম্ভুক্তির সুরে অসুবিধা হলে আমাকেই নেমে যেতে নির্দেশ দেন। এ ধরনের ঘটনার কথা স্বীকার করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (সিসিএম) বেলাল উদ্দিন বলেন, গত ৩ সপ্তাহ ধরেই পূর্বাঞ্চলের ২২০টি ট্রেনের মধ্যে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আর এসব ট্রেনের মধ্যে টিটি আছে মাত্র ১২৬ জন। এতে বেশিরভাগ ট্রেনের লোকবল সংকটের কারণে যাত্রীদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। এসব হকারদের বাধা দিতে গিয়ে অনেক রেল কর্মচারীকে মারধরও করেছেন হকাররা। তারপরও যাত্রী সেবায় তাদের প্রতিরোধের এই অল্পসংখ্যক লোক দিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।