ব্যাপারটা অনুমিতই ছিল। সংবাদ সম্মেলনেও বোধ হয় তার প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ইনিংসের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যাট হাতে যুবরাজ সিংয়ের অভাবনীয় ব্যর্থতাই আজকের বিপর্যয়ের মূল কারণ কি না—এ ব্যাপারে ‘মিস্টার কুল’ জবাবটা দিলেন সোজা-সাপটাই, ‘কারও ঘাড়ে দোষ নাইবা চাপালাম। যুবরাজ চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি। আমরা ব্যাপারটা এভাবেই দেখি।
’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ভারতীয় সাংবাদিকেরাও কোমর বেঁধেই এসেছিলেন। কিছুটা ম্লান যুবরাজ সিংকে ৪ নম্বরে না পাঠিয়ে সুরেশ রায়নাকে অথবা ধোনি নিজেও ব্যাটিংয়ে যেতে পারতেন কি না, এ ব্যাপারে প্রশ্ন কিছুক্ষণ পিছু ধাওয়া করল ধোনির। ভারত অধিনায়কও এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিলেন কোনো প্রকার জড়তা ছাড়াই, ‘আমাদের দলে প্রায় সবাই ভালো টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান। যুবরাজও যে দারুণ টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান, সেটা সবাই জানে। আমরা আসলে ইনিংসের ওই সময়টা একটা ডানহাতি-বাঁহাতি মিশ্রণ রাখতে চেয়েছিলাম।
সুরেশ রায়নাকেও পাঁচে রাখা হয়েছিল যেন সেই ডান-বামের ব্যাপারটা অক্ষুণ্ন থাকে। প্রতিপক্ষের বোলিংকে বিভ্রান্তিতে ফেলার জন্যই যুবরাজকে চার আর রায়নাকে পাঁচে রাখা হয়েছিল। ’
বিশ্বকাপটা জিততে না পারলেও দলের পারফরম্যান্সে অখুশি নন ধোনি, ‘আমরা পুরো প্রতিযোগিতাতেই ভালো করেছি। কিন্তু আজ আমাদের ভাগ্য সহায় ছিল না। প্রতিযোগিতার শুরু থেকে এমনকি প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতেও আমরা দারুণ খেলেছি।
প্রত্যেক খেলোয়াড়ই ভালো খেলেছে। বিরাট কোহলি তো ছিল অসাধারণ। ’
১৩০ রান নিয়েও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন ধোনি, ‘হেরে যাওয়াটা তো হতাশারই। আমিও হতাশ। তবে ১৩০ রান নিয়ে লড়াই করতে আমাদের খুব ভালো বল করতে হতো।
আজ সেটা হয়নি। ’
শ্রীলঙ্কার প্রশংসাটা করতে অবশ্য ভোলেননি তিনি, ‘তারা অসাধারণ খেলেছে। এটাই মূল কথা। বোলিংটা তো হয়েছে অনন্য। মালিঙ্গা এমনিতেই ইয়র্কার দিতে খুব পছন্দ করে, আজ সে তার ক্ষমতাটা প্রয়োগ করেছে বেশ ভালোভাবেই।
তারা আজ সবদিক দিয়ে আমাদের ছাড়িয়ে গেছে। জয়টা ওদের প্রাপ্য ছিলই। ’
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।