আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুর্ঘটনার ব্যাখ্যা চায় চীনে নিহতদের স্বজনেরা

সোমবার উত্তরপূর্ব চীনের জিলিন প্রদেশের দেহুই শহরে ওই পোল্ট্রি প্ল্যান্টে আগুন লেগে অন্ততপক্ষে ১২০ জন শ্রমিক নিহত হয়। সাম্প্রতিক সময় এটি চীনের সবচেয়ে ভয়াবহ কারখানা দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার নিহত শ্রমিকদের কিছু স্বজন দেহুই শহরের একটি রাস্তার মাঝখানে হাঁটু গেড়ে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় একশরও বেশি মানুষ তাদের চারপাশে ভিড় করে। এতে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে ঘন্টাখানেক পর পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

অগ্নিকাণ্ডের সময় জিলিন বাইয়ুয়ানফেং পোল্ট্রি কোম্পানির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটিতে ৩শরও বেশি শ্রমিক কাজ করছিল। এ সময় একটি বিস্ফোরণের আওয়াজের পর ধোঁয়া দেখতে পায় তারা। এরপর ১শ জনের মতো বের হয়ে আসতে পারলেও বাকিরা আটকা পড়ে। ভোর ছয়টায় এ এই ঘটনার সময় প্রতিষ্ঠানটির গেটও বন্ধ ছিল। নিহত এক নারী শ্রমিকের বোন ইয়াং জিউয়া রাস্তায় একটি গাড়ির সামনে বসে পুলিশের উদ্দেশ্যে চিৎকার করছিলেন।

দুর্ঘটনার সময় কারখানার গেট কেন বন্ধ ছিল তার জবাব চান তিনি। “আমার বোন সেখানে কাজ করতো। তারা আমাদের কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। আমার বোনের বাড়ি ফেরার সময় হয়েছিল। কিন্তু গেট বন্ধ ছিল।

তাই তারা পুড়ে মারা যায়। সরকার এই ঘটনার কোনো ব্যাখ্যাও দেয়নি,” চিৎকার করে বলেন তিনি। আরেক নারী সামনে দাড়িয়ে থাকা কয়েক ডজন নিরস্ত্র পুলিশের সামনে গিয়ে চিৎকার করে তাদের আক্রমণের চেষ্টা করলে অন্যরা তাকে সরিয়ে নেন। “আমরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের দেখতে পাইনি আর কোথাও কোনো তথ্যও পাচ্ছিনা। জীবিত বা নিহত কাউকেই আমরা দেখতে পাইনি।

লাশগুলো অন্তত দেখতে দেওয়া উচিত,” কাঁদতে কাঁদতে বলেন তিনি। অগ্নিকাণ্ডে স্ত্রী ও বোনকে হারিয়েছেন ঝাও ঝেনচুয়ান। এত মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়িত্বে অবহেলাকেই দায়ী করেছেন তিনি।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.