ভালোকে আমার ভয়,ভালো বেশীদিন থাকবেনা... মন্দকে আমার ভয়, কেননা আমি দুর্বল, আঘাত সইতে পারবোনা... সাফল্যকে আমার ভয়, ব্যর্থতাকেও ভয়... নিরন্তর ব্যস্ততার মহাকালে আমার করণীয় কিছুই নেই... যোগ্যের পৃথিবীতে আমি অযোগ্য, অধম... বলার ছিল অনেক কিছু। অথবা বলার কিছুই ছিল না। সময় কম। ব্যস্ততা বেশী, বলা ভালো , ব্যস্ততার চেয়ে দায় বেশী। নিজের হাতে তৈরি করা দায়।
অনেকদিন ধরে একটা ছবিপোস্ট দেয়ার তালে আছি। সামুর পিকচার আপলোড ঝামেলার কারণে হয়ে উঠছিল না। নতুন একটা উপায় পেলাম, দিয়ে দিলাম। ইচ্ছেকৃত অনিচ্ছেকৃত সকল ভুলের জন্যে ক্ষমপ্রার্থী।
১।
ছবির এই মানুষটিকে মনে হয় চিনিয়ে দেবার প্রয়োজন নেই। তবুও বড় শিল্পীর আঁকা তো, ভুল করে না অন্য কোন মানুষ ভেবে বসেন, তাই বলছি, একজন আরমান। অনেকদিন থেকে বলছিলেন একটা স্কেচ করে দিতে। কিছু না পারা কেউ যখন অনেক বড় কোন সুযোগ পায়, তখন খুশিতে দাঁত বের করে হাসে, আবার পেটেও মোচড় অনুভব করে। আরমান ভাইয়ের রিকুয়েস্টে আমার অবস্থা হয়েছিলো ঠিক সেরকম।
এর আগের ছবি পোস্টের কোন মডেলকে এখানে কেউ চিনতেন না। বুদ্ধু বানানো সহজ ছিল। কিন্তু আরমান ভাইকে চেনেনা এমন ব্লগার কই? আমি পড়লাম ক্যাচালে। হোয়াটএভার, দুঃসাহস করে এঁকে ফেললাম। চশমায় রিফ্লেকশন দেয়ার কথা ছিল।
ছবিটা আঁকার সময় আম্মার সাথে তুমুল গালবাজি( ঝগড়া ) করছিলাম। জিদ করে পেন্সিল ঘষতে ঘষতে পুরোটাই কালো হয়ে গেলো!! বেশী চাপা চললে যা হয় আর কি!!
২। নেক্সট আসুন, ইনি আমার বেহেন। ফেসবুকে পরিচয়। চমৎকার মানবী।
ইনি সবার বন্ধু। তবে কেন জানিনা চেয়ারম্যান ভাইয়ের সাথে কোমর বেঁধে ঝগড়া লাগেন। হাতে করে আমাকেও নিয়ে যান, যদিও আমি তার হজ্জেও লাগিনা, মক্কাতেও লাগিনাও বলেছে আমাকে একটা মিকি মাউস এঁকে দেবে, শুধু ওটাই আঁকতে জানে। তিতলী। খুব সুইট একটা বোন আমার।
চমৎকার গল্প লেখে। অনেক ভালবাসি তাকে।
৩। নিচের ভাইকে চেনা যায়?? যাবে না, জানতাম। যে ছবি দেখে আঁকা, সেটা চোখের সামনে থেকে সরিয়ে নিলে আমি নিজেই চিনি না, আর বাকীরা কি চিনবে!!! ইনি ব্লগার কুনোব্যাঙ।
চমৎকার একজন মানুষ। ইনবক্স করে জানিয়েছিলেন স্কেচের কথা, অবশ্য একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজের বিনিময়ে। ( যদিও তিনি সেই কাজে ঘণ্টা বাজাচ্ছেন। ) ওই কাজ বাদ। ৩ তারিখ থেকে পরীক্ষা।
পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাসের আগে লেনদেন ক্লিয়ার করে নেব, কুনোব্যাঙ ভাই, শুনছেন তো?
৪। ইনি হচ্ছেন আমার ওয়ান অ্যান্ড অনলি টেডি। আমার বন্ধু, শত্রু সবই। এনার সাথে আমার সারাদিন কিছু না কিছু নিয়ে ঝগড়া লেগে থাকে। ঝগড়ার বিষয়ও বিশদ আলোচনার দাবীদার।
যেমনঃ
-অ্যান ইডিয়ট ইজ অ্যাটেম্পিং টু রিচ ইউ অন ইওর সেল্যুলার ডিভাইস...... ( টেডির কলার টোন হিসেবে সেট করা আমার রিংটোন)
আমিঃ হ্যালো
হ্যালো
হ্যালো
টেডিঃ ফোন রিসিভ কইরা হ্যালো কস না ক্যান??
আমিঃ ফালতু বকবিনা বললাম। আমি হ্যালো বলছি, তুই শুনিস নাই।
টেডিঃ আমি কি তোরে মিথ্যা কইতাছি?
আমিঃ অবশ্যই মিথ্যা।
টেডিঃ কি? ঠিক আছে, মিথ্যুক আর ফোন দিবেনা তোরে।
আমিঃ দিস না, যা।
ভাব.।
টেডিঃ জিন্দেগিতেও দিতাম না।
আমিঃ দিস না কইলাম তো।
লাইন কেটে গেলো।
মিনিট পাঁচেক পরঃ
- অ্যান ইডিয়ট ইজ অ্যাটেম্পিং টু রিচ ইউ অন ইওর সেল্যুলার ডিভাইস......
আমিঃ কিরে? তুই না বললি আর ফোন দিবিনা?
টেডিঃ দিসি, কন সমস্যা??
আমিঃ ১০০ পারসেনট সমস্যা।
ফোন দিলি ক্যান?
টেডিঃ ১০০ বার দিমু। পারলে কিছু করিস।
....... এই চলতে থাকে সারাদিন। মাঝে মাঝে কথা বলাবলি বন্ধ, অনলাইনে মুখ দেখাদেখি বন্ধ। তারপর সব ঠিক।
টেডি আমার প্রথম ফেসবুক ফ্রেন্ড।
৫। ইনি আমার স্যার। এই মানুষটাকে যত দেখি, তত অবাক হই। জানার পরিধি কতো বেশি হতে পারে, স্যারকে না দেখলে কেউ বুঝবেনা।
ওনার কাছে যখনি পড়তে যাই, পড়ার কিছুই বুঝিনা আমি। শুধু হা করে তাকিয়েই থাকি, এরকম একজন যদি হতে পারতাম। যে কেউ, শিক্ষিত, অশিক্ষিত, স্যারের সাথে কথা বললে তাকে ভালবাসতে, শ্রদ্ধা করতে বাধ্য। ওনার জীবনদর্শন অবাক করে আমাকে। একদিন টেনিসন এর একটা কবিতা পড়াতে পড়াতে কেঁদে ফেলেছিলেন।
আমিও কেঁদেছি, লুকিয়ে, স্যার দেখতে পাননি। আমার সব সমস্যার কথা আমি স্যার এর সাথে শেয়ার করি, যদিও উনি জানেনই না, আমার কাছে তিনি কতো মুল্যবান।
৬। বার্থা নামের একটা চরিত্র আঁকার অপপ্রচেষ্টা। আঁকতে চেয়েছিলাম এগ্রেসিভ মুডের একটা মেয়ে, হয়ে গেল ডিপ্রেসড মুড।
বড় মাপের চিত্রকর কিনা আমি।
৭। কলমে আঁকা, যেন ভুলগুলো মুছতে না পারি। মাঝে মাঝে একে আমার খুব পছন্দের মানুষ মনে হয়, আবার মাঝে মাঝে ঘৃণা করি। অবশ্য সে পছন্দ করার মতো কেউ না।
আমি গাধা বলেই...
৮। এই ছবি নিয়ে কিছু বলার নেই। ইন্টারনেট থেকে পাওয়া একটা ছবির আদলে করা। আঁকতে গিয়ে মন খারাপ হয়েছিল। হয়তো কেঁদেছিও, মনে নেই, মনে করতে চাইছিনা।
কিছু করতে চাই ওদের জন্যে। মন থেকে কিছু করতে চাই।
এগেইন, আগের কথাগুলোই আবার বললাম। ( কিছুদিন হল খুব কাছে চলে আসা একজন মানুষের ছবির কাজে হাত দিয়েছিলাম। কেন যেন মনে হচ্ছে সেটা বোধয় শেষ করতে পারবনা।
আমার ছবিগুলো সাদা কালো। রঙ্গিন কোন কাজ আমি করতে পারিনা। আজন্ম ব্যর্থতা। একটু একটু করে রঙ্গিন হতে থাকা একটা স্বপ্ন আবার বিবর্ণ হতে শুরু করেছে। সময়ের বড় বেশি তাড়া, রঙের মনে বড় বেশি কুটিলতা।
)
অকাজের কথা বাদ দেই। কাজের কথা বললাম। নেই কাজ তাই খই ভেজে গেলাম। ভাগাভাগি করে নিয়ে নেবেন, নো মারামারি। আর যদি ভাজা পছন্দ না হয়, এরিসকে মেনশন করে লজ্জা দেবেন না।
এরিসের রান্নার হাত সুতীব্র খারাপ...
আচ্ছা, আগের ছবিপোস্টের ছবিগুলো দেখা যায়না কেন????
এসো, আস্তে পা ফ্যালো, সিঁড়ি বেয়ে উঠে এসো তোমার শূন্য ঘরে-
তুমি ভরে তুলবে, তাই শূন্যতা। তুমি আনবে উষ্ণতা, তাই শীত।
এসো, ভুলে যাও তোমার টাকার ভাবনা, খাঁচার ভাবনা, হাজার ভাবনা,
আর এরপরে..
তোমার দিকে এগিয়ে আসবে ভবিষ্যৎ, পিছন থেকে ধরে ফেলবে অতীত।
এসো, মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও আজ রাতে.।
(খুব প্রিয় একটা কবিতার প্রিয় ক'টি পংক্তি।
কবির নাম মনে নেই। )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।