বিবেক ও বিষয়ের পরে, বিধাতাও অসহায় হলে বাকি থাকে মুক্তিদাত্রী এক প্রমোদ-রমণী; বেশি কিছু চাওয়া-পাওয়া থাকেনি তার খুলে ফেলা বাকলে— দূরে বা কাছে, ধীরে বা দ্রুত, যখন যেমন চেয়েছি সে হয়েছে তেমনই। সান্তনা-বাণী খুঁজে ফেরা মারফি’র বিধিতে, প্রশান্তির সিন্দুক যেন প্রাত্যহিক গীতিকবিতা। সাগরের ইলিশের ঝাঁকও ফিরে চলে পদ্মার আদি-তে; উজানে উঠছি যত তত দূরে সরে যাচ্ছে সাগরিকা। কেরামন-কাতেবিনও বিস্ময়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ়— হৃদয়ের এত চোরাগলি : মোড়ে মোড়ে লুসিফার করে রকবাজি। “কুন” ধ্বনিতে হতো যদি আহসান জীবিতের সব মুশকিল-নিগূঢ়— ডাইনির কাছেও যেতাম আমি, হতাম মেফিসটোফেলেসে’র হাতেও জান সঁপে দিতে রাজি। প্রেমে মশগুল হওয়া দোষের কিছু নয় : সে হোক রঙিন কুলটা বা সাবিত্রী-সতী, অপরাধ রয়েছে সেখানে যেখা’র বেসাতি মিথ্যা, লোভ এবং আত্ম-প্রবঞ্চনা; লজ্জার আশ্রয় : শব্দে-শব্দে ভিক্ষা চাইতে আওড়ানো আবৃত্তি, আমাদের সমর্থনে ঘরে-বাইরে পৃথিবীর কাঠামোয় মজুদ নিষ্ঠুর বঞ্চনা। তবু সেই সব ভাবিনি, আপাত বা আপেক্ষিক কর্মে : জরুরী না অপ্রাসঙ্গিক—এই দ্বন্দ্ব চলে অবিরত। অস্থির পরিব্রাজন—শরীরে-মননে—বিরাজে আপন ধর্মে, নারীর মন স্থায়ী ভাবে পাওয়া—সেও কি হবে?—এই সন্দেহে রয়েছি নিরত।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।