উফ! আলু ছিলা যে এতো কষ্টের! কিভাবে আলূ ছিলে মানুষ? আলু কাটতে গিয়ে আমাকে চার রকমের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।
1. আলুর বেশী অংশ খোসার সাথে চলে যাচ্ছে।
2. সব আলুর টুকরো সমান হচ্ছে না।
3. খোসার বদলে হাতের চামড়া ছিলে ফেলেছি একটু আগে।
4. হাতে ব্যাথা শুরু হয়েছে।
জীবনে প্রথম আলু কাটছি, তাই এইটুকু সমস্যা তেমন মারাত্মক না, এটা হতেই পারে। কুসুম মেয়েটা যদি এভাবে হুট করে আজ চলে না যেত তবে আমাকে এ কাজ করতে হত না। কুসুম আমাদের বাসার কাজের মেয়ে। সে আমাদের বাসায় এসেছিল যখন তখন তার বয়স সাত কি আট। আজ সে অনেক বড়।
এইতো গতকাল সঞ্জয় দা এসে আমার ভোটার আইডি কার্ডের সাথে ওরটাও দিয়ে গেলেন। আইডি কার্ডে তার নাম লিখা হয়েছে কুসুম বেগম। না, এটা তার পিতৃপ্রদত্ত নাম না। তার নাম কুলসুম বেগম। সে যখন আমাদের বাসায় কাজ নেয় তখন সনি টিভিতে কুসুম নামের জনপ্রিয় একটি সিরিয়্যাল চলছিল।
মনি আপু তাই কুলসুমের নাম বদলে কুসুম করে দেয়। সেই থেকে আমরা তাকে কুসুম ডাকি।
ঘটনার শুরু আজ সকাল বেলা। মাছওলা মাছ নিয়ে আসল। ছোট মাছ।
আম্মা একগাদা মাছ কিনে ফেললেন। একবারও কুসুমের কথা ভাবলেন না। ইদানিং কুসুম বেশ বেয়াড়া হয়ে যাচ্ছে। কথা বললে শুনে না। একটা কাজ করাতে হলে দশ বার বলতে হয়।
ওর পছন্দের কাজ না হলে করতে চায় না। ছোট মাছ কাটা তার অপছন্দের কাজগলোর মধ্যে একটি। আম্মা যখন মাছ রাখেন তখনই আমি আঁড়চোখে কুসুমের দিকে তাকিয়েছিলাম। তার চোখে আগুনের লেলিহান শিখা খুঁজে পেতে বিন্দুমাত্র কষ্ট করতে হয়নি আমাকে। আম্মাও নিশ্চয়ই বুঝতে পারছিলেন কুসুমের মনের অবস্থা।
আববা ছোট মাছ খুব পছন্দ করেন বলেই হয়তোবা মাছগুলো কিনেছিলেন। আম্মা মাছ রেখেছেন, কোনরকমে না হয় কুসুম ব্যাপারটা সহ্য করে নিল কিন্তু খানিক পরেই যখন আববা বাজার খেকে আরো এক গাদা ছোট মাছ নিয়ে আসলেন তখন কি আর কুসুম চুপচাপ বসে থাকতে পারে? যদিও আববা কাজটি করেছেন না জেনে। আম্মার মাছ রাখার ব্যাপারটা যদি আববা জানতের তবে নিশ্চয়ই বাজার থেকে মাছ কিনে আনতেন না। আববার এই না জেনে মাছ কিনে নিয়ে আসা আমি বা আম্মা মাপ করে দিতে পারি, কুসুম মাপ করবে কেন? মাছগুলো তো তাকেই কুটতে হবে! তাই একটু পরেই রান্নাঘর থেকে নানা রকমের শব্দ ভেসে আসতে থাকল আমাদের কানে। আমাদের বাসার সবার, কুসুমকে যারা আমরা অনেক দিন ধরে চিনি, এটুকু বুঝতে বাকি থাকল না যে কুসুমের হাত থেকে এই যে জিনিসপত্র পড়ে যাচ্ছে তা তার অনিচ্ছাকৃত নয়।
কুসুম অতি সাবধানী কর্মী। এমনভাবে হুটহাট জিনিসপত্র তার হাত থেকে অসাবধানে পড়ে যেতে পারে না। বুঝলাম, এটা তার বিরক্তি আর রাগের বহি:প্রকাশ। একটু পরে তার বিরক্তির প্রকাশ আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। এবার সে একা একা কথা বলা শুরু করল।
না এটাও তার পাগলামীর লক্ষণ না। বিরক্তির লক্ষণ। একটু পরপর তাকে উচ্চস্বরে বলতে শুনা গেল, এ বড়িতে সে নাকি আর কাজ করতে পারবে না। আর কতদিন সে এ বাড়ির ঘানি টানবে? এত কম পয়সায় আজকাল কেউ কাজ করে নাকি? আমরা সবাই চুপটি করে আছি কারণ আমরা খুব ভাল করে জানি এ বিদ্রোহ যদি দাবানলে রূপ নেয় তবে আমাদের কি দুরবস্থা হবে। কিছুক্ষণ চিল্লাচিল্লি করে বরাবরের মতো আপনা আপনি একসময় সে থেমে যাবে বলে আমাদের সবার ধারণা।
আমার ভাইয়া অবশ্য এভাবে নিরবে কুসুমের সন্ত্রাসী ভাব বিনিময় মুখ বুজে সয়ে যাওয়ার বিপক্ষে। সে চায় একটা জোরালো প্রতিবাদ। তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে যেভাবে শতশত প্রতিবাতদরত ছাত্রদের উপর গুলি ছোঁড়া হয়েছিল নির্বিচারে, ঠিক সেভাবে সে চায় কুসুমের উপর লাঠিপেটা করতে। একবার লাঠিপেটা করলেই নাকি সব ঠান্ডা। আববা আবার দ্বিপাক্ষিক আলোচনাতে বিশ্বাসী।
তিনি বিশ্বাস করেন একমাত্র আলোচনাই পারে সকল বিষয়ে শান্তি এনে দিতে। তাই তিনি অনেকবার কুসুমের মায়ের কাছে মোবাইল করেছেন। কিন্তু কুসুমের মা আবার কোন এক ডাক্তার সাহেবের বাসায় কাজ করার ব্যাস্ততাজনিত কারনে আসতে পারছেন না। তবে কথা দিয়েছেন সময় পাওয়া মাত্রই তিনি আমাদের বাসায় তার পদধূলি রাখবেন। তারও নাকি বেতনে প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা রয়েছে।
তো আমরা যখন সবাই কুসুমের আপাত শান্তভাব উদয় হবার জন্য অধীর হয়ে অপেক্ষা করছি তখনই ভাবী মিসটেকটা করে ফেললেন। কুসুমের ঠেস লাগানো (একপর্যায়ে ভাবীকে নিয়েও নাকি কথা বলেছে, পরে জানতে পারলাম) কথা সহ্য করতে না পেরে রান্নাঘরে গিয়ে দুই কথা শুনিয়ে আসলেন। দুই কথার এক কথা হচ্ছে, চুপ! আর কথা না, তুই কাজ করতে পারবি না, করিস না। এতো চিল্লাচিল্লি ক্যান? চিরদিন একতরফা কথার স্টিমরুলার চালাতে অভ্যস্ত কুসুম হঠাৎ এমন কাউন্টার অ্যাটাকে বুঝিবা প্রচন্ড আঘাত পেল। তাই, ভাবী তার কথাগুলো বলে রুমে ঢুকে টিভিটা অন করেছেন কি করেননি অমন সময় হঠাৎ রান্না ঘরে শুনশান নিরবতা নেমে আসল।
কি ব্যাপার! কি ব্যাপার! কুসুম রানী কি অবশেষে তার বক্তৃতায় ইতি টানলেন? সেটা আবিষ্কার করতে আমি ছুটলাম রান্নাঘরে। পৌছে যা দেখলাম তাতে তো আমার চোখ চড়ক গাছ। অনিবার্য অনিশ্চয়তায় আমার অন্তরাত্মা শুকিয়ে গেল। রান্নাঘরে, বাথরুমে তন্নতন্ন করে খুঁজতে লাগলাম তাকে। নাহ! কুসুম কোথাও নেই।
তবে কি সত্যি সত্যি চলে গেল সে? এখন উপায়? আম্মাকে ডেকে তৎক্ষণাৎ জানালাম ব্যাপারটা। আম্মার মাথা ঘুরে উঠল। বললেন, আমার মাথা ঘুরাচ্ছে। মাথায় পানি ঢেলে দে। পানি আমি কিভাবে ঢালব? বালতিটা কোথায় আমি কি করে জানব? বালতি পেলেও মগ যে পাব না এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত।
চশমা ছাড়া ছোটখাটো কোন কিছুই আমার চোখে পড়ে না যে! জরুরী ভিত্তিতে আববা ঘরে বৈঠক ডাকলেন। সবাই আমরা ড্রয়িংরুমে বসলাম। টানটান উত্তেজনাকর অবস্থা! আম্মা তার বক্তৃতা শুরু করলেন,
তোমরা সবাই জানো, কুসুম দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাসায় কাজ করায় আমরা এতোদিন কাজের লোকের অভাব টের পাইনি। ঘরদোরের টুকিটাকি কাজ সব একাই করেছে সে এতোদিন। তাই ঘর মোছা, কাপড় ধোঁয়া, রান্নাবান্না, চা-নাস্তা বানানো- এসব নিয়ে আমাদের কখনোই ভাবতে হয়নি।
কিন্তু আজ কুসুম চলে যাওয়ায় এ প্রশ্নটি সামনে চলে এসেছে যে, এসব কাজ কে করবে? আমি প্রত্যেকের কাছ থেকে এ প্রসঙ্গে মূল্যবান মতামত চাচ্ছি।
কুসুম চলে গেছে তো কি হয়েছে? আমরা আরেকজন বুয়া রাখব। ভাইয়ার সূচিন্তিত ও তড়িৎ প্রস্তাব।
উহু, বললেই হবে নাকি? ভাবীর টিপ্পনী। একজন কাজের মানুষ পাওয়া কি চাট্টিখানি কথা?
কাজের মানুষ নাই বলে কি আমরা বসে থাকব নাকি? আমরা নিজেরা কাজ করব।
ছোট্ট ভাইয়ার বলিষ্ঠ ও উত্তেজিত কণ্ঠ।
দেখেছি, দেখেছি কি কাজ কর। ঘুম থেকে উঠেই টই টই করে বাইরে বেরিয়ে পড় । আর আসো রাত দশটায়। তোমাকে পাব কই আমরা কাজের সময়? আম্মার তাৎক্ষণিক কাউন্টার জবাব।
কুসুম নিশ্চয়ই তার বাসায় চলে গেছে । আমার মনে হয় ওকে ডেকে এনে আমরা কথা বলি। এই কুসুম, আমার মোবাইলটা দে তো। আববার কথা শুনতে না শুনতেই সবাই হেসে উঠল। আববাও নিজের ভুল বুঝতে পেরে বোধ হয় কিছুটা লজ্জা পেলেন।
ভাইয়া বলল, আববা ঠিকই বলেছেন। হুট করে একজন কাজের মানুষ পাওয়া চাট্টিখানি কথা না। কুসুমের সাথে কথা বলে দেখো, বেতন বাড়িয়ে দিয়ে হলেও ওর সাথে আবার চুক্তিবদ্ধ হও। শান্তি চুক্তিই ব্যাস্ট।
সে নাহয় খবর দেয়া গেল, কিন্তু আজ রাতের খাবার হবে কিভাবে? আম্মার উৎকণ্ঠিত প্রশ্ন।
ছোটভাইয়া প্রস্তাব করল, আমি হোটেল থেকে গিয়ে খাবার নিয়ে আসছি। কি কি আনতে হবে বল।
আববা বললেন, বাইরের খাবার আমি খেতে পারব না বাপু। গ্যাস্ট্রিকে বড্ড জ্বালাতন করছে ইদানিং।
ওকে, আম্মা বলে উঠলেন, আমাকেই রাঁধতে হবে।
ভাইয়া মুচকি হেসে বলল, তবেই্ হয়েছে। তুমি রাঁধলে আমরা খেতে পারব মনে কর? আমাদের বেড়ালটাও আজ ভুখা থাকবে দেখছি।
আম্মা কোন কথা না বলে উঠে রান্নাঘরের দিকে রওনা দিলেন। ভাবী আমার পাশেই বসেছিলেন। তাকে আনমনে বলতে শুনলাম, হায়রে আমি তো রাঁধতে জানি না।
জানলে আজ আম্মাকে হ্যাল্প করতে পারতাম।
একটু পরেই রান্নাঘর থেকে আম্মার ডাক, সুহা, এই সুহা! এদিকে আয়তো! দ্যাখতো আলু কোথায় রাখা। উফ! আম্মাকে নিয়ে এই এক যন্ত্রণা। সেই চিরাচরিত আম্মাই রয়ে গেলেন আজো! আমি উঠতে না উঠতেই আবার শুনি, বউমা! এদিকে আসো তো। চুলাটা জ্বালিয়ে দিয়ে যাও।
কয়েস, এই কয়েস! একটু আয়তো। পানির পাতিলটা তুলে দিয়ে যা। আমার তো আবার কোমরে ব্যাথা। এই তুমিও (আববাকে ‘এই’ সম্বোধনে ডাকেন আম্মা) আসো! হ্যা হ্যা তুমি। তোমাকেই বলছি।
ছেলে মানুষ হয়েছো তো কি হয়েছে? বলি রান্না ঘরে ঢুকা কি নিষেধ? তুমি ডানোর প্যাকেটটা নিয়ে আসো। চা বানাবো। এই হচ্ছেন আমাদের আম্মা। সবসময়ই এমন। ভাব দেখাবেন সব করতে পারেন।
আসলে পারার মধ্যে কেবল ঐ অর্ডার করাটাই ভাল পারেন। উনি রান্না ঘরে ঢুকেই পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমাদের সব সদস্যদের রান্নাঘরে নিয়ে আসলেন। ভাগ্যিস রান্নাঘরটা আববা বেশ বড় করেই বানিয়েছিলেন!
আমি এখন আলু কাটছি। উদ্দেশ্য আলু আর ডিম দিয়ে একটা তরকারী করব। আম্মা একটা রান্না শিখার বই হাতে নিয়ে বলে বলে দিচ্ছেন আর আমরা সবাই তার নির্দেশমতো কাজ করে যাচ্ছি।
কি যে করছি, কিছু বুঝতে পারছি না তবে কিছু একটা যে সবাই মিলে করার চেষ্টা করছি এটা বুঝতে পারছি। একসময় শেষ হল আমাদের বই দেখে দেখে রান্না করার কাজ। কাজ করতে করতে আমার মনে পড়ল সেদিন ছোট ভাই এরিস্টটলের দাস প্রথা পড়ছিল। বুঝতে পারলাম এরিস্টটল কতই না সঠিক ছিলেন! আমাদের সকলের আসলেই একটা করে দাসের প্রয়োজন, যে এইসব ফালতু টুকিটাকি কাজ করে দিবে আমাদের। দাস বা কাজের লোক না থাকলে আমরা তো আমাদের কোন কাজই করতে পারতাম না।
কুসুম যদি না থাকত আর ঘরের কাজ নিয়ে যদি সারাদিন ব্যাস্ত থাকতে হতো তবে টিভি সিরিয়্যালগুলো এতো নিবিষ্ট মন নিয়ে দেখা হতো না কিছুতেই! এক থা টাইগারের মতো ক্লাসিক ছবিটা দেখে মনের সাধ মেটানো হতো না আমার। সানন্দা পত্রিকা পড়ে জানতে পারতাম না কি করে নাকের ব্ল্যাকহ্যাডসগুলো নিজে নিজেই রিমোভ করা যায়। ইন্টারন্যাট ঘেঁটে জানা হতো না ক্রিস্টাল ওয়ারেনের নতুন মুক্তি পাওয়া গানের অ্যালবাম অ্যা টাইম ইউ ম্যা এমব্রাইস এর কথা। ফেইসবুকে রাশেদের মতো একটা চমৎকার বন্ধু জুটানোওতো হতো না আমার। কুসুম! কুসুম! কুসুম, ইউ আ গ্র্যাট! তুই থাকায় যে কত কিছু করতে পারছি।
জয়তু কুসুম। এবার তুই আসলে তোকে অনেক আদরে রাখব আমরা। আববাকে বলে তোর বেতনটাও বাড়িয়ে দিতে হবে। কুসুম, তুই চলে আয় না প্লিজ! এসে আমাদের এ নরক থেকে উদ্ধার কর। এবার আর কোন ভুল হবে না আমাদের! প্রমিজ!
****************************************************
সুখের খবর।
কুসুম এসেছে। সাথে এসেছে তার মা। গোল টেবিল বৈঠক হচ্ছে। একটু পরেই বোধ করি বাংলার ইতিহাসে হুদাইবিয়া সন্ধি টাইপ আরেকটি সন্ধি সাক্ষরিত হতে যাচ্ছে। কুসুম আর কুসুমের মা কিছু শর্ত দিয়েছে।
তাদের শর্তগুলি যদি লিপিবদ্ধ করা যায় তবে এরকম দাঁড়াবে:
1. মাসিক বেতন আরো পাঁচশ টাকা বাড়াতে হবে।
2. একটা মোবাইল ফোন কিনে দিতে হবে।
3. ছোট মাছ খাওয়া বাদ দিতে হবে।
4. বড় মাছ কিনতে হবে সপ্তায় দুই দিন।
5. বাকি সব দিন মাংস বা সব্জি অথবা উভয়ই চলবে।
6. কাজের সময় কুসুমকে একা একা কথা বলার অধিকার দিতে হবে। কেউ এসে ধমক দিতে পারবে না।
7. দুই ঈদে জামা কিনে না দিয়ে জামার মূল্য পরিমান টাকা দিতে হবে। টাকার পরিমাণ অবশ্যই বাজারদর অনুযায়ী হওয়া চাই।
8. সন্ধ্যা বেলা হিন্দি সিরিয়্যাল দেখার সময় কোন কাজের জন্য ডাকা যাবে না।
আমাদের পক্ষের দাবী:
1. মাসিক বেতন আপাতত: তিনশ টাকা বাড়ানো হবে। আরো পাঁচ মাস পরে বাকি দুইশ টাকা বাড়বে।
2. মোবাইল ফোন দেয়া হবে। তবে সেটা স্যাকন্ড হ্যান্ড। নতুন ফোন আরো পরে দেয়া হবে।
3. আববা যেহেতু ছোট মাছ পছন্দ করেন, মাসে অন্তত একদিন ছোট মাছ রান্না হবে।
4. একা একা কথা বলা যাবে, তবে জিনিসপত্র যেন অসাবধানে হাত থেকে পড়ে না যায় এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
পারস্পরিক বুঝাপড়া হয়ে যাচ্ছে যাচ্ছে এমন সময় ভাইয়া বেঁকে বসল। সুন্দর চুপচাপ বসে ছিল এতক্ষণ। হঠাৎ কি হল কি জানি, এক ঝটকায় দাঁড়িয়ে পড়ল।
বলে উঠল, না, তোদের এসব দাবী মানা যায় না। এটা রীতিমতো ব্ল্যাকমেইলিং। অসহায় পেয়ে এরকম ব্ল্যাকমেইলিং ঠিক না। তোদের পুলিশে দেয়া উচিত। এসব শুনে কুসুমের মাও দাঁড়িয়ে পড়ল।
বলল, ঠিক আছে, আপনারা আপনাগো কাজ করেন। আমগো যেতে দেন। কুসুমরে পাশের বাড়ির দারোগা সাহেবের বাসায় দিয়া দিমু। ওরা বলছে আরো বেশি বেতন দিব। শান্ত পরিবেশ হঠাৎ এমন বিগড়ে যাচ্ছে দেখে আম্মা হতচকিত হয়ে গেলেন।
আববা আর ভাবী ভাইয়াকে টেনে পাশের রুমে নিয়ে গেলেন। আম্মা কুসুমের মাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বসতে বললেন। দেখা যাক কি হয়। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।