আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি পরকীয়া প্রেম বিয়ে, অতঃপর মামলা কাহিনী

অচিন আমি অচিনপুরের । চিনতে চাই নিজেকে । চিনতে পারলামনা নিজেকে তাই , একলা একা এই আমি একলা থাকতে ভালোবাসি । আমাদের সমাজে পুরুষ কর্তৃক নারী যেমন নির্যাতিত হয় তেমনি নারী কর্তৃক পুরুষ নির্যাতনের ঘটনাও কম ঘটেনা। এ দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নারী নির্যাতনের ঘটনা যতোটা ফলাও করে ছাপা হয় পুরুষ নির্যাতনের ঘটনায় ঠিক ততোটা হয়না।

আর তাই তো দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া নারী দ্বারা পুরুষ নির্যাতনের ঘটনা সাধারণ মানুষ খুব একটা জানতে পারে না। যেমনটা জানতে পারছে না মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানার ছোট রায়পাড়া গ্রামের আলহাজ্জ্ব জানে আলমের ছেলে সাত্তারের নির্যাতিত হওয়ার ঘটনা। নারীরা যে কতোটা খারাপ হতে পারে, বেহায়া হতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার খাসনদার দীঘিরপাড় গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে কামরুন নাহার (তানিয়া)। এই রহস্যময়ী নারীর প্রতারণায়, অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাত্তার সম্পূর্ণ নির্দোষ হয়েও আজ অপহরণ ও সহায়তা করার অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৭/৩০ এর আসামী। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, তোফাজ্জল হোসেনের চরিত্রহীনা মেয়ে তানিয়ার সঙ্গে ঐ এলাকার সৌদি প্রবাসী এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়।

বিয়ের পর স্বামী সৌদি আরব চলে গেলে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে তানিয়া। এক সময় গজারিয়া উপজেলার ছোট রায়পাড়া গ্রামের শামীম নামে এক বিবাহিত যুবকের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয় তানিয়া। শামীমের আগে আরও অনেক ছেলের সঙ্গে তানিয়ার সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। পরবর্তীতে শামীমের সঙ্গে পরকীয়ায় মশগুল হয়ে প্রবাসী স্বামীর কথা চিন্তা না করে শামীমকে নিয়ে পালিয়ে যায় সে। প্রায় ০২ মাস পলাতক ছিল শামীম ও তানিয়া।

এই ০২ মাসে তারা দু’জনে মধুচন্দ্রিমায় থাকলেও দুই পরিবারের কারও কোন মাথাব্যথা ছিল না। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন শামীমের প্রথম স্ত্রী’র অনুরোধে ০২ মাস পর গ্রামে ফিরে আসে তারা দু’জন। অবশেষে গ্রাম্য শালিস বৈঠকের পর তানিয়ার পরিবারের পক্ষের লোকজন স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে মেয়ে বুঝিয়া পাইয়া নিয়ে যায়। সবকিছু ঠিকঠাক মতোই চলছিল। মাঝপথে দু’জন আলাদা থাকলেও প্রেমের টানে তানিয়া আবারও শামীমকে নিয়ে ঘর ছাড়ে।

যার ফলে দেখা দেয় বিপত্তি। এ যাত্রায় তানিয়ার বাবা বাদী হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হন। প্রশ্ন হচ্ছে প্রথমবার যখন মেয়ে ঘর ছাড়লো তখন তিনি কেন মামলা করলেন না? কার প্ররোচনায় পড়ে অপহরণ মামলা তিনি সাজিয়েছেন সেটাই এখন প্রশ্ন? সম্পূর্ণরূপে প্রাপ্তবয়স্কা এক নারী তানিয়া প্রেমের টানে প্রেমিককে নিয়ে পালিয়ে গেছে লোকচক্ষুর অন্তরালে- আর সে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে আড়াল করতে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে যারা বাদীকে সহায়তা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন নয় কি? সোনারগাঁও থানায় তানিয়ার বাবা তোফাজ্জল হোসেন যে অভিযোগ দাখিল করেছেন তা যে সম্পুর্ণ মিথ্যা তার প্রমাণ মামলার ২নং আসামী সাত্তার। এজাহারে যে তারিখে (২৪/০৬/১২) তানিয়াকে জোরপূর্বক সি.এন.জি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সে তারিখে সাত্তার ছিল ঢাকায় তার বড় ভাই জসিম উদ্দিনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। যার প্রমাণও রয়েছে।

যা হোক তানিয়ার পরিবার পুরো ব্যাপারটি জেনে শুনে কি করে এমন মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিলেন এটাই এখন সকলের মনে প্রশ্ন? তানিয়া তার সৌদি প্রবাসী স্বামীকে রেখে প্রথম যখন শামীমের হাত ধরে ঘর ছাড়লো তখন তার পুরো পরিবারের ভূমিকা কি ছিল তা নিয়েও জনমনে একের পর এক প্রশ্ন বিরাজ করছে। অনেকে বলতে চায় সে যাত্রায় যদি তানিয়ার পরিবার কঠোর হতো তাহলে এমন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা দ্বিতীয়বার নাও ঘটতে পারতো। আর সাত্তারের মতো নির্দোষ ছেলেকে মিথ্যা মামলার আসামীও হতে হতো না। জানা গেছে, শামীম তার বিবাহিত স্ত্রী’র কথা চিন্তা করে তানিয়ার কাছে থেকে দূরে সরে আসতে চাইছিলো, কিন্তু তানিয়াই শামীমের জন্য পাগল হয়ে যায়। শামীমকে ছাড়া তানিয়া এক মুহূর্তেও থাকতে পারবে, না এমন কথা অনেকবার মোবাইলে বলেছে যার রেকর্ড এই প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।

শুধু তাই নয়, শামীম ও তানিয়ার অভিসারের অনেক আবেগঘন মুহূর্তের ছবিও রয়েছে আমাদের কাছে। সংশ্লিষ্টদের মতে একে একে ২ বার যেখানে স্বেচ্ছায় দু’জন প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়ে নিজ নিজ সংসার রেখে প্রেমের টানে পালিয়ে যায়, সেটা কি করে অপহরণ মামলা হয়, তার জবাব কি? কে দেবে তার উত্তর? আজ শামীম তানিয়ার প্রেমের খেসারত কেন দিতে হচ্ছে সাত্তারকে। কি অপরাধ সাত্তারের? এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনারগাঁও থানার সাব ইন্সপেক্টর মেজবাহ উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাত্তারের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কি সেই অভিযোগ- এ কথার কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। মামলা সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি যে সাজানো এটা জেনেই ওসি এই মামলা আমলে নেন এবং নির্দোষ সাত্তারকে গ্রেফতার করেন।

এর পেছনে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনেরও অভিযোগ রয়েছে। এই মামলার বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করেন। কে এই তানিয়া? তানিয়া হচ্ছে সোনারগাঁও উপজেলার এক মেয়ে। তার সাথে শামীমের পরিচয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। শামীমকে তানিয়া এতই বশ করেছে যে, বেচারা অবশেষে নিজের স্ত্রীকে রেখে তানিয়াকে নিয়ে পালাতে বাধ্য হয়।

ঘর ছাড়ার ব্যাপারে শামীমের চেয়ে তানিয়ার বেশি আগ্রহ ছিল বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। এই তানিয়া শামীমকে পাওয়ার জন্য তার সৌদি প্রবাসী স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ঢাকায় শামীমকে বিয়ে করে। যার কপি আমাদের দফতরে সংরক্ষিত আছে। শুধু তাই নয়, গত ২৫/০৫/২০১২ খ্রিঃ তারিখে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাজী মোঃ মজিবউল্লাহ তাদের বিয়ের কাবিন রেজিস্ট্রি করেন। যার ফটোকপিও রয়েছে আমাদের হাতে।

সংশ্লিষ্টদের মতে এত কিছুর পরও কি করে তানিয়ার বাবা মামলা করলেন? তিনি কি তার মেয়ে সম্পর্কে জানতেন না? না জানার তো কোন কারণ নেই। যে মেয়ে তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে অন্য এক ছেলেকে কোর্টে গিয়ে বিয়ে করতে পারে সে মেয়ের পক্ষে কি না করা সম্ভব? এটা কি তিনি ভেবে দেখেছেন? না দেখলে ভেবে দেখা উচিত নয় কি? সূত্রঃ-http://www.weeklymanchitra.com/details.php?id=2703&nid=13 ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.