এই ব্লগে নানান কিসিমের লোক রয়েছে। যেমন রয়েছে তারেক রহমানের অন্ধভক্ত তেমনি আছে জামায়াতের টুপির আড়ালে কাল কেউটের বাচ্চা যা সুযোগ পেলেই আপনাকে আমাকে একচোট দেখে নিবে। আর ৭১ এর পক্ষের কথা আমি বলছি না, কারন এই একমাত্র '৭১ নিয়ে আমি কিছু সহ্য করতে পারি না। এর বাহিরেও এক বিশেষ ধরনের ব্লগার রয়েছে। যে বা যারা সব সময় আবেগ তাড়িত হয়ে হাসিনা-খালেদা'কে কথায় কথায় পানিতে চুবিয়ে ছাড়ে, সাধ্য থাকলে আরও কিছু করত মনে হয়!
উনি সর্বদায় এই খালেদা-হাসিনা নিয়ে মাথা ঘামালেও একবারও ভুলেও ভুল করে ভাবে না নিয়ম বর্হিভূতভাবে পদোন্নতি পাওয়া মইনের কথা, বলে না ইত্তেফাকের ফাঁকে ঘটে যাওয়া মন্জু আর মইনুলের ফাঁকা করার কাহিনী, উনি বলতে শরম পান এরশাদ কাকুর কথা, উনার মেধায় কুলায় না মুশতাক কিংবা সাত্তারের কথা।
সেই উনি আমাদের বাংলাকে সোনার বাংলায় পরিনত করতে বদ্ধপরিকর সওদাগর ইউনুচের মত। যে কিনা সওদাগারের রাজনীতির জাহাজে উঠেছিল সুশীল সমাজের ছদ্মবেশে। কিন্ত আমাদের মাননীয় সওদাগর সাহেব তেনার রাজনীতিতে না মুনাফা হওয়ায় আশংকায় সে পথ ত্যাগ করার পরে পরেই সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতে লাগলাম আমরা জেনারেল মইনের হাত ধরে সোনার বাংলা হয়ে।
এত কথা বুঝলেও, ঐ আহম্মগুলো রাষ্ট আর সরকারের পার্থক্য যেমন বুঝে না তেমনি জানে না সেনা শাষনের বিরোধীতা মানে সেনা বাহিনীর বিরোধীতা নয়। অথবা জেনেও না জানার ভান করে দুধের মাছির মত বিচরন করছে এইখানে।
অথচ এই শিক্ষা দেওয়া হয় ক্লাস সিক্সে।
বাংলাদেশকে সোনার বাংলা দেখতে চাই আসলে সামনে সামনে আর পিছনে গোছাই নিজের আখের এই নীতিতে বিশ্বাসী উনি কখনোই বলে না মইনুলের ছেলের কাকড়াইলের দোকানের দুইনম্বরী সম্পর্কে। কেননা যেকথা বলাতে লাভ নাই উনি সেকথা বলবেনই বা কেন?
যখন ইউনুচ সওদাগর রাজনীতির জাহাজ নিয়ে বাংলাকে সোনার বাংলায় পরিনত করতে চেয়েছিল উনি তখন জাহাজে উঠেছিলেন সুশীল সমাজের বেশে। এরপর সওদাগরের রাজনীতির জাহাজ ডুবে যাওয়ায় উনি জাহাজ থেকে ট্র্যাংকে উঠে পরেন মইনের সাথে। কারন এইটা সেফ সাইড।
তাছাড়া বাংলাকে সোনার বাংলা বানাতে না পারলেও পাকিস্থান বানানোর বাসনা তো সেই ১৯৭১ থেকেই রয়েছে রক্তের ধারাবাহিকতায়। আর তাই তো সময় ও সুযোগ পেলেই মনের সেই সুপ্ত বাসনা পূরণ করতে যেকোন জায়গা কার্পন্য করেছে না এই সোনার বাংলার স্বপ্নের আড়ালে বিভোড় এইসব জানোয়ারের দল।
(লেখাটি স্বপ্নে পাওয়া তাবিজের মত, কারও সাথে মিলে গেলে লেখক দায়ী নয়)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।