১.
ধান কাটা প্রায় শেষ। পূর্ণিমার রাত। রাত হলেই দক্ষিণের বিলটার জন্য মন উচাটন। কিন্তু মা ভীষণ রাগী। রাতে কিছুতেই ঘর থেকে রের হতে দিবে না।
তাই সন্ধ্যার আগেই উচ্চ স্বরে পড়াশোনা। মায়ের মন ঘামানোর এই একটা পথ। একটু পড়তে দেখলেই মায়ের মনটা কেমন জানি একেবারে গলে যায়। আর আমি এ সুযোগে মায়ের আচল ধরে ঘুরোঘুরি করি। আমতা আমতা করে বলে উঠি ‘শাকিলরা সকলেই তো গেল, আমি গেলে এমন কী হয় মা?’ মা ও আদরের রাগ দেখান।
‘রাতে বাইরে যাওয়া ভালো না। ভূত-প্রেত সব চারদিকে ঘুরোঘুরি করে। কখন ধরে ঘাড়টায় না মটকে দেয়! আর তুই এ রাতের বেলা দক্ষিণের বিলে গিয়ে কী করবি? আমাদের চুলায় তো জ্বালানীর দরকার নেই। ’ আমিও নাছোড়বান্দা। দম না ফেলে অনবরত বলতে থাকি ‘ মা, যাই না...’ অবশেষে মা রাজি হবেন।
বলবেন ‘তাড়াতাড়ি ফিরবি কিন্তু, নইলে আর কোন দিন যেতে দিবো না। ’
তিড়িং বিড়িং করে ছুটে যায় দক্ষিণের বিলটাতে। গ্রামের শিশু-কিশোরদের কেউই বাদ নেই। অনেক আগেই তারা চলে এসেছে। সকলেরই নাড়ার স্তুপ তখন খাড়াং ভর্তি হওয়ার মতো।
আমি গিয়ে রহমত কাকার পাশে বসি। কাকার কিসসা বলা শুরু হয়ে গেছে অনেক আগেই। তবুও হাতে নাড়া টানতে টানতে মনযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত শুনে যাই। কাকা বলতে থাকে ‘হাকিম তখন বন্দীদের বলে ‘সামনে রাখা মাটি গুলো দিয়া মানিক বানাও। যে প্রকৃত মানিক মাটি দিয়ে গড়তে পারবে তাকেই শুধু মুক্তি দেওয়া হবে।
বন্দীদের মানিক বানানোর তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। বিশাল বিশাল আকারের মানিক বানায় রাখাল দুইজন। দেখে রাজপ্রাসাদে হাসির রোল। কিন্তু একই আকার ও ধরণের সুন্দর মানিক বানায় ‘আছাফ’, তার চাচা ইদ্রিস ও স্বর্ণকার। রাজা বুঝে ফেলে রাখালদের কোন দোষ নেই।
‘আছাফে‘র সোনার মানিক আত্মসাৎ করে তার চাচাই স্বর্ণকারকে বিক্রি করে দিয়েছে। রাজা রাখালদের মুক্তি দেয়। ইদ্রিস আর স্বর্ণকারকে বলে মানিক ফেরত দিলে শুধু মিথ্যা বলার শাস্তিটুকু পাবে, অন্যথায় মৃত্যুদন্ড......’
একসময় গল্প শেষ হয়। এক ধরণের ভালো লাগা নিয়ে আমরা যে যার ঘরে ফিরে যায়। মস্তিষ্কে ঘুর ঘুর করে আছাফের গল্প।
রাতের অন্ধকারে কিছু জ্বল জ্বল করতে দেখলেই বারবার তাকিয়ে দেখি। মনে হয় কোন ব্যাঙের মুখে মানিক জ্বলছে।
২.
বাবা শহরে চাকুরী করেন। ঘরে আসেন বৃহষ্পতিবার রাতে। বৃহষ্পতিবার রাত মানেই আমাদের সাপ্তাহিক ঈদ।
বাবা আমাদের সকলের জন্য কিছু না কিছু নিয়ে আসবেন। সন্ধ্যার পর থেকেই উঠোনের দিকে মন পড়ে থাকে। এই বুঝি এলো বাবা। না, বাবা আসে না। প্রতীক্ষা করতে করতে একসময় আমরা ঘুমিয়ে পড়ি।
অধিকাংশ সময়ই বাবা আসেন মধ্য রাতে। বাবা এসেই আমাদের কক্ষে চলে আসবেন। দেখবেন মশারীটা ঠিক মতো লাগানো হয়েছে কিনা। কিন্তু বাবা কাছে আসলেই কেন জানি ঘুম ভেঙ্গে যেতো। আমি, আপু, নাঈম সকলেই উঠে পড়তাম।
শুধু ভাইয়া ছাড়া। ও নিজের মতো করে ঘরের কোণে পড়ে থাকতে ভালবাসতো। কারো সঙ্গে অতিরিক্ত আলাপে তার ইচ্ছে নেই।
বাবা কি এনেছে দেখেই ঘুমাতে যেতাম। বাজার আর সামজিক কাজ কর্মে বাবা ব্যস্ত থাকতেন শুক্রবারের পুরো দিন।
সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরলেই আমরা বাবাকে ঘিরে বসতাম। কত কী বলতাম তার কোন ইয়ত্তা নেই। কার আগে কে বলবো তা নিয়েই চলতো প্রতিযোগিতা। বিদ্যুৎ চলে গেলে মা বাড়ির উঠোনে চাটাই বিছিয়ে দিবেন। আর আমরা রীতিমতো বালিশ নিয়ে সে চাটাইয়ে হাজির।
কে কখন ক্লাশ টেস্টে নম্বর বেশী পেয়েছি, কোথায় কী দুষ্টুমি করেছি সে হিসাবের খেরোখাতা মেলে ধরি বাবার সামনে। বাবাও সকলের কথা শুনতে থাকেন।
বাড়ির উঠোনে বিছিয়ে দেওয়া এ ছাটাইয়ে কতোবার বাবার হাতের আঙুল ধরে ঘুমিয়ে পড়েছি ঠিক মনে নেই। হয়তোবা ঘুম ভেঙ্গেছে বাবার মিষ্টি গানের সুরে। বাবার এ অভ্যেসটা প্রায়ই চোখে পড়তো, হঠাৎ গেয়ে উঠা।
খুব দরদ দিয়ে গাইতেন তিনি। বাবার গানের শব্দ শুনলে মা ও কাজ ফেলে আমাদের কাছে এসে বসতেন। কিন্তু বাবার গান থামতো না। তিনি গাইতে থাকতেন ‘তোমাদের জলশা ঘরে, নতুন করে, গাইতে এলাম গান... তোমাদের জলশা ঘরে...’।
এখন বাবার সাথে কত রাত একসাথে গল্প করে কাটাই।
অথচ, মনেই হয় না বাবার মুখে কখনো গান শুনেছিলাম!
৩.
ব্যস্ত নগরীর একটি ছয়তলা ভবনের চিলোকোঠায় থাকি। বাসার ছাদটা বেশ খোলামেলা। ছাদ থেকে নগরীটার উপর চোখ বোলাতে বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে রাতে। একেবারে অন্যরকম চারিদিক।
ছাদের উপর পানির ট্যাংক। সে ট্যাংকটার গায়ে হেলান দিয়ে বসি। উদাস চোখে বিচরণ করি চারিদিক। চারদিকে ভবনের জানালাগুলো মৃদু আলোতে পাখির বাসার মতো মনে হয়। পাখিই বটে।
কোন জানালায় মুখ বের করে বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকে নাগরিক চড়ুই। অদূরে লাইটার জাহাজের আলোয় জ্বলজ্বল করে কর্ণফুলীর স্বচ্ছ জল । সেতুটার উপর কুপির মতো মৃদু আলো জ্বেলে আসা যাওয়া করে সারি সারি গাড়ি। মাতাল হাওয়া মনটাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। নিয়ে যায় ফেলে আসা শৈশবের গ্রামে।
কর্ণফুলীটাকে মনে হয় টংকাবতী। ভিড় করা জাহাজগুলো যেন ডাঙার চর, যেখানে ফুটবল খেলতে গিয়ে একবার ডান হাতের কনিষ্ঠা আঙুলটা ভেঙ্গেছিলাম। সাপের মতো বেঁকে যাওয়া গলিটাকে ভ্রম হয় আমাদের বাড়ির সম্মুখের মেঠোপথ বলে। কল্পনায় আমি হেটে চলি। রিক্সার অহেতুক ভিড়ের বদলে আমার কল্পনায় ফাঁকা হয়ে উঠে সে পথ।
রাস্তার ধারে হেসে উঠে অসংখ্য দাঁতরাঙা, ঢোল কলমী আর ভাট ফুলের সারি। কোমল ফুলের গায়ে হাত বুলাতে বুলাতে আমি হাটতে থাকি। আমার পথ শেষ হয় না।
একসময় ঘোর আটকে যায়। নাগরিক গন্ধে সচকিত হয়ে ফিরে আসি বাস্তবের বিবর্ণ রঙে।
আমার ভালো লাগাগুলো কর্পূরের মতো উবে যায়। নিজের অজান্তেই চোখ বেয়ে নেমে আসে জলের ফোটা। তখন হৃদয়টা চিৎকার করে কেবল একটি কথাই বলে উঠে ‘এ শহর আমার নয়..’!
৪.
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে হলে থাকার স্বাদ নিবো না, এ হয় না। তাই সিটের জন্য আবেদন করেছিলাম। পেয়েছি।
এমনকি পেয়েছি মনের মতো কক্ষ ও রুমমেট। তবুও প্রথম দিকে খুব একটা ভালো লাগতো না। মনে হতো পুরোটাই উদ্ভট এ হল জীবন। পরিচিত বন্ধুদের সাথে দেখা হলে ‘কেমন আছিস’ এর বদলে শুনতে হতো মজার একটি প্রশ্ন, ‘খেয়েছিস’? খাওয়াটা যেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা হলেই ডাইনিংয়ে খাবারের জন্য লাইন।
এমনই অবস্থা যে সিট পাওয়া যায় না। কিন্তু একসময় খুব ভালোভাবে উপভোগ করতে লাগলাম সবকিছু। দেখা মিললো আমারই মতো কিছু বাউন্ডুলের সাথে। কাউসার ভাই, হিমুসহ আরো অনেকেই। পড়ালেখায় মনযোগ নেই কারো।
রাত একটা দেড়টা পর্যন্ত গান আর আড্ডায় আজিজ ভাই কিংবা তৈয়বের দোকানটাতে পড়ে না থাকলে ভাত হজম হয় না। গলা ফাটিয়ে গান করতাম। ক্যাম্পাসের যারা চেনে না তারাও দূর থেকে গানের আওয়াজ শুনলে বুঝতে পারতো ‘আকাইম্যা বাউন্ডুলের দল’। একবছরের হল জীবনের প্রায় প্রতিটি রাতই কারো না কারো সঙ্গে এভাবে গানে-আড্ডায় কাটিয়েছি।
কাউসার ভাইয়ের সাথে আমার একটা অলিখিত চুক্তি ছিলো।
আমি গান করলে ওকে সিগারেটের ডোনার হতে হবে। এমন খুব কম রাতই গেছে যেদিন ওর টাকা দিয়ে সিগারেট খাইনি। মানুষটাকে আমার খুব ভালো লাগতো। সেও আমাকে সবখানে পরিচয় করিয়ে দিতো তার ভাড়াটে গায়ক হিসেবে। হল ছেড়েছি প্রায় বছর হতে চললো।
কিন্তু সে হলের রাতগুলোকে কিছুতেই ভূলতে পারি না।
আড্ডা শেষ করে হলে ফিরে ঘুমানোর কথা। প্রথম প্রথম তা‘ই করতাম। কিন্তু সে নিয়মের ব্যতয় ঘটালো শিউলীর আর্ভিভাব। সারাদিন খুব একটা কথা বলার সুযোগ পেতাম না।
তাই রাত হলেই ওর সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হতো। কিন্তু হলের রুমমেটদের অহেতুক বিরক্তে না ফেলার জন্য হলের ছাদে গিয়ে কথা বলতাম। একরাতের কথা খুব মনে পড়ে। হলের ছাদে শুয়ে শুয়ে কথা বলছি। ঠিক কথা নয়, কী বলছি নিজেরাই জানি না।
কথা বলতে বলতে একসময় ঘুমিয়ে পড়লাম। প্রায় শেষ রাতের দিকে ঘুম ভাঙলে নিজেই বুঝে উঠতে পারছিলাম না আমি কোথায়। পাশে পড়ে থাকা ফোনে দেখি দশ-বারোটা মিসড কল। পরে জানতে পারি আমার ঘুমিয়ে পড়ার বিষয়টি শিউলী বুঝে উঠতে পারেনি। অনেক্ষণ হ্যালো হ্যালো করে সাড়া না পেয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পুণরায় কল দিয়েছিলো।
কিন্তু আমিতো অঘোর ঘুমে।
আরেকবারও এধরণের মজার ব্যাপার ঘটেছিলো। রাত তখন প্রায় দুইটা। শীতের রাত। আমি গায়ে কালো চাঁদর জড়িয়ে শিউলীর সঙ্গে ফোনে কথা বলছি।
হলে পানি নেই। পাশের রুমের বন্ধু জুয়েল ও ফরিদ গেলো হলের ছাদে থাকা পানির ট্যাংক থেকে পানি সংগ্রহ করতে। আমি সিঁড়ি দিয়ে কাউকে উঠতে দেখে নিচু স্বরে কথা বলছি। কুয়াশা আর রাতের অন্ধকারে প্রথম দিকে তারাও আমার উপস্থিতি বুঝতে পারেনি। পরে যখন কালো চাঁদর গায়ে কাউকে চোখে পড়ে তখন তারা ভয়ে অস্থির।
পানি না নিয়ে তাড়াহুড়া করেই নিচে নেমে গেলো। কিছুক্ষণ পর বাতি নিয়ে তাদের আরেকজন সাহসী রুমমেট সহ হাজির। দূর থেকে আমার কাছে পরিচয় জিজ্ঞেস করলো। কিন্তু আমার কণ্ঠ ভেবেই একেবারে ভ্যাবাচেকা। সাহসী রুমমেটটা তখন গড়াগড়ি দিয়ে হাসছে।
৫.
একটি পত্রিকা অফিসে সাব এডিটিংয়ের কাজ নিয়েছি এ মাসে। সন্ধ্যা পাঁচটা থেকে রাত এগারোটা। মাঝখানে কিছুক্ষণ চা খাওয়ার সময় জোটে। একটি কারণে এ চাকুরীটিকে ভালোবেসে ফেলছি। ভালোলাগাটা হলো মধ্যরাতে অফিস থেকে বাসায় ফেরা।
ফিরতে ফিরতে প্রতিদিনই রাত দেড়টার অধিক সময় লেগে যায়। অবশ্য এতসময় লাগার কথা নয়। দু’টো কারণে লাগে। একেত অফিস থেকে নেমে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে সন্ধ্যার মিস করা আড্ডাটার স্বাদ নিই। আর দ্বিতীয়ত খুব ক্লান্ত না হলে হেটেই বাসায় ফিরি।
হাটার সময় কানে লাগানো হেডফোনে উচ্চস্বরে বাজতে থাকে ক্যালকটা কয়ার অথবা মহীনের ঘোড়াগুলি। সঙ্গীতের মূর্ছনায় চারপাশ দেখতে দেখতে হাটতে থাকি। ডিসি হিলের সামনের ফুটপাত দিয়ে গেলেই চোখে পড়ে মশারী টাঙিয়ে সারি হয়ে শুয়ে থাকা বাস্তুহারার দল। মশারী টাঙানোর স্টাইলটা একেবারে অন্যরকম। একদিকে দেয়ালের ছাদে সুতা দিয়ে লাগানো।
অপরপ্রান্ত বাঁধা ইটে। দূর থেকে দেখতে ছোট টিলার মতো লাগে। এ জায়গাটাতে আসলে একটা উদ্ভট গন্ধ নাকে এসে ধরা দেয়। সম্ভবত, আসে পার্কের দেয়ালে এদের শুকাতে দেওয়া কাপড় থেকে। প্রথম দিকে গন্ধটা বিকট লাগতো।
এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এ সময় রাস্তা ঘাটে খুব একটা কোলাহল থাকে না। তবে নিউমার্কেট মোড়ে আসলেই চিত্রটা অন্যরকম। মধ্যরাতেও এ জায়গাটাতে কোলাহলের শেষ নেই। চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে বারাঙ্গানার দল।
এসময় তাদের চেহারাটা কেন জানি একেবারে ফ্যাকাশে হয়ে থাকে। সন্ধ্যা বেলায় যাদের মুখ থেকে পানের পিক পড়তো আর থাকতো বিশ্রী দাত দেখানো হাসি, তারাও ক্লান্ত হয়ে আসে এ সময়টাতে। তবুও খদ্দের জোটানোর শেষ চেষ্টাটুকুর কমতি নেই।
একটা সিগারেট নিই। বাসায় সিগারেট খাওয়া যায় না।
তাই শেষ সিগারেটটা এখানে এসেই জ্বালাই। সোডিয়াম বাতির নিয়ন আলোয় ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে হাটতে থাকি স্ট্র্যান্ড রোড ধরে। একেবারে গা ঘেষে দানবের মতো চলে কর্গোবাহী ট্রাক। কখনো বাতাসের ঠেলায় অনেকটা হেলে পড়ি। বাসার সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে পা স্থির হয়ে আসে।
ছোট ভাইটা ঢুলু ঢুলু চোখে এসে দরজা খুলে দেয়। বাসায় ঢুকেই বিছানাই শুয়ে পড়ি। খাবার ইচ্ছেটুকুও আর থাকে না...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।