আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বালিকার চুড়ি অথবা বেহালাবাদকের গল্প!

আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না ! কোন রোদ চুরি হয়ে যাওয়া সন্ধ্যায় কিশোর বেহালাবাদক নতজানু হয়ে বসে থাকে চুড়ি পড়া বালিকার কাছে! সচরাচর বালিকার চুল আর বেহালার সুর পাশাপাশি খেলা করে বেহালাবাদকের একান্ত অনুভবে। চুড়ি এবং বেহালা সুরের মধ্যে বাদক কিশোরের কি সম্পর্ক তা জানা নেই।তবে, বালক সহসাই বলে যায়, চুড়ি পড়া হাতের তালুর মধ্যেই তার সমস্ত রং, স্মৃতিভ্রষ্টতা অথবা ঘোলাটে ঘোর। সেদিন থেকেই বেহালাবাদকের ব্যক্তিগত আনন্দভ্রমণ বালিকার অপাপবিদ্ধহাসিতেই সীমাবদ্ধ হয়ে গ্যাছে- যা চুঁড়িতে নকশাকৃত কৃষ্ণচুড়ার রং এর মতন। চুড়ির বালিকা অথবা কিশোর বেহালাবাদক সর্বদাই অসম্পুর্ণ গল্প! বালিকার চোখে সন্তনির্জনতা , হাতের তালুতে নিজস্ব দীঘি, ঘড়ির কাটায় খোদাই করা ঘুম - এসবের রঙ মুছে মুছে সে একা পাখি হয়ে ঊড়ে যায়!আর তখন আমরা পাতা ঝরা শব্দ এর টিউন কুড়িয়ে নিস্পৃহতা নিয়ে জেগে থাকি শামুক হৃদয়ে - এ হৃদয়ের নীচের অন্ধকার চুড়ির রঙ । এ সময় মনে পড়ে কিশোর বেহালাবাদকের কথা যে বেহালার সুরে বৃষ্টি নামাতে চেয়েছিলো- বালিকার প্রিয় বৃষ্টি, আকাশের নীল রং কে তুলি বানিয়ে আঁকতে চেয়েছিলো নিজেদের ব্যক্তিগত বিশ্রামঘরের দেয়াল এর রঙ! যেখানে বেহালার সুর করুণ একান্তপাখি তার পাশাপাশি আমি একা একা জেগে থাকি আর বেহালাবাদকের গল্প কাগজে লিখে ছিড়ে ফেলি বারংবার! দৃশ্যত, বেহালারবাদকের চোখে যে হাসি লুকিয়ে আছে তা মূলত চূড়ি পরা বালিকা এবং হাতের রেখার নিজস্ব বিষন্নতার অন্য নাম!  

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।