ছোটবেলায় দেখা টিভি সিরিজগুলো - ১ , ২ , ৩
৩৬. রুটস
অ্যালেক্স হ্যালির বিখ্যাত উপন্যাস রুটসের কাহিনী নিয়ে করা সিরিজ রুটস।
এর সম্পর্কে আলাদা করে বলার কিছু নেই। দাসপ্রথা নিয়ে যত সিরিজ বা মুভি দেখেছি, এটাই মনে দাগ কেটে গিয়েছিল সবচেয়ে বেশি।
৩৭. কুইনি
এটা ছিল একটা মিনি সিরিজ। প্রথমে অবশ্য মুভি অব দ্য উইকে দেখিয়েছিল।
পরে সিরিজ করে দেখানো হয়। দুইবারই দেখেছিলাম। নায়িকা মহা সুন্দরী ছিল।
এর কাহিনী শুরু হয় ভারত উপমহাদেশে। এর মূল চরিত্র এক মেয়ের যার মা ছিল অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান।
মেয়েটা মহা সুন্দরী। কিন্তু ঘটনাক্রমে তাকে তার মামার সাথে মোটামুটি কপর্দকহীন অবস্থায় দেশ ছাড়তে হয়। তারপর অনেক স্ট্রাগলের পর সে সিনেমার নায়িকা হয়। এক ফটোগ্রাফারের সাথে প্রেম হয়। কিন্তু পরে বিয়ে হয় এক বুড়ো পরিচালকের সাথে।
এক সময় সে সিনেমার শুটিং-এর জন্য ভারতেও আসে। তার মা তখন তার পরিচারিকা হিসেবে তার কাছে আসে, কিন্তু নিজের পরিচয় দিতে মানা করে দেয়। কারণ, কালো চামড়ার রক্ত তার শরীরে আছে এটা জানলে কুইনির ক্ষতি হবে। শেষ পর্যন্ত কুইনি তার মায়ের পরিচয় দিয়েই দেয় সবার সামনে।
৩৮. কুইন
এটা হল আমেরিকার সেই সময়ের কাহিনী যখন দাসপ্রথা খুব জঘন্যভাবে চালু ছিল।
এটাও অ্যালেক্স হ্যালির কাহিনী।
কালো দাসদের উপর অমানুষিক অত্যাচারের আরেকটা দিক ছিল কালো চামড়ার মেয়েদের ইচ্ছামত ব্যবহার করা হত। এরপর তারা গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাদের সন্তানরাও দাস হয়েই বেড়ে ওঠে, তাদের চামড়া সাদা হোক বা কালো। এরকমই একজন সন্তান ছিল এই সিরিজের নায়িকা, যার নাম রাখা হয়েছিল কুইন। এই চরিত্রে হ্যালি বেরি অভিনয় করে।
এক সময় কুইন চলে আসে শহরে, সেখানে সে নিজেকে সাদা চামড়ার একজন বলে পরিচয় দিলেও এক সময় দেখতে পায় আসলে কালো চামড়ার রক্ত যার শরীরে আছে তাকে কেউ সাদা হিসেবে দেখে না। এক সময় সে ফিরে আসে কালোদের মাঝেই।
৩৯. রিটার্ন টু ইডেন
এই সিরিজটাও ডালাস, ডাইন্যাস্টির মত বিশাল বড়লোকদের নিয়ে। তবে এটা ভালো লাগত বেশি কারণ এখানে মূল চরিত্রে ছিল একটা মেয়ে। আর এর কাহিনি হল অস্ট্রেলিয়ার।
নায়িকা একটু বয়স্ক হলেও ভালো লাগত। তার দেবরের বউটা ছিল মহা কুটনী। দেবরটাও কম যায় না। একবার তো নিজের বউকেই খুন করার জন্য লোক পাঠিয়ে দিয়েছিল। পরে বউয়ের গর্ভধারণের খবর নিশ্চিত হওয়ার পর নিজেই আবার বউকে উদ্ধার করে।
৪০. টু বি দ্য বেস্ট
এটাও বড়লোক এক মেয়ের কাহিনী। এর কাহিনী তেমন আকর্ষণীয় না হলেও এই সিরিজটা দেখা হত নায়িকার জন্য। এর চরিত্রে অভিনয় করেছিল বায়োনিক ওম্যানখ্যাত লিন্ডসে ওয়াগনার।
এর টাইটেল মিউজিকটা খুব পছন্দের ছিল। এখনও মাঝে মাঝে গুন গুন করি।
৪১. শিকাগো হোপস
এই সিরিজটা ভালো লাগার কথা এখন। তবে তখনও ভালোই লাগত, যদিও অনেক কিছুই তখন বুঝতাম না।
এর কাহিনী হল শিকাগোর একটা হাসপাতাল নিয়ে, হাসপাতালের ডাক্তারদের নিয়ে, রোগীদের নিয়ে।
৪২. মায়ামী ভাইস
এটা একটা গোয়েন্দা সিরিজ। দুই গোয়েন্দার একটা দল থাকে যারা একেক পর্বে একেক রহস্য উন্মোচন করে আর দুষ্টুলোকদের শায়েস্তা করে।
সিরিজটা অবশ্য খুব নিয়মিত দেখা হত না। তবে যখন দেখতাম আগ্রহ নিয়েই দেখতাম।
৪৩. চায়না বিচ
এটা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একটা মেডিকেল ক্যাম্পের কাহিনী নিয়ে সিরিজ।
এর নায়িকা খুব সুন্দরী না হলেও একটা আকর্ষণ ছিল তার প্রতি। টাইটেল দেখানোর সময় তার সানগ্লাস খুলে আড়চোখে তাকানোর দৃশ্যটা খুব পছন্দের ছিল।
৪৪. ফ্যামিলি টাইজ
অনেক ভাই-বোন নিয়ে একটা পরিবারের কাহিনী ফ্যামিলি টাইজ। মূলত কমেডি সিরিজ হলেও এখানে মাঝে মাঝে ইমোশনাল কাহিনীও থাকত।
এই সিরিজের মূল আকর্ষণ ছিল মাইকেল জে ফক্স, যে অনেক ভাই-বোনের একজন। ভাই-বোনদের মধ্যে খুনসুটি লেগেই থাকত, এগুলোই মজা লাগত।
৪৫. বিল কসবি শো
নাম শুনেই বোঝা যায় বিল কসবির সিরিজ।
বিল কসবি আর তার পরিবার।
পরিবারে ঘটে যাওয়া নানান মজার আর সুখ-দুঃখের গল্প নিয়ে সিরিজ আগায়। একেবারে ছোট মেয়েটা সব সময় তিনটা ঝুঁটি করে রাখত মাথায়।
৪৬. ডিফারেন্ট স্ট্রোক্স
এটাও এক আমেরিকান পরিবারের কাহিনী যেখানে তারা দুইজন নিগ্রো ছেলেকে পালক হিসেবে নেয়। শুরুতে তাদের নিজের সন্তান ভাই হিসেবে তাদের মেনে নিতে না পারলেও পরে ঠিকই আপন করে নেয়।
এরপর ঘটতে থাকে একের পর এক মজার কাহিনী। এর কোন এক পর্বে ঐ সময়ের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট (নাম ভুলে গিয়েছি ) তার ফার্স্ট লেডিসহ এসেছিলেন।
এখানে ছোট ভাইয়ের চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছিলেন, তার জীবন-কাহিনী নিয়ে একটা মুভি দেখেছিলাম। সেখানে এই সিরিজ করার ঘটনাও ছিল। মানুষটার মনে যে কত কষ্ট ছিল এই সিরিজ দেখে কেউ কল্পনাও করতে পারবে না।
৪৭. হু'জ দ্য বস
এটা এমন এক পরিবারের কাহিনী যেখানে এক ডিভোর্সি মহিলা তার ছেলেকে নিয়ে থাকে। সে কর্মজীবী বলে হাউজ কিপারের জন্য বিজ্ঞাপন দেয়, তার বাড়িতে হাউজ কিপার হিসেবে যোগ দেয় একজন পুরুষ, তার সাথে থাকে তার মেয়ে। এক সময় তারা পরিবারের সদস্যের মতই হয়ে যায়।
নায়িকার মা থাকে ওভারস্মার্ট বুড়ি যে পাশের বাসায় থাকে। একেক পর্বে একেক মজার কাহিনী চলতে থাকে।
৪৮. আই ড্রিম অব জিনি
এক সামরিক কর্মকর্তার কাহিনী যে একবার একটা দ্বীপে আটকা পড়ে আর সেখানে আলাদীনের চেরাগ খুঁজে পায়। কিন্তু আলাদীনের চেরাগের সাথে পার্থক্য হল এই চেরাগের ভেতরের জিন কোন ছেলে জিন না, সে একজন সুন্দরী জিনি।
অবশেষে নায়ক উদ্ধার হয়ে বাড়ি ফিরে আসে, সাথে নিয়ে আসে এই জিনিকে। আর তাকে নিয়ে চলতে থাকে মজার মজার সব কাহিনী। এই নায়ক ছিল ডালাসখ্যাত ল্যারি হ্যাগম্যান।
এটা তার আরও কম বয়সের করা সিরিজ।
৪৯. স্মল ওয়ান্ডার
এর কাহিনী হল এক বিজ্ঞানীকে নিয়ে যে এক্সপেরিমেন্টালি একটা রোবট বানায়। এই রোবট হল একটা ছোট মেয়ে ভিকি যাকে সে নিজের পালক মেয়ে হিসেবে বাড়িতে রাখে।
কিন্তু পাশের বাড়ির প্রতিবেশির নাক গলানো নিয়ে খুবই যন্ত্রণায় থাকতে হয় তাদের প্রত্যেককে। আর চলতে থাকে মজার মজার ঘটনা।
৫০. পারফেক্ট স্টেঞ্জার্স
কমেডি সিরিজের মধ্যে এখনও আমার চোখে সেরা হল পারফেক্ট স্ট্রেঞ্জার্স। মিপোস দ্বীপের এক অধিবাসী বাল্কি বার্দাখমুস আমেরিকায় রঙীন স্বপ্ন নিয়ে আসে। এসে ওঠে তার কাজিন ল্যারি অ্যাপেলটনের বাসায় যাকে সে ডাকে কোসিন ল্যারি। তার অদ্ভূত ইংরেজী উচ্চারণই একটা মজার ব্যাপার, আর সেই সাথে তার সরল মনে যত প্রশ্ন ওঠে আর ল্যারি তাকে শেখাতে শেখাতে অস্থির হয়ে যায়, এই নিয়ে চলতে থাকে মজার সব ঘটনা।
এর গল্প আসলে বলে শেষ করা যাবে না।
তবে যে এই সিরিজ দেখেনি, তার কমেডি সিরিজ বলতে কিছু দেখা হয়নি, এটাই বলব।
৫১. থ্রি স্টুজেস
কমেডি সিরিজের কথা বলব আর থ্রি স্টুজেসের নাম নিব না, তা তো হতেই পারে না। সেই পিচ্চিকাল থেকে দেখে আসছি, এখনও দেখলে হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যায়।
তিন ভাই কার্লি, ল্যারি আর মো - যারা নিজেদের অতি চালাক মনে করলেও আসলে চরম বোকা। তবে কোন কাজে তাদের অভিজ্ঞতার কমতি নেই।
যে কোন পেশায় তারা কাজে লেগে যেতে পারে, কাজটা জানুক বা না জানুক। ছোটবেলায় কতবার যে স্বপ্নেও এই সিরিজ দেখেছি। একটা স্বপ্ন তো এখনও পরিষ্কার মনে পড়ে। ছোটবেলার আর কোন স্বপ্ন এত পরিষ্কার করে মনে করতে পারি না।
৫২. দ্য লুসি শো
এটাও কমেডি সিরিজ।
এর মূল চরিত্র এক বৃদ্ধা মহিলা যার নাম লুসি।
তার দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া নানান মজার ঘটনা নিয়ে চলতে থাকে একেক পর্বের কাহিনী। এই সিরিজেও একবার এক ফার্স্ট লেডী এসেছিলেন যার লুসির বাড়িতে বেড়াতে আসার কথা ছিল, কিন্তু পরে তা বাতিল হয়। পরে ফার্স্ট লেডি ফোন করে তার কাছে ক্ষমা চান, সেই দৃশ্যে ফার্স্ট লেডিকে দেখানো হয়। যতদূর মনে পড়ে, প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের বউ ছিল।
৫৩. সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যান
এই সিরিজটা আসলে বেশি একটা মনে নেই, বেশি পিচ্চি ছিলাম। বড় বোনদের কাছে গল্প শুনতাম। একটা-দুটো পর্বের কথা একটু মনে পড়ে।
নায়কের অনেক বেশি শক্তি ছিল। কিভাবে হল অত কিছু মনে নেই।
৫৪. বায়োনিক ওম্যান
এই সিরিজও বেশি মনে নেই। শুধু মনে আছে একটা মেয়ে ছিল যে চাইলেই অনেক দূরের শব্দ শুনতে পেত। শুধু কানের পাশ থেকে চুলগুলো একটু সরিয়ে কান পেতে দিলেই হল। সে ছিল সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যানেরই মহিলা ভার্সন।
এই নায়িকার নাম আগেই নিয়েছি।
লিন্ডসে ওয়াগনারকে ভালো লাগত খুব।
৫৫. ইনক্রেডিবল হাল্ক
এর কাহিনী তো সবারই জানা। এক বিজ্ঞানী যে এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে এক দুর্ঘটনায় পড়ে আর এক তেজস্ক্রিয় পদার্থ তার শরীরে ঢুকে যায়। এরপর থেকে সে যখনই রেগে যায় তখনই বিশাল সবুজ এক দানবে পরিণত হয়।
এই সিরিজের নাম নিয়ে একটা মজার ঘটনা বড় বোনের কাছে শুনেছি।
আমি ঐ সময় খুব ছোট ছিলাম। বড় বোনরা মজা করে কাজিনদের সাথে নিয়ে দেখত এই সিরিজ। এক কাজিন, বড় বোনের চেয়ে একটু ছোট, সে এই সিরিজের নাম বলতে পারত না। বড়পা যতই শেখায় ইনক্রেডিবল হাল্ক, সে বলে ইন্কল বিন্কল হক। সে তার এই নাম নিয়ে এতই নিশ্চিত ছিল যে বড় বোনের সাথে দুই লাখ টাকা বাজীও ধরে ফেলত।
৫৬. দ্য নিউ অ্যাডভেঞ্চার্স অব রবিনহুড
এই সিরিজ দেখতাম শুরুতে নিয়মিত। ফ্রেঞ্চকাট দাঁড়ির নায়কটাকে ভালোই লাগত।
পরে এই নায়ক বদলে যাবার পর আর দেখা হয়নি।
৫৭. হারকিউলিস
এই সিরিজটা খুব নিয়মিত দেখা হয়নি। আসলে তখন একটু বড় হয়ে গিয়েছি আর পড়াশোনার চাপ বেড়ে গিয়েছিল।
এই সময় সব সিরিজ দেখা হত না।
এরপর মনে হয়ে ইয়াং হারকিউলিসও দেখিয়েছিল বিটিভিতে। সেটা আর দেখাই হয়নি আমার।
৫৮. দ্য সোর্ড অব টিপু সুলতান
এই সিরিজের কথা কী বলব। বাসার সবাই সব কাজ ফেলে এই সিরিজ দেখতে বসতাম।
ছোট ভাই সিরিজ শেষ হওয়া মাত্রই তার কাঠের লাঠিকে ঘোড়া বানিয়ে প্লাস্টিকের তলোয়ার নিয়ে আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ত, "আক্রমণ!" এই সিরিজ এতই আপন হয়ে গিয়েছিল যে যখন শুনেছি টিপু সুলতানের চরিত্রে অভিনয় করা সঞ্জয় খানের মেয়ের সাথে ঋত্বিক রোশনের বিয়ে হয়েছে, মনে হচ্ছিল যেন এই তো পরিচিতের মধ্যেই বিয়ে হল।
একটা মজার ঘটনাও আছে এই সিরিজ দেখা নিয়ে। সিরিজ শুরুর আগে কিছু জনস্বার্থমূলক বিজ্ঞাপন দেখানো হত। ছোট ভাই সেগুলোও মুখস্থ করে ফেলেছিল আর বিড় বিড় করে বলতে থাকত। একটা বিজ্ঞাপন ছিল, বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন, সৌজন্যে বেক্সিমকো।
ছোট ভাই বলত, বিসিদ্ধ পানির অপর নাম জীবন, সৌজন্যে বেক্সির মত।
৫৯. আলিফ লায়লা
বিদেশী সিরিজের নাম বলব আর আলিফ লায়লার নাম আসবে না, তা তো হতেই পারে না।
এটা নিয়ে আর কিছু বলতে হবে না। কী ক্রেজ ছিল এই আলিফ লায়লা নিয়ে সেটা সবাই জানে। এই সিরিজের সবচেয়ে প্রিয় চরিত্র ছিল জিঙ্গালু জুঙলা, যে একটা সবুজ রঙের জ্বীন।
বাসায় একটা প্লাস্টিকের পিঠ চুলকানি হাত কেনা হয়েছিল সবুজ আর বেগুনী রঙের। আমরা ওগুলোর নাম দিয়েছিলাম জিঙ্গালু জুঙলার হাত।
৬০. টারজান
টারজানের বেশ কয়েকটা সিরিজ হত। তার মধ্যে একটু পুরনো একটা ছিল, আমার তো নায়কের নামটা ভালোমত মনে নেই, জনি ওয়াইজমুলার মনে হয়, ঐটাই ভালো লাগত বেশি। আর পরে যেগুলো হয়েছিল, বিরক্ত লাগত।
মনে হত জঙ্গল তো না, পার্কে গিয়ে বসে আছে টারজান।
যাক গে, এখন আর ঐ টারজান নিয়ে মাথা ঘামাই না। এখন মাথা ঘামানোর জন্য আমার আসল টারজানই আছে।
৬১. লিটল হাউজ অন দ্য প্রেইরী
লরা ইঙ্গলসের এই বিখ্যাত উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে করা সিরিজটা চলেছিল অনেক দিন ধরে।
এই সিরিজে যারা অভিনয় করেছে তারাও কাহিনীর সাথে সাথে সত্যি সত্যি বড় হয়ে গিয়েছিল।
শেষের দিকে একটা পর্ব দেখিয়েছিল যেখানে এক ক্রিসমাসে পরিবারের একটা গেট টুগেদারে সবাই তাদের স্মরণীয় ক্রিসমাসে স্মৃতিচারণ করে। সেখানে পুরনো পর্বগুলোর অনেকগুলোই দেখিয়েছিল। তখন বোঝা গিয়েছিল এই নায়ক-নায়িকাগুলো কত পিচ্চিকাল থেকে এই সিরিজে অভিনয় করে আসছে।
৬২. হাইওয়ে টু হেভেন
স্বর্গ থেকে একটা মানুষকে/ফেরেশতাকে পাঠানো হয় পৃথিবীর একটা লোককে সাহায্য করতে। এই দুইজনের বন্ধুত্ব হয়ে ওঠে চিরদিনের।
এর নাম দেখানোর সময় দেখানো হত স্বর্গ থেকে যে মানুষটা এসেছে সে হেঁটে যাচ্ছে একটা রাস্তা দিয়ে, এই রাস্তা যেন আর শেষই হয় না।
৬৩. মার্ডার, শি রোট
এটা একটা গোয়েন্দা কাহিনীর সিরিজ। কিন্তু অন্যান্য গোয়েন্দা সিরিজ থেকে পার্থক্য হল এর মূল চরিত্রে আছেন একজন বৃদ্ধা মহিলা। তিনিই গোয়েন্দা, যিনি একেক পর্বে একেক খুনের রহস্য উন্মোচন করেন আর ডায়রীতে লিখে রাখেন।
এই সিরিজের একটা ব্যাপার ছিল, দর্শকদের নিজেদের চিন্তার করার সুযোগ ছিল।
একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে গোয়েন্দা তার রহস্য উদ্ঘাটন বর্ণনা করতেন। তার আগে পর্যন্ত ধরা যেত না আসল খুনী কে আর কিভাবে খুন করা হয়েছে।
৬৪. অল দ্য রিভারস রান
এই সিরিজের টাইটেল মিউজিকটা খুব খুব পছন্দের ছিল। এখনও মাঝে মাঝে গুনগুন করি মনে মনে।
অস্ট্রেলিয়ান এই সিরিজটা ছিল একটা মেয়েকে নিয়ে যে এক জাহাজডুবিতে পরিবারের সকলকে হারায়।
সে নিজে জাহাজের ভাঙা টুকরো ধরে কোনমতে ভেসে যাচ্ছিল। এক সারেং তাকে দেখে উদ্ধার করে। পরে ঐ বৃদ্ধ সারেং-এর সহকারী, যে নিজে পরে সারেং হয়, তার সাথে মেয়েটির ঝগড়া, প্রেম, বিয়ে হয়। বেশ ভালো লাগত ওদের এই সারেং-জীবনের কাহিনী।
অনেক লিখলাম সিরিজ নিয়ে।
আরও হয়তো কিছু নাম মনে পড়েনি, বা সিরিজগুলো ভালো মনে নেই বলে লেখা হল না। আপাতত এখানেই শেষ করি টিভি সিরিজ নিয়ে আমার ব্লগ সিরিজ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।