সোনার হরিনের পেছনে ছুটছি। জনির এমন আচারন আমাদের কারও ভাল লাগতো না। জনি সবসময় আমাদের সাথে কেমন যেন আচারন করত। কয়েক দিনের মধ্যে জনি আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে গেল। ইদানিং কালে জনি আমাদের বিভাগের অনেক ছেলের সাথেই খারাপ আচারন করতে শুরু করেছে।
কয়েকদিন পর শুনতে পেলাম জনি নাকি ওই মেয়েটিকে প্রোপোজ করেছে। কিন্তু মেয়েটি নাকি রাজি হইছিল না। এই জন্যে জনি অনেক দিন মেয়েটিকে রাস্তা আটকিয়ে ছিল। পরে মেয়েটি অন্য একজন ছাত্রনেতার সহযোগিতায় জনির হাত থেকে বেচে গিয়েছিল। তবে কখনও কখনও দেখতাম জনি ওদের গ্রামের লোকদের সাথে খুব ভাল ব্যবহার করতেছে।
সৌয়দের কথা ও শুনতো। ওই ঘটনার পর থেকে জনি আমার সাথে রাস্তা ঘাটে অনেক সময় খারাপ আচারন করত। আমি একদিন সৌয়দের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলাম। তাই সৌয়দ জনিকে আমার সাথে এমন আচারন করতে নিষেধ করে। তার পর থেকে জনির অত্যাচার একটু কমে গিয়ে ছিল।
কিন্তু সেটা আমার সাথে অন্যদের সাথে নয়। অন্য ছাত্রদের সাথে জনি ওরকমই আচারনই করত সবসময়। কয়েক দিন পর আমাকে আমার রুম পরিবর্তন করতে হলো। আমি যে রুমে উঠলাম সে রুমে মিঠু নামে একটা ছেলে ছিল। মিঠু আমার জুনিয়র ছিল।
তবে একদিক দিয়ে মিঠু আমার সিনিয়র ছিল। মিঠু এর আগে এস.এস.সি তে দুইবার ফেল করেছিল। মিঠু খুব ভাল ছেলে ছিল। আমার কলেজের আশেপাশের অনেক নেতার সাথে মিঠুর অনেক ভাল সম্পর্ক ছিল। আমাদের মেসের অনেকেউ মিঠুর হাত ধরে ওই নেতাদের সাথে মিশতো।
আরাফাত আমাদের মেসের ছেলে। ও কিছুদিন ধরেই মিঠুর সাথে ঘুরতে বের হয়। এরকম ঘুরতে ঘুরতে নেতাদের সাথে আরাফাতের ভাল সম্পর্ক হতে থাকে। তাই বলে মিঠুর চেয়ে ভাল সম্পর্ক না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।