সোনার হরিনের পেছনে ছুটছি। আমি বাড়ি থেকে আমার বিছানা পত্র নিয়ে আমি ঠিক নাসিমদের ওই ম্যাচেই উঠলাম। কারন নাসিমের এক বন্ধু তখনও ওই ম্যাচে ছিল। নাসিমের ওই বন্ধু তার ম্যাচে আমার জন্য একটা সিট রেখেছিল। ম্যাচে উঠার পর আমি একটি বাইসাইকেল কিনলাম।
কারন আমার স্যারদের বাসা ছিল অনেক দুরে। কলেজে আমি সাইন্স পড়লাম। তাই আমাকে পদার্থ, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান প্রাইভেট পড়তে হতো। আমাদের কলেজের পাশে একটা জায়গা ছিল। জায়গাটাতে বসার জন্য বেঞ্চ করা ছিল।
একদিন আমি বিকেলে ঘুরতে বের হলাম। কলেজ চত্তর দিয়ে অনেক ঘোরাঘুরি করার পর আমার যখন ক্লান্ত লাগতেছিল, তখন আমরা দুইতিন বন্ধু মিলে ওই বসার জায়গাটাতে গিয়ে বসলাম। আমাদের বসা দেখে একটি ছেলে আমাদের দিকে এগিয়ে আসল। আমরা মনে করলাম যে ছেলেটি মনে হয় আমাদের পাশে বসবে। কিন্তু ঘটলো অন্য ঘটনা।
ছেলেটি এসে আমাদের কে উঠতে বলল। সে এমনভাবে আমাদের কে উঠতে বলল যে মনে হচ্ছিল যে আমরা যদি এখনি না উঠি তাহলে তারা আমাদেরকে মারপিট শুরু করবে। আমরা খুব ধীরে সুস্থে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ভাই কি হইছে? আর আপনি আমাদের উঠে যেতে বলতেছেন কেন? সে আমাদের কে অভদ্রের মত বলতেছে যে এখানে একটু পরে মিটিং হবে। আমরা জিজ্ঞাসা করলাম যে মিটিং হবে তো আমরা কেন উঠব। এতক্ষণেতো ছেলেটি অনেক রেগে গেছে।
আমরা অবস্থা খারাপ দেখে তাকে বললাম ভাই আপনে রেগে যাচ্ছেন কেন?? আমাদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন আমরা অবশ্যই এখান থেকে চলে যাব। ইতিমধ্যে তাদের গ্রুপের আরেক চলে আসল এবং আমাদের বলল যে এখানে একটু পর এখানে ছাত্র নেতারা মিটিং করবে তাই আমাদের এখানে বসা যাবে না। শেষ পযর্ন্ত আমরা সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হলাম। পরে আমরা নিজেরা ভেবে দেখলাম এইতো প্রায় ছাত্রনেতাদের হাতে মাইর খেয়েছিলাম। ভাগ্যের জোরে সেদিন আমরা তাদের হাতে মার খাওয়া থেকে রক্ষা পেলাম।
কয়েক দিন পর দেখলাম আমাদের বিভাগের একটা ছেলে ওই ছাত্র রাজনীতির সাথে যোগ দিছে। তারপর ও আমাদের বিভাগের ছেলেদেরকে রাজনীতি করার প্রস্তাব করা শুরু করলো।
চলবে............. ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।