গত রোববার ইতালিয়ান সেরি-আর ম্যাচটিতে ২-১ গোলে হেরে যায় মিলান। যে হার লিগের দ্বাদশ স্থানে নামিয়ে দিয়েছে ইতালির অন্যতম সফল ক্লাবটিকে। পাঁচ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ মাত্র পাঁচ পয়েন্ট।
সেদিন পেশাদার ফুটবলে প্রথমবারের মতো পেনাল্টিও মিস করেন বালোতেল্লি। সেই হতাশা থেকেই কিনা, ম্যাচ শেষে রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন ইতালির জাতীয় দলের এই মেজাজি স্ট্রাইকার।
শাস্তি হিসেবে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড অর্থাৎ লাল কার্ডও দেখতে হয় তাকে। ‘কেলেঙ্কারি’র এখানেই শেষ নয়। রেফারিকে হুমকি দেয়ায় বালোতেল্লিকে তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ইতালির ফুটবল কর্তৃপক্ষ।
তার এই আচরণে কোচ মাস্সিমিলিয়ানো আলেগ্রি ও ক্লাব কর্তৃপক্ষ এতটাই ক্ষুব্ধ যে সুযোগ থাকলেও এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
২৩ বছর বয়সী বালোতেল্লিও বুঝতে পারছেন, কাজটা মোটেও ঠিক হয়নি।
সতীর্থ ও ভক্তদের কাছে তাই ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
ইতালির বিখ্যাত ক্রীড়াদৈনিক ‘লা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত’কে তিনি বলেন, “সবার আগে সতীর্থদের কাছে আমি ক্ষমা চাচ্ছি। তারা আমার সঙ্গে অনুশীলন ও কঠোর পরিশ্রম করছে। অথচ দলের দুঃসময়ে আমি তাদের বিপদে ফেলে দিয়েছি। ভক্তদের জন্যও আমার অনুশোচনা হচ্ছে।
তারা আমাকে এবং এই দলকে অনেক ভালবাসে। ”
“আমি রেফারির কাছেও ক্ষমা চাচ্ছি। আমার ওরকম আচরণ করা ঠিক হয়নি। বুঝতে পারছি, এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমাকে মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ”
তবে ক্ষমা চাইলেও রেফারি লুকা বান্তির সমালোচনা করতে ছাড়েননি বালোতেল্লি।
তিনি বলেন, “নাপোলির বিপক্ষে যেন পুরনো গল্পেরই জন্ম হলো। আমাকে করা ফাউলগুলো ধরাই হচ্ছিল না। অথচ আমি কিছু করলেই তা ফাউল ধরা হচ্ছিল। আমি শুধু চাচ্ছিলাম আমাকে ফাউল করার জন্য অন্যদেরও যেন শাস্তি হয়। আর তাই আমি অন্যদের ফাউল করছিলাম।
”
তার সবশেষ মন্তব্যে অবশ্য মাঠ ও মাঠের বাইরের সেই খামখেয়ালি ফুটবলারকেই খুঁজে পাওয়া গেছে। নিজের সম্পর্কে বালোতেল্লি বলেন, “মারিও ভুল করেছে আর তাই সে ক্ষমাও চাচ্ছে। কিন্তু আমি প্রত্যেকের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি না। ব্যাপারটা এমন নয় যে আমি কাউকে খুন করেছি। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।