আণ্ডা বাচ্চাদের আমি খুব ভয় পাই। ওরা কেমনে যেন বুঝে ফেলে আমি একটু বোকা টাইপের যুবক।
সুযোগ পেলেই বাচ্চারা আমাকে বিব্রত করে। দুই বছর আগের এক দুপুরের ঘটনা। আমার ছোট চাচি তার এক বান্ধবীর বাসায় আমাকে নিয়ে গেল।
চাচি ভেতরের রুমে ঢুকে বোধকরি আমার কথা ভুলেই গেল। বার বার ভাবতে ছিলাম এই বুঝি নাস্তা আসছে কিন্তু না কিছুই আসতে ছিল না। পুরাতন একটা বাসি পত্রিকার সব খবর পড়তে ছিলাম। ভেড়ানো দরজা ভেদ করে হঠাৎ করে একটা ৭/৮ বছরের ছেলে ঢুকলো রুমে। চোরের মত এদিক ওদিক তাকাচ্ছিল।
আমাকে দেখে থমকে দাড়িয়ে গেল। আমি ভাবলাম সে হয়ত এই ঘরেরই কেউ। তাই প্রশ্ন করলাম কেমন আছো?
ভাল, বলেই সে আমাকে পরিক্ষা করার ভংগিতে বললো আপনি কে? আমি তোমাদের বাসায় বেড়াতে এসছি। বালক হাসি মুখে বললো, তাই নাকি! সে সোফায় বসে পড়লো। বললো আমার চকলেট কৈ? আমি বিব্রত হয়ে বলালাম, ভুলে আনিনি।
সে হেসে বললো, তাহলে দশ টাকা দিন আমি কিনে আনছি। আমি পকেট থেকে দশ টাকা বের করে দিলাম। ও বললো তাহলে আমি দোকানে গেলাম। আমি হাসি মুখে বললাম ঠিক আছে যাও। বালক সোফার উপর চার্জ দেওয়া মোবাইল ফোনটা হাতে নিয়ে বেড়িয়ে গেল।
কিন্তু সে আর ফিরলো না। এদিকে চাচি আর তার বান্ধবী ডোয়িং রুমে ঢুকে নানান প্রকার নাস্তা খেতে দিল। কিন্তু ছেলেটার প্রসংঙ্গে চাচীর বান্ধবী কিছুই বলছিলনা দেখে মনে মনে খুব অবাক হচ্ছিলাম। হঠাৎ চাচীর বান্ববী তার মোবাইল খুজতে শুরু করলো। আমি বললাম মোবাইলতো আপনার বড় ছেলে নিয়ে বাইরে গেল।
ভদ্রমহিলা বিস্মিত হয়ে বললেন আমারতো কোন বাচ্চাই নেই!!
শেষে আমার সব কথা শুনে ওনারা বললেন ওটা ছিল ছিচকে চোর!
আমি বেকুবের মত তাকিয়ে রইলাম
লেখাটি আজকের ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।