যারা উত্তম কে উচ্চকন্ঠে উত্তম বলতে পারে না তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুকরকেও শুকর বলতে পারে না। এবং প্রায়শই আর একটি শুকরে রুপান্তরিত হয়।
তখনো শীতলক্ষ্যা ছিল না
ঘুম ঘুম চোখে প্রবল যমুনায় ডানামেলা ফেরীতে
শুধু ফেনার ঘ্রাণ,
সারেং এর চোখ ফাঁকি দিয়ে ডেকে বসে থাকা
হাতে দুই তলার সরকারী কাটলেট
কী গ্রীষ্মে কী শীতে দুই দেশের পারাপার
মাঝখানে যমুনা
আমার একলা, নিজের একটা নদী পূণর্ভবা
প্রিয় বন্ধু কাঞ্চন
বয়:সন্ধির মত মধুময় আবার বিক্ষিপ্ত
কখনো খটখটে শুশ্ক কখনো উপচে পড়া
পুরোপুরি ভারসাম্যহীন, মধুর
পৃথিবীর আশেপাশে আরোকিছু আলো
যেমন ইছামতি, যেমন কাঁকড়া
যেমন ফুলবাড়ীর লোহার ব্রীজের নদী, যেমন মোহনপুর
যত নদী তত নি:শ্বাস, যত জল তত উচ্ছাস
দূর থেকে শোনা যেত ব্রম্মপূত্রের নাম
বইয়ে পড়া
মধুসূদনের সনেটের মত,
জাতে পুরুষ, মেজাজে রাবণ
গাঢ়, সাম্রাজ্যিক
আর ছিল সীতা
ঘর ভেঙ্গে পাড় ভেঙ্গে ভাসিয়ে দিলেও
চির মোহময়ী পদ্মা
মাটির পাশের রুপোলী স্বপ্ন
নারী
এরপর আমি পাড় হয়েছি অনেকগুলো খাল
নদীগুলো হারিয়ে গেছে বয়সের মানচিত্র থেকে
দেখতে পাইনি দু কুল তবুও খাল মনে হয়েছে
কালো গন্ধে আটকে গেছে নি:শ্বাস
তবুও খাল মনে হয়েছে
বড় বড় সিমেন্টের পিঠে পা দিয়ে
পাড় হয়ে গিয়েছি
তবুও খাল মনে হয়েছে
আমি দূর থেকে হেঁটে চলেছি তার দিকে
এখনো শীতলক্ষ্যা আসেনি
পথে পথে যুদ্ধের খবর
খালগুলো ক্রমশ গ্রাস করছে নালা
আর নালাগুলো ক্রমশ খাঁমচে ধরছে
নদীর স্বপ্নটিকে
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।