আমি বাংলার গান গাই সরকারকে বড় অংকের ঋণ দিতে গিয়ে দেশের ব্যাংকিং খাত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। নগদ টাকার তীব্র সঙ্কটে ব্যাংকগুলো এখন বেশ বেকায়দায়। টাকার অভাবে অনেক ব্যাংক তাদের মৌলিক কাজ অর্থাত্ ঋণ বিতরণও করতে পারছে না। গ্রাহকদের ২/৩ লাখ টাকার চেক কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফেরত দেয়া হচ্ছে। দৈনন্দিন খরচ মেটাতে কলমানি মার্কেট থেকে ধার করে চলছে অনেক ব্যাংক।
ফলে কলমানির রেটও অনেক দিন ধরেই ২০ শতাংশের ওপরে।
ব্যাংকিং খাতে এ ধরনের পরিস্থিতির কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের অতিরিক্ত পরিমাণে ঋণ গ্রহণ, দীর্ঘদিন ধরে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি, জনগণের সঞ্চয় তথা আমানত প্রবৃদ্ধি কমে আসা এবং ব্যাংকিং সেক্টরে রাজনৈতিক অবৈধ প্রভাব তীব্র হয়ে ওঠায় এ সেক্টর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ খাতের ওপর সরকারের নজরদারি বৃদ্ধি করা না হলে পুরো আর্থিক খাতেই এ সঙ্কট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকিং সেক্টর থেকে সরকারের অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণ এবং আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ায় ব্যাংকে তারল্য সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে পারছে না।
এ অবস্থায় নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হলে ব্যাংকিং সেক্টরে ঝুঁকি আরও বড় হয়ে দেখা দেবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।