বৈশ্বিক উষ্ণতা, অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস ও অম্লতা বৃদ্ধির প্রভাবে পৃথিবীর সব মহাসাগর পূর্বধারণার চেয়ে অনেক বেশি ঝুঁকির মুখোমুখি হয়েছে। আন্তর্জাতিক এক গবেষণার ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।
ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম অন দ্য স্টেট অব ওশেনের (আইপিএসও) বিজ্ঞানীদের পর্যালোচনা অনুযায়ী, মহাসাগরগুলোর সামনে নানা ধরনের হুমকি থাকলেও সেগুলোর গুরুত্ব আশঙ্কাজনকভাবে খাটো করে দেখা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারি নীতিনির্ধারকেরা এ ব্যাপারে যথার্থ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন। বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে।
এতে বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণী অস্তিত্বের সংকটে পড়বে।
আইপিএসও এবং প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়, কার্বন নির্গমনের বর্তমান মাত্রা অব্যাহত থাকলে জলবায়ুতে নজিরবিহীন পরিবর্তন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক সার মহাসাগরে প্রবাহিত হওয়ার ফলে সেখানে ‘মৃত অঞ্চল’ তৈরি হয়েছে। প্রাণীবৈচিত্র্যের জন্য এটি একটি বড় হুমকি। এসব কারণে মহাসাগরের উৎপাদনশীলতা ও সক্রিয়তা দুটিই বিপন্ন হচ্ছে।
এ ধরনের পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব সারা পৃথিবীতে ইতিমধ্যে পড়তে শুরু করেছে।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অ্যালেক্স রজার বলেন, প্রবাল দ্বীপ ও আশপাশের এলাকায় বসবাসকারী বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর কঙ্কালের গঠন উপাদান ক্যালসিয়াম কার্বনেট হুমকির মুখে পড়েছে অম্লতা বৃদ্ধির কারণে। আর তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধিই প্রবালসমূহের বিপন্নতার জন্য যথেষ্ট। রয়টার্স ও বিবিসি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।