২৭/৪ এবং আবাসন সংকট নিরসনের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের আন্দোলনে ভালোভাবেই টনক নড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। তাই বিশাল সংখ্যক জমায়েত কে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রীতিমত ভয় পাচ্ছে। তাই এবার দায়সারা ভাবে পালিত হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। শুধুমাত্র র্যালী এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে দিবস উদযাপন। যদিও কোষাধক্ষ ভর্তি পরিক্ষার অযুহাত দেখাচ্ছেন।
এবারের আন্দোলনের অন্যতম সফল দিক হল প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছেন যে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যলয়ের মত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চলবে ,এবং এর অর্থ সংক্রান্ত আইন টি সংশোধন হবে। তারই ধারাবাহিকতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যলয়ে এক আনন্দের বন্যা বয়ে যায় গত ৯/১০/১১,রবিবার । এবারের বিশ্ববিদ্যলয় দিবস তাই এক নতুন আকর্ষন হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে গেছে। এবারের দিবস টি ভালোভাবে উদযাপন ছাত্রছাত্রিদের দাবি, কিন্তু প্রশাসন নির্লিপ্ত কেননা তাদের মনে রয়েছে অনেক ভয়, কারন তারা আন্দাজ করছেন যে যেকোন সময় ছাত্র আন্দোলন আবারও দুর্বার হতে পারে। কেননা একটি হল সবে উদ্ধার হয়েছে,বাকিগুলো কবে নাগাদ উদ্ধার হবে, যাতায়াতের জন্য বাস গুলো কবে নাগাদ দেয়া হবে, তার সুস্পস্ট কোন বিবরন বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন থেকে এখনও আসেনি।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রিরা অত্যন্ত আনন্দিত, এই আনন্দ আরও প্রসারিত হবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এটিই কাম্য। কিন্তু কোষাধক্ষ মশায় এর কথায় বিমর্ষতা ছড়িয়ে পড়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যলয়ে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট দাবি তারা যেন ভয় না পেয়ে বর্নিল ভাবে এই অনুষ্ঠান পালন করে। কেননা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় না বললেই চলে,এই দিবস টির দিকে তাকিয়ে থাকে সবাই। এটি একটি বড় উৎসব আমাদের কাছে।
তাই আমাদেরকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করবেন না।
পিলিজ...ভয় পাইয়েন না!!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।