পরদিন ট্রেন থেকে নামতেই দেখি হাওয়ায় তোমার আঁচল উড়ছে চঞ্চল । মেঘেদের বাড়ি থেকে তুমি হেঁটে এলে পাহাড়ের সানুতলে । তোমার পায়ের পাতা ভেজা কেন সই ? বৃষ্টিগুলো ডাকাত জল হয়ে ভেজালো বুঝি ! চোখের পাতায় এতো কদমের রেনু মাখো তুমি,আমি ভাবি আজ এ মেঘের অঞ্চল তোমার মতো এতো নিপুণ চঞ্চল । আমি কি তবে এই জনপদে একাকী ইবনে বতুতা ? নি:সঙ্গ পরিব্রাজক ? ও মেঘ সব বোঝ,এ কেমন নিরিবিলি বর্ষণ বোঝো না ? জল ডাকাতের মতো নিষ্ঠুর বল্লম নিয়ে কোন কোন দেশে তোমার আক্রমন বলো তো ?
হাসপাতাল থেকে চিঠি এসেছিল তোমার মাকে লেখা সঘন করুন । হাহাকার করে উঠেছিলে বুঝি ? এতো হারানোর ভয় ? কত কি হারায় এক ইবনে বতুতা জীবনে ।
ট্রেন থেকে বাতাসে উড্ডীন পতাকার মতো তোমার অন্তনীল পতাকা ভেসে বেড়ায়,আমি উবু হয়ে তোমাকে ডাকি, পৃথক পালংকের মতো তুমি বনে চলে যাও । আমি ডাকি আমি ডাকি । আমার ডাক কান্নায় দ্রুতগামী ঢালু ব্রীজ বেয়ে নেমে যায় শংখ শালিকের মতো একা । আমি রাজা মাইডাসের মতো তৃষ্ণার্ত ডাকি :
ওলো সই ওলো সই আমার ইচ্ছা করে,মনের কথা কই ।
হাসপাতালে সারি সারি শুয়ে থাকে লাশ,ফিলিস্তিনী শিশুর মতো ।
আমার মতো তীব্র বেদনায় চিৎকার করে মা : ও আমার জবা কুসুম শিশু...ফিরে আয় ফিরে আয় । মধ্য রাত কেঁপে ওঠে আর্তনাদ করে তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করে । গোরস্তান থেকে হুমহুম করে ফিরে যায় জল ডাকাত,তুমুল শংখ নিনাদ,আমাদের মেঘের কান্না । আজ তুমি কি আসিবে না ?
আমাদের বাড়িতে আবারো নেমেছে রৌদ্র হানাহানি করতালি মেঘেদের পালক । আমি কান্না করি অক্ষমতার সবুজের করতলে ।
ডাকাডাকি করি যেমন ডাকাডাকি করে ফেরিওয়ালাকে একাকী চামেলী হাতে আবুল হাসান ।
ওলো সই ওলো সই, এসো কেঁদে ভিজে দেখি আমাদের দু:খের প্রবাল কই ! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।